স্মৃতিচারণমূলক লেখালেখি

  • আমার বন্ধুরা বলে আমি নাকি স্মৃতিচারণমূলক লেখা খুব ভাল লিখতে পারি। কেউ কেউ বলেন, আমার স্মৃতিচারণমূলক লেখা নাকি উপন্যাসের কাহিনীকেও হার মানায়। আমার সেই সব বন্ধুদের কথা সত্য না মিথ্যা সেটা দেখার জন্যে আমার লেখার এই অংশে চোখ রাখুন প্লিজ।এখানে আলোচিত বিষয় সমূহের শিরোনাম সমূহ:
  • (১) মা দিবসের শুভেচ্ছা।আমার দেখা দুজন শ্রেষ্ঠ মা (০৮.০৫.২০১৬):
  • (২) আমার একমাত্র বড় বোনের অকাল প্রয়াণের ৮ম বার্ষিকিতে তাঁর আত্মার মাগফেরাত কামনায় সবার দোয়া চাইছি!!(৩১.০৮.২০১৬):
  • (৩) ১৯৯৯ সালের এই দিনে আমার বাবা আমাদের ছেড়ে চলে যান।তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় সবার দোয়া চাইছি(০৫.০৯.২০১৬):
  • (৪) আমার নিজগ্রামের নেতৃত্বে ৫ সেপ্টেম্বরে কুষ্টিয়ার মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকথা! সেই অবহেলিত পূণ্যভূমির(দুর্বাচারা,সদর,কুষ্টিয়া)গর্বিত সন্তান হয়েও অপ্রাপ্তির বেদনা আজও আমাকে ব্যাথাতুর করে!(০৫.০৯.২০১৬):
  • (৫) প্রচার বিমুখতায় ম্লান হচ্ছে,মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত“সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড” কবিতাটি !(০৯.০৯.২০১৬):
  • (৬) শ্বেত শুভ্র শিউলিকে যেমন করে দেখেছি!(০৫.১০.২০১৬):
  • (৭) অবিমিশ্র অনূভূতি আর কল্পনার রঙিন ফানুসে ভর করে ১৯৯৫ সালের এদিনে যাত্রা করেছিলাম স্বপ্নের দেশ বিলেতে।(০৬.১০.২০১৬):
  • (৮) আজ বিশ্ব ডাক দিবসে আমার স্থূল ভাবনা!আগামী প্রজন্ম ভুলে যাবে চিঠি ও ডাকঘরের কথকতা! (০৯.১০.২০১৬):
  • (৯) ড. নাজির ভায়ের জন্মদিনে তাকে স্মরি!:
  • (১০) আমার আমি হয়ে ওঠার একচ্ছত্র অংশীদার অসম্ভব সাদা মনের মানুষটির ২৮তম প্রয়াণ দিবসে তাঁর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা!(২৮.১১.২০১৬)
  • (১১)স্মৃতির পাতায় এক ঝলক আলো। ১৯৯৬ সালের এদিন যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরি(০৯.০১.১৯৯৬):
  • (১২)স্মৃতির সৈকতে এক ঝলক আলো:১৯৭৩ সালের এই দিনে কুষ্টিয়া সদরের প্রত্যন্ত গ্রাম দুর্বাচারা থেকে কুষ্টিয়া শহরের ‘মোহিনী মোহন বিদ্যাপীঠ’ হাইস্কুলে ভর্তি হয়েছিলাম।(০৬.০২.২০১৭);
  • (১৩)অযত্ন অবহেলা আর দিক নির্দেশনাহীন অমনোযোগী ছাত্রের তকমা পরে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার যা কিছু অর্জন তাতে আমি বেজায় খুশি! (১০.০২.২০১৭);
  • (১৪) স্বাধীনতার মাসের শুরুর দিনটিতে স্বাধীনতার সুর নয়, আমার মন বীণায় এরশাদ সাহেবের যুদ্ধাংদেহী হুঙ্কারের করুণ সুর বাজে! (০১.০৩.২০১৭ খ্রি.)
  • (১৫) বিসিএস কৃষি ক্যাডারের উজ্জ্বল নক্ষত্র, নির্মোহ সাদা মনের মানুষ কৃষিবিদ অশোক কুমার শর্মার চাকুরি থেকে অবসরজনিত বিদায় উপলক্ষে, অকৃত্রিম শ্রদ্ধা ভালবাসার সবটুকু উজাড় করে একজন অনুজ সহকর্মীর অবিমিশ্র প্রতিক্রিয়ার আবেগময় অনুভূতি,“যেতে নাহি দিব হায়…(০৬.০৩.২০১৭):
  • (১৬)একাদশ প্রয়াণ দিবসে মা কে মনে পড়ে!(০৯.০৩.২০১৭)
  • (১৭)স্বাধীন দেশের প্রথম ফাগুনে জীবনের প্রথম সিঙ্গাড়া খাওয়ার অমলিন স্মৃতি!সে কী ভোলা যায়?(২৩.০২.২০১৭);
  • (১৮)কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের ইনামুল হক স্যারের সাজা আমার উন্নতির সোপানকে ত্বরানিত করেছিল।(১২.০৩.২০১৭ খ্রি.)
  • (১৯)দুঃখ কষ্টের দোলাচলে আমার জীবনের ১৭ মে।(১৭.০৫.১৭):
  • (২০)আমার স্মৃতিধন্য অসুস্থ কণ্ঠশিল্পী আব্দুল জব্বারের সুচিকিৎসার জন্যে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সহযোগিতার বিনম্র আহবান!(০৭.০৬.২০১৭)
  • (২১)বান্ধবী শিউলির প্রোফাইল পিকচার, ময়মনসিংহের “রায় স্টুডিও” এবং আমার নস্টালজিয়া!(১৯.০৬.২০১৭)
  • (২২)প্রথম ট্রেনে চড়ার অমলিন ও বেদনাবিধুর স্মৃতি! সে কি ভোলা যায়?(২১.০৬.২০১৭);
  • (২৩)ঈদের সাথে মিশে আছে আমার সুখ দুঃখের নস্টালজিয়া!(২৩.০৬.১৭)
  • (২৪) স্বপ্ন দেখা ও স্বপ্ন দেখানোর একাল সেকাল!(০৩.০৭.২০১৭);
  • (২৫) বেতার যন্ত্রের ঐহিত্য আজ লুপ্তপ্রায়! (২১.০৭.২০১৭);
  • (২৬) ৩৭ বছর পরে বন্ধুদের মিলন মেলায় দেখা হলো আমেরিকা প্রবাসী বন্ধু ডা. মাহমুদের সাথে।(০৪.০৮.২০১৭);
  • (২৭) সৌরভে, গৌরবে, অম্লান স্মৃতিতে আমার গর্বিত বিদ্যাপীঠ; বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়!(০৮.০৮.১৭);
  • (২৮)আমার স্মৃতিতে আমার প্রীতিতেপ্রয়াত নায়করাজ রাজ্জাক!(২২.০৮.১৭);
  • (২৯) দশম মৃত্যু দিবসে, বুবু তোমায় মনে পড়ে! (৩১.০৮.২০১৭);
  • (৩০) পল্লী উন্নয়নের অন্যতম রূপকার প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম সিদ্দিক স্মরণে। (০১.০৯.২০১৭);
  • (৩১) অবিমিশ্র প্রতিক্রিয়া আর বিনম্র শ্রদ্ধায় বাবাকে মনে পড়ে।(০৫.০৯.২০১৭);
  • (৩২) স্মৃতি বিস্মৃতির দোলাচালে প্রয়াত আসলাম ভাইকে মনে পড়ে।(১২.০৯.২০১৭);
  • (৩৩) বন্ধুত্বের গুনাহ্গারী!বিনাপাপে গুরুদণ্ড!! বন্ধুগণ সাবধান!!! (১৬.১০.২০১৭);
  • (৩৪) যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে…….(০৩.১১.১৭);
  • ================================================
  • উপরে উল্লেখিত শিরোনামের বিষয় সমূহের সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
  • (১) মা দিবসের শুভেচ্ছা।আমার দেখা দুজন শ্রেষ্ঠ মা (০৮.০৫.২০১৬): আজকে বিশ্ব মা দিবস। মা দিবসের এই ক্ষণে দাঁড়িয়ে বিশ্বের তাবদ আদর্শ মায়েদের প্রতি রইলো আমার অকৃত্রিম শ্রদ্ধা, ভালবাসা আর প্রাণঢালা শুভেচ্ছা।একজন আদর্শ মা একটা সংসারের অনেক পরিবর্তন করতে পারেন।……..একজন ভাল মা একটা সংসারকে অনেক সুন্দর করতে পারেন। অন্তত: আমার নিজের দেখা খুব কাছের দুজন মাকে দেখে আমার তেমনটিই মনে হয়েছে। এই দুজন মায়ের একজন হলেন আমার নিজের মা এবং অপরজন আমার সন্তানদের মা বা আমার স্ত্রী।………. এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে যান…………….
  • আমার দেখা দুজন শ্রেষ্ঠ মা ০৮ মে ২০১৬
  • =================================================
  • (২) আমার একমাত্র বড় বোনের অকাল প্রয়াণের ৮ম বার্ষিকিতে তাঁর আত্মার মাগফেরাত কামনায় সবার দোয়া চাইছি!!(৩১.০৮.২০১৬): আমার একমাত্র ইমিডিয়েট বড় বোন ২০০৮ সালের এদিন সড়ক দুর্ঘটনায় পড়ে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে কুষ্টিয়ার উপকন্ঠে লাহিনী বটতলা অকালে প্রাণ হারান(Spot death)। আমি তার সাথে আমার কিছু ফেলে আসা স্মৃতিকথার সাদামাটা বর্ণনা দিয়েছি মাত্র। আমার অসংখ্য পাঠককূল আমার এই লেখা পড়ে অশ্রুসিক্ত হয়েছেন, হৃদয়গ্রাহী মন্তব্য করেছেন। আমার নিজের কাছে মনে হয়েছে লেখাটা খুব খারাপ হয়নি।আপনারা আমার ফেসবুকে পোস্ট করা লেখাটি পাঠক মন্তব্য সহ দেখার জন্যে নিজের ওয়ার্ড ফাইলটি খুলে পড়ুন…………
  • আমার একমাত্র বড় বোনের অকাল প্রয়াণ ৩১ আগস্ট ২০১৬
  • =================================================
  • (৩) ১৯৯৯ সালের এই দিনে আমার বাবা আমাদের ছেড়ে চলে যান।তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় সবার দোয়া চাইছি(০৫.০৯.২০১৬): আমার বাবার মৃত্যু উপলক্ষে আমি এই প্রথমবারের মত একটা স্মৃতিচারণমূলক সাদামাটা লেখা লিখেছি। সেটারে বিস্তারিত দেখতে নিচের ফাইলটিতে ক্লিক করুন…….
  • বাবার মৃত্যু বার্ষিকিতে স্মৃতিচারণ ০৫ সেপ্টে ২০১৬
  • =================================================
  • (৪) আমার নিজগ্রামের নেতৃত্বে ৫ সেপ্টেম্বরে কুষ্টিয়ার মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকথা! সেই অবহেলিত পূণ্যভূমির(দুর্বাচারা,সদর,কুষ্টিয়া)গর্বিত সন্তান হয়েও অপ্রাপ্তির বেদনা আজও আমাকে ব্যাথাতুর করে!(০৫.০৯.২০১৬): আমার নিজ গ্রামের মুক্তিযোদ্ধাদের একটা অবিস্মরণীয় অবদান ছিল, ১৯৭১ সালের মুক্তি সংগ্রামে; কিন্তু তা সত্বেও আমাদের গ্রামের বীর সেনানীরা অনেক কিছু থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। আমার স্মৃতি নির্ভর এবং বিভিন্ন সূত্র থেকে সংগৃহীত তথ্য উপাত্তের আলোকে একটা এক্সক্লুসিভ প্রতিবেদন লেখার চেষ্টা করেছি।…….বিস্তারিত দেখার জন্যে ভিজিট করুন নিচের লিঙ্কে…
  • আমার নিজ গ্রামে ১৯৭১ সালের যুদ্ধের স্মৃতিচারণ ০৫ সেপ্টে ২০১৬
  • =================================================
  • (৫) প্রচার বিমুখতায় ম্লান হচ্ছে,মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত“সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড” কবিতাটি !(০৯.০৯.২০১৬):……১৯৭১ সালে যশোর বেনাপোল সড়কটি ছিল শরনার্থীদের ভারত গমনের জন্যে অপেক্ষাকৃত ভাল এবং নিরাপদ সড়ক। এই সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত শরনার্থী হিসেবে লাখ লাখ মানুষের ভারত যাবার মর্মস্পর্শী বিবরণ কলম কালির আঁচড়ে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছিলেন ,বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের অকৃত্রিম বন্ধু ও মানবতাবাদী মার্কিন কবি ও গীতিকার আরউইন অ্যালেন গিন্সবার্গ। …………. খোদ মার্কিন সরকার যখন বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিপক্ষে ছিল, সেই সময় আমেরিকার নাগরিক হয়ে সেখানে বসবাস করে মার্কিন সরকারের বিপেক্ষ অবস্থান নিয়ে, জীবন বাজি রেখে একাত্তরে বাংলাদেশে বর্বর পাকিস্তানিদের নির্বিচারে গণহত্যার খবর সংগ্রহ করতে ও ভারতে আশ্রয় নেয়া কোটি শরণার্থীদের জন্য সংগ্রহ করা কিছু আর্থিক সাহায্য নিয়ে ১৯৭১ এর সেপ্টেম্বরে নিজের চোখে দেখার জন্য ছুটে আসেন ভারতে।…….ব্যাপক বৃষ্টি ও বন্যায় তখন যশোর রোড পানিতে ডুবে যায়,তারপরও গিন্সবার্গ, ……… বাংলাদেশের যশোর সীমান্তে পৌঁছে এর আশপাশের শিবিরগুলোতে আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীদের সীমাহীন দুর্দশা প্রত্যক্ষ করেন। মানুষের এই অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্ট, হাহাকার দেখে গিন্সবার্গ ………. যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে এসেই পাকিস্তানিদের চরম ধিক্কার জানিয়ে লিখলেন ‘সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড’ কবিতাটি । ১৫২ লাইনের দীর্ঘ কবিতাটি পরবর্তীতে ‘দ্য নিউইয়র্ক টাইমস’-এ প্রকাশিত হলে, সারাবিশ্বে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে নৃশংস এ গণহত্যার খবর;বিশ্বমানবতা গণহত্যাকারী পাকিস্তান সরকার ও তাদের মদদদাতা মার্কিনীদের ধিক্কার জানাতে থাকে।…………গিন্সবার্গের লেখা ১৫২ লাইনের মহাকাব্যিক কবিতাকে আরো হৃদয়গ্রাহী করে সেটার ভাবার্থ ঠিক রেখে বাংলায় অনুবাদ করেন …… সে সময়ের তরুণ কৃতি সন্তান খান মোহাম্মদ ফারাবী ওরফে পিয়াল। সেটাকে আরো একধাপ এগিয়ে নিয়ে যান ….. ওপার বাংলার কিশোরী গীতিকার ও সঙ্গীত শিল্পী মৌসুমি ভৌমিক; ……এতকিছুর পরেও আমার দুঃখ, যেভাবে ‘সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড’ কবিতাটি জাতীয়ভাবে এবং যশোর এলাকায় প্রচার প্রচারণা ও আলোচিত হওয়ার কথা ছিল, আদতে সেটার কিছুই হয়নি। বিক্ষিপ্তভাবে যশোরের কিছু মানুষজন এই কবিতা সম্পর্কে অল্প বিস্তর কিছু জানলেও এটা নিয়ে গভীরভাবে কেউ কিছু জানেন না; …….এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানুন নিচের ওয়ার্ড ফাইল থেকে….
  • সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬
  • =================================================
  • (৬) শ্বেত শুভ্র শিউলিকে যেমন করে দেখেছি!(০৫.১০.২০১৬): ….না আমি যে শিউলির কথা বলছি সে শিশির সিক্ত শরতের শিউলি বা শেফালী ফুল নয়। আমার দেখা শিউলি একজন  দম্পতির কনে, একজন প্রকৌশলীর জায়া এবং দুজন প্রতিষ্ঠিত পুত্রের জননী। শরতের শুভ্রতায় জন্মেছিল বলে বাবা মা ওর নাম রেখেছিলেন শিউলি । ফুল  মোহনীয়, মনোমুগ্ধকর আর শ্বেত শুভ্র সবই সাদা রঙের প্রতিরূপ। শিউলি’র পুরা নাম দিলরুবা বেগম ওরফে শিউলী। আমাদের কাছে সে দিলরুবা শিউলি নামে পরিচিত। “দিলরুবা শিউলি’র”  আভিধানিক অর্থ  প্রিয় শেফালী ফুল। বাবা মার দেয়া ওর নামটি একেবারেই স্বার্থক বলে অন্তত: আমার কাছে মনে হয়েছে।……শিউলির জন্মদিন উপলক্ষ্যে আমার স্মৃতিচারণমূলক লেখাটি দেখতে নিচের লিঙ্কে যান। লেখাটি ভাল লাগবে এবং শিউলির সাথে আমার চমৎকার বন্ধুত্বে বিষয়টি জানা যাবে……
  • শিউলির জন্মদিনের শুভেচ্ছা ০৫ অক্টোবর ২০১৭
  • =================================================
  • (৬) অবিমিশ্র অনূভূতি আর কল্পনার রঙিন ফানুসে ভর করে ১৯৯৫ সালের এদিনে যাত্রা করেছিলাম স্বপ্নের দেশ বিলেতে।(০৬.১০.২০১৬): আমি আমার পি-এইচ.ডি কোর্সের অংশ হিসেবে প্রশিক্ষণের জন্যে ১৯৯৫ সালের ০৬ অক্টোবরে বিলেত যাত্রা করেছিলাম। বিদেশ ভ্রমণ অনেকের কাছে পানি ভাতের মত মনে হলেও এটা আমাদের কাছে সে সময় বেশ স্মৃতিময় ছিল। সেই স্মৃতিকথাকে আমার ভাষায় তুলে ধরেছি। মন চাইলে আমার লেখাটি নিচের ফাইল থেকে দেখে নিতে পারেন…..
  • জীবনের প্রথম বিলেত ভ্রমণের স্মৃতিকথা ০৬ অক্টোবর ২০১৬
  • =================================================
  • (৮) আজ বিশ্ব ডাক দিবসে আমার স্থূল ভাবনা!আগামী প্রজন্ম ভুলে যাবে চিঠি ও ডাকঘরের কথকতা! (০৯.১০.২০১৬): বিশ্ব ডাক দিবস আজ। প্রতি বছরের মত আজও (০৯ অক্টোবর) বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে দিবসটি পালিত হচ্ছে তবে সাড়ম্বরে নয়; অনাড়ম্বরভাবে কারণ ডাকদিবস আজকে তার জৌলুস হারিয়েছে, খুইয়েছে তার অতীত ঐতিহ্য।….পারস্পারিক যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে চিঠি আদান প্রদানের একটা গৌরবোজ্জ্বল অতীত ছিল।……………. আশির দশকে আমরা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম তখন, বাবা মা নিকটাত্মীয় ও প্রিয়জনের সাথে যোগাযোগের অনন্য মাধ্যম ছিল চিঠি । …………..প্রেমের বাজারে একদা চিঠির কী হৃদয়গ্রাহী আবেদন ছিল সেটা বর্ণনাতীত। প্রেমিক প্রেমিকারা রাত জেগে জেগে প্রিয়জনের কাছে অনেক হৃদয়গ্রাহী চিঠি লিখত এবং চিঠির প্রেমিক প্রেরক সে চিঠি আয়েশ করে রাত জেগেই পড়তো। কখনো প্রিয়জনের একটা দীর্ঘ চিঠি একাধিকবার পড়া হতো, পাছে কেউ দেখে ফেলে সেজন্যে সযতনে লুকিয়ে রাখা হতো সেসব প্রেমজ চিঠি।…….এই চিঠি এবং ডাকঘরর নিয়ে আমার হৃদয়গ্রাহী স্মৃতিচারণ জানতে চাইলে দয়া করে নিচের লিঙ্কে রক্ষিত ফাইলটি খুলে বিস্তারিত পড়ুন….
  • আগামী প্রজন্ম ভুলে যাবে চিঠি ও ডাকঘরের কথকতা ০৯ অক্টোবর ২০১৬
  • =================================================
  • (৯) ড. নাজির ভায়ের জন্মদিনে তাকে স্মরি!: ড. নাজিরুল ইসলাম ওরফে নাজির ভাই বয়সে আমার কিঞ্চিত বড় হলেও পড়ালেখা করেছি একসাথে; থাকতাম একই হলের পাশাপাশি রুমে…শিল্প, সাহিত্য, ক্রীড়া, রাজনীতি, সামাজিক কর্মকাণ্ড, ধর্ম সহ বহুধা অঁচলে ছিল নাজির ভায়ের অনবদ্য বিচরণ। কখনো বঙ্গবন্ধুর ছাত্র রাজনীতির মাঠে সরব, কখনো ক্রীড়াতে , কখনোবা মাথায় টুপি দিয়ে হুজুরদের সাথে আধ্যত্মিক ও ধর্মীয় আলোচনায় মশগুল থাকতে দেখা যেত। বর্তমানে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটউটের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে জয়দেবপুরে কর্মরত আছেন। তার জন্মদিনে আমার স্মৃতিচারণ পড়ুন ,ভাল লাগবে। ……বিস্তারিত নিচের ফাইলে…..
  • ড. নাজির ভায়ের জন্মদিনে তাকে স্মরি ২০ অক্টোবর ২০১৬
  • ===============================================
  • (১০) আমার আমি হয়ে ওঠার একচ্ছত্র অংশীদার অসম্ভব সাদা মনের মানুষটির ২৮তম প্রয়াণ দিবসে তাঁর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা!(২৮.১১.২০১৬):আজকে আমার জীবনের যতটুকু উত্থান যা কিছু প্রাপ্তি তার বিশেষ কৃতিত্বের অংশীদার একজন মানুষের। কৈশোর ও যৌবনের উত্তাল ও সংকটময় বিহবলতার সেই দিনে আমার পরিচ্ছন্ন ছাত্রত্বের সোপান যে মানুষটির হাতে রচিত হয়েছিল তিনি আমার মায়ের মা অর্থাৎ আমার নানী। আজ থেকে ২৮ বছর আগে ১৯৮৮ সালের এ দিনে নানী আমাদের ছেড়ে চলে যান , না ফেরার দেশে। বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকার সুবাধে তাঁর মৃত্যু সংবাদ পেয়েছিলাম সপ্তাহ খানেক বাদে আমার বাবার লেখা এক পত্র থেকে। ফলে শ্রদ্ধাভাজন এই মানুষটির শবযাত্রায় থাকার সুযোগটি আমি মিস করি। তিনি শুধু আমার জীবনটাকে গড়ে দেননি, আমাদের গোটা পরিবারের জন্যে তাঁর যে অবিস্মরণীয় অবদান সেটাকে কোন পরিমাপের নিত্তিতে ওজন করা যাবে না।আমার নানী ছিলেন তার মায়ের একমাত্র সন্তান এবং তাঁরও একমাত্র সন্তান ছিলেন আমার মা। আমার নানী খুব বেশীদিন স্বামীর সান্নিধ্য পাননি; আমার মায়ের বয়স যখন মাত্র ৪ বছর তখনই দুরারোগ্য কালাজ্বরে আক্রান্ত হয়ে অল্প সময়ের মধ্যে নানা পরপারে চলে যান। নানীর বয়স ২০ বছর পূর্তির আগেই নানীকে পরতে হয় বৈধব্যের সাজ। দ্বিতীয় বার বিয়ের জন্যর পারিবারিক ও সামাজিকভাবে অনেকে অনেক পীড়াপীড়ি করলেও নানীর দৃঢ় মনোবলের কারণে একাকী আমার মাকে নিয়েই কাটিয়ে দেন জীবনের শেষদিন অব্দি।……এই মানুষটি সম্পর্কে আপনার আগ্রহ থাকেলে নিচের ফাইল থেকে বিস্তারিত জানুন……
  • আমার নানীর প্রয়াণ দিবস ২৮ নভে ২০১৬
  • ===============================================
  • (১১)স্মৃতির পাতায় এক ঝলক আলো। ১৯৯৬ সালের এদিন যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরি(০৯.০১.১৯৯৬): ১৯৯৬ সালের এ দিনে Skill Development in Research Design বিষয়ের উপরে যুক্তরাজ্যের রেডিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটা সার্টিফিকেট কোর্স শেষ করে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের BA-145 নং বিলাসবহুল উড়োজাহাজে করে দিল্লী ইন্দিরাগান্ধী এয়ারপোর্টে যাত্রা বিরতি শেষে বাংলাদেশ সময় ভোর ৪ টায় রওয়ানা দিয়ে বিকাল ৪.০৪ মিনিটে প্রিয় স্বদেশের ভূখণ্ড স্পর্শ করার মাধ্যমে সে মিশন সম্পন্ন করেছিলাম। আমার PhD গবেষণার অংশ হিসেবে আমাকে ঐ কোর্সটি সম্পন্ন করতে হয়েছিল। ……এ সম্পর্কে আমার স্মৃতিচারণ জানতে নিচের ফাইলটিতে যান….
  • ১৯৯৬ সালের এদিন যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরি। ০৯ জানুয়ারী ২০১৭
  • =================================================
  • (১২) স্মৃতির সৈকতে এক ঝলক আলো:১৯৭৩ সালের এই দিনে কুষ্টিয়া সদরের প্রত্যন্ত গ্রাম দুর্বাচারা থেকে কুষ্টিয়া শহরের ‘মোহিনী মোহন বিদ্যাপীঠ’ হাইস্কুলে ভর্তি হয়েছিলাম।(০৬.০২.১৯৭৩):সেই ১৯৭৩ সাল থেকে শুরু করে আজ অব্দি যখন যেখানে যে অবস্থাতেই থাকি না কেন, এ দিনটির স্মৃতিকথা বিশেষভাবে মনে পড়ে; কখনো কোন অবস্থাতেই দিনটির কথা ভুলতে পারিনা। এই দিনে কুষ্টিয়া শহর থেকে ১৩ কিমি দুরে অবস্থিত প্রত্যন্ত দুর্বাচারা গ্রামের, দুর্বাচারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ শেষ করে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হই কুষ্টিয়া শহরের মিলপাড়াস্থ মোহিনী মোহন বিদ্যাপীঠে। ………………ভর্তি শেষে নানী বাড়ি ফিরে , বড় ভাই আমাকে একা রেখে চলে গেলেন। আসলাম ভায়ের সাথে রাতে এক বিছানায় ঘুমানোর মাধ্যমে শুরু হলো আমার বাবা মা আর চিরচেনা শৈশব কৈশরের বন্ধু বিহীন একাকী থাকার বিরহ জীবন।.……………বিস্তারিত দেখুন মজা পাবেন………….
  • প্রথম যেদিন শহরের হাইস্কুলে ভর্তি হয়েছিলাম ০৬ ফেব্রু ২০১৭
  • =================================================
  • (১৩)অযত্ন অবহেলা আর দিক নির্দেশনাহীন অমনোযোগী ছাত্রের তকমা পরে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার যা কিছু অর্জন তাতে আমি বেজায় খুশি! (১০.০২.২০১৭); জীবনের এই পড়ন্ত বেলাতে এসে অবচেতন মনে কখনো কখনো জীবনের খেরো খাতার প্রাপ্তি অপ্রাপ্তি, পাওয়া না পাওয়ার হিসেব নানাভাবে উঠে আসে। ছোট্ট এই জীবনে মানুষের সব আশা আকাঙ্খা তো পূরণ হবার নয়! একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে আমি নিজেও কিন্ত সেসব থেকে মুক্ত নই। এতকিছুর পরেও আমার জীবনে আজ যে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বৈজয়ন্তী মালা গলে উঠেছে তাতে হেমন্ত মুখার্জীর সেই কালজয়ী গানের মত বলতে ইচ্ছে করে “ওগো যা পেয়েছি সেইটুকুতে খুশি আমার মন…..”।…….বিস্তারিত দেখুন……..
  • প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার যা কিছু অর্জন তাতে আমি বেজায় খুশি ১০ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
  • ================================================
  • (১৪) স্বাধীনতার মাসের শুরুর দিনটিতে স্বাধীনতার সুর নয়, আমার মন বীণায় এরশাদ সাহেবের যুদ্ধাংদেহী হুঙ্কারের করুণ সুর বাজে! (০১.০৩.২০১৭ খ্রি.):…….১৯৮৫ সাল থেকে আমার জীবনে মার্চ মাস শুরু হয় অন্য রকমের মনবেদনা দিয়ে। একটা চাঁপা কষ্ট আমার মনকে ব্যথাতুর করে তোলে, আর যেটার মধ্যমণি ছিলেন, সে সময়ের দোর্দণ্ড প্রতাপশালী ও মহা পরাক্রমশালী রাষ্ট্রনায়ক কাম প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক এবং বর্তমানের খ্যাতিমান বিরোধী রাজনৈতিক নেতা হো. মো. এরশাদ।১৯৮৫ সালের ০১ লা মার্চ, সকাল ৯ টা ময়মনসিংহস্থ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহজালাল হলের পশ্চিম ভবনের ১৯ নম্বর কক্ষে বসে নোট হাতে নিয়ে জেনেটিক্স পড়ছিলাম। এ সময় ইথারে এক বেতার বার্তায় ভেসে এলো এমন মধুর বাণী,” দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে হিংসাত্মক কার্যকলাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় একযোগে দেশের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হলো এবং সকল ছাত্র ছাত্রীদেরকে দুপুর ১২ টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হলো”।…….বিস্তারিত দেখুন……..
  • এরশাদ সাহেবের যুদ্ধাংদেহী হুঙ্কারের করুণ সুর ০১ মার্চ ২০১৭ খ্রি.
  • =================================================
  • (১৫) বিসিএস কৃষি ক্যাডারের উজ্জ্বল নক্ষত্র, নির্মোহ সাদা মনের মানুষ কৃষিবিদ অশোক কুমার শর্মার চাকুরি থেকে অবসরজনিত বিদায় উপলক্ষে, অকৃত্রিম শ্রদ্ধা ভালবাসার সবটুকু উজাড় করে একজন অনুজ সহকর্মীর অবিমিশ্র প্রতিক্রিয়ার আবেগময় অনুভূতি,“যেতে নাহি দিব হায়…(০৬.০৩.২০১৭): প্রিয় বন্ধু, এই স্মৃতিচারণমূলক লেখাটি বিগত ২৮.০২.১৭ তে লেখা।কিন্তু পরিবহণ ধর্মঘট এবং বিদায়ী অতিথির সহকর্মীর অসুস্থতা ও আকস্মিক মৃত্যুর কারণে ঐ নির্ধারিত দিনে বিদায়ী অতিথির আনুষ্ঠানিক বিদায় পর্ব অনুষ্ঠিত হয়নি।আজকে(০৬.০৩.২০১৭খ্রি.) তাঁর আনুষ্ঠানিক বিদায় পর্ব অনুষ্ঠিত হলো ফলে আমার ২৮.০২.২০১৭ তারিখের লেখাটি আজ প্রকাশিত হলো। উল্লেখ্য আমার লিখিত বক্তব্য ছাপার হরফে ছবি সহ বিদায়ী অতিথিকে অানুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হলো। আবেগময় অনুভূতি সম্পন্ন লেখা এটি, তাই লেখাটির অবয়বটা একটু দীর্ঘ হয়েছে বটে। ভার্চুয়াল ডকুমেন্ট হিসেবে এটা এখানে আপলোড করা হলো। একটুু কষ্ট করে লেখাটি পড়ার বিনম্র আহবান রইলো। স্মৃতিচারণনিক এই বিদায়ী বক্তব্য আপনার হৃদয়কে টাচ করবে বলে আমার বিশ্বাস।…….বিস্তারিত দেখুন……..
  • অগ্রজ সহকর্মী অশোক দার বিদায়ী স্মৃতিচারণ ০৬ মার্চ ২০১৭
  • =================================================
  • (১৬)একাদশ প্রয়াণ দিবসে মা কে মনে পড়ে!(০৯.০৩.২০১৭):…………আমার মা যখন চলে যান তখন মা, আমার যশোর খয়েরতলাস্থ হর্টিকালচার সেন্টারের সরকারি বাসাতে ছিলেন এবং এদিন রাত দ্বিপ্রহরের পরে, শেষ যাত্রায় মার শিউরে নিকটজন বলতে আমি আমার স্ত্রী পুত্র কন্যা ছাড়া আর কেউ ছিল না। এদিক দিয়ে আমি ভাগ্যবান যে মার শেষ সেবাটুকু আমরাই করতে পেরেছিলাম।…………..মা আর কোনদিন সুস্থ হবেনা জেনেও মৃত্যুর আগ পর্যন্ত রাইস টিউবে করে মাকে খাবার খাওয়াতে ও ঔষুধ দিতে এতটুকু কৃপণতা ছিলনা আমাদের কারুরই।বিদ্যুৎ চালিত অলটারনেট এয়ার পাম্প ম্যাট্রেস দেয়ার পরেও বেড সোরে আক্রান্ত মায়ের পৃষ্ঠদেশ ভেদ করে যখন ফুসফুস বেরিয়ে আসতে চাইছিল তখনও মাকে আমার বাসায় রেখে পরম সেবায় সার্বক্ষণিক আগলে রেখেছিলাম আমরাই।……….. আমার স্ত্রীর তার শ্বাশুড়ীর জন্যে যা করেছে এ যুগে ওমন বউমা পাওয়া দুরহ! ……সেই থেকে এই একটি ব্যাপারে আজও তাকে প্রণতি জানাই, স্যালুট করি গভীর মমতা আর ভালবাসার সবটুকু উজাড় করে! মা মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে, তখনও মনে হচ্ছে মা যেন আরও কিছু সময় বেঁচে থাকে, কিন্তু সত্যিই যখন প্রাণ পাখি মার সাধের খাঁচা ছেড়ে চলে গেল, তখন মনে হলো আকাশ বাতাস বিদীর্ণ করে এক মহা প্রলয় আমার বুকের উপরে চেপে বসেছে। সেই থেকে প্রতিবছর মার মৃত্যু দিন আসলে, এখনও সেই বাতাস ভারি করা কষ্ট আমাকে ব্যথাতুর করে! অনুক্ষণ কার্য কথা কারণে মা’র অভাববোধ আমাকে তাড়া করে ফেরে, আর কেবলই মনে হয়, ইশ! মা যদি আজ বেঁচে থাকতেন…..! …….বিস্তারিত দেখুন……..
  • মার প্রয়াণ দিবসে স্মৃতিচারণ ০৯ মার্চ ২০১৭
  • =================================================
  • (১৭)স্বাধীন দেশের প্রথম ফাগুনে জীবনের প্রথম সিঙ্গাড়া খাওয়ার অমলিন স্মৃতি!সে কী ভোলা যায়?(২৩.০২.২০১৭): নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ত্রিশ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ এবং দুই লাখ মা বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক হিসেবে সবে সম্মানিত ও গৌরবান্বিত হয়েছি। অনেকের প্রিয়জন হারানোর ব্যথা মনে থাকলে শোকাবহ স্মৃতি হয়ে উঠেছে শক্তির মূর্ত প্রতীক।ওদিকে প্রকৃতি তার আপন রূপ রস গন্ধ নিয়ে স্ব-মহিমায় এগিয়ে চলেছে। শীতের সজীবতায় জুবুথুবু প্রকৃতি সতেজ হতে শুরু করেছে। কোকিলের কুহুতান, বসন্তের আমেজ, সতেজ আবহাওয়ার মিষ্টতা, শিমুল পলাশ সহ নাম না জানা ফুলের সৌরভ, আম্র মুকুলের মৌ মৌ গন্ধ সব মিলিয়ে প্রকৃতি ও মানুষের মন মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। ………………বিনা পরিক্ষা আর বিনা পড়ালেখায় চার ক্লাস থেকে পাঁচ ক্লাসে উঠে গেছি, কিন্তু পড়ালেখার চাপ নেই, কারণ নতুন বইপত্র তখনো হাতে এসে পৌঁছাইনি। বয়সগত কারণে দেশ স্বাধীনের ফলে প্রাপ্তি অপ্রাপ্তির কোন হিসেবও আমার মাথায় নেই। সবার মত আমিও অাছি মহাসুখে।…………..ঊনসত্তরের গণ অভ্যূত্থানের উত্তাল দিনে কোন এক শুভক্ষণে ৩রা মার্চ, সোমবার বিয়ে হওয়া মেজ ভাবীর মেহেদীর রাঙা আভা মিলিয়ে গেলেও তখনো মনে রয়েছে বাসন্তীর উষ্ণ পরশ। ভাবীর ইচ্ছে হলো বাড়ির সবাই মিলে একদিন সিঙ্গাড়া খাবে। মেজ ভাবী আর্জি তুললেন বাবার কাছে, বাবা মঞ্জুরিপত্র দিলেন ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলেন বাড়ির সবাইকে একটা করে সিঙ্গাড়া খাওয়ানোর।………………….সিঙ্গাড়া প্রসংগে একটা বলতেই হয়, আমরা যারা তখন গাড়াগাঁয়ে থাকি সেখানে সিঙ্গাড়া আমাদের কাছে এক দিল্লিকা লাড্ডুর মত ছিল। যারা শহরে যান তারা চার আনা দামের সিঙ্গাড়া নামক অমৃত খেয়ে এসে আমাদের সামনে রসিয়ে রসিয়ে গল্প দেন, গল্প শুনে আমাদের জিহবা থেকে ঝর্ণা ধারা বইতে থাকে।……..সন্ধ্যায় বহু কাঙ্খিত একখানা সিঙ্গাড়া হাতে পেয়ে যায়। …………..রাতে না খেয়ে সেটা মাথার কাছে নিয়ে ঘুমালাম। ভোরবেলা উঠে নাস্তা খেয়ে হাফপ্যান্টের পকেটে সিঙ্গাড়া নিয়ে চাচীর বাবার বাড়ি গেলাম।……….চাচী বাড়ি যেয়ে দুপুরে ডিম রান্না তরকারি দিয়ে ভাত খেলাম। তখনো সিঙ্গাড়া খাওয়া হয়নি। এবার চাচার শ্বশুরবাড়ির আশপাশে আমার সম বয়সী কিছু ছেলে মেয়েকে বেশ ভাব নিয়ে সিঙ্গাড়াটা পকেট থেকে বের করে মাঝে মাঝে দেখাচ্ছি।………………এবার এক পর্যায়ে সম্বিত ফিরে বু্ঝতে পারলাম ঐ গ্রামের বখাটে ছেলে মেয়েরা আমার অমৃত হাইজ্যাক করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। পরিস্থিতির সম্ভাব্য পরিণাম এবং ভয়াবহতা উপলব্ধি করে দ্রুত পাশের বিশাল আয়তনের আম্র বাগানে প্রবেশ করলাম, প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়ার বাহানা করে। প্রকৃতির ডাক বালাই ষাট! বাগানে ঢুকে চারদিকে মনুষ্য নির্গত নতুন পুরানো প্রাকৃতিক বস্তুর নিষিদ্ধ সৌরভের মধ্যেই দ্রুত গিলে ফেললাম অমৃত সম সিঙ্গাড়াটি। আহ সে কী স্বাদ!মনে হলো এমন অমৃত জীবনে খাইনি।………….! …….বিস্তারিত দেখুন……..
  • ১৭ প্রথম সিংগাড়া খাওয়ার স্মৃতি ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
  • =================================================
  • (১৮)কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের ইনামুল হক স্যারের সাজা আমার উন্নতির সোপানকে ত্বরানিত করেছিল।(১২.০৩.২০১৭ খ্রি.):……..দিন তারিখ ক্ষণ ঠিকমত মনে থাকলেও সেটা ১৯৭৭ সালের মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ের হবে। সবে জেলা স্কুলের ছাত্র হিসেবে অনেক তুখোড় তুখোড় ছাত্রের সাথে প্রথমদিন ক্লাস করতে বসেছি, কাউকে চিনি না, জানিনে। আচমকা ১০ম শ্রেণির রসায়ন ক্লাসে রাশভারি আর ডাকসাইটে বিশালদেহী ইনামুল হক স্যার আমাকে প্রশ্ন করলেন,“টলুইন কাকে বলে?” না-সূচক উত্তর দিয়ে বললাম স্যার,”নতুন ভর্তি হয়ে আজই প্রথম ক্লাসে এসেছি, ফলে পড়াটা জানা ছিল না।” আমার কথায় পাত্তা না দিয়ে স্যার সজোরে আমার বাম কানের নেতি ধরে দিলেন টান এবং সাথে সাথে দরাজ কন্ঠে বললেন,”ক্লাসে আসার আগে পড়াটা জেনে আসার দায়িত্ব ছিল। জেলা স্কুলের ডোজ একটু দিয়ে দিলাম আর কোনদিন ভুল হবে না।”আমার কানের গঠন বরাবরই একটু লুতলুতা ধরনের, তাই মুহুর্তের মধ্যে কান বেয়ে রক্তঝরা শুরু হলো, সাথে সাথে চোখ দিয়ে রাগে ক্ষোভে অশ্রু গড়ানো শুরু হলো। স্যার বিষয়টা বুঝতে পেরেও যেন বুঝলেন না। স্যার বারবার আমার কানের দিকে যেভাবে তাকাচ্ছিলেন, তাতে আমি নিশ্চিত ছিলাম স্যার ব্যাপারটা আঁচ করতে পেরেছেন। রক্ত গড়িয়ে শার্ট পর্যন্ত ভিজে যাচ্ছিল কিন্তু টুং টাং শব্দ করার উপায় নেই।নিজের উপরে ভীষণ ক্ষোভ ও অভিমান হলো এই ভেবে যে, ছেড়ে আসা স্কুলের ফার্স্ট বয়ের আজ কী করুণ দশা!! মনে হচ্ছিল, শেষবেলা পুরাতন স্কুলের স্যারদের কষ্ট দিয়ে স্বপ্নের জিলা স্কুলে পড়তে আসার পরিণাম ভোগ করছি।…………..যাক পরবর্তীতে স্যারের পড়া আগে আগে মুখস্থ করে ক্লাসে আসতাম। অবশ্য পরে যত দিন গেছে স্যার আমাকে তাঁর আপত্য স্নেহে পুত্রবৎ আদর করেছেন। অনেক ছাত্রের ভিড়ে স্যারের কাছে প্রাইভেট পড়ার চাঞ্চ না পেলেও স্যার আমাকে তাঁর বাসায় অবাধ প্রবেশাধিকার দিয়ে অঙ্ক জ্যামিতি বুঝিয়ে দিতেন বিনে পয়সায় ।ক্লাস টেনে পড়া অবস্থায় টেস্ট পরিক্ষা শুরু হয়েছে। প্রথম দিন ইলেকটিভ ম্যাথ পরিক্ষা। দ্বিতীয় দিন ফিজিক্স পরিক্ষা চলছে। ইনামুল স্যার পরিক্ষা হলে এসে বললেন, “পরিক্ষার পরে তোরা এসে খাতা দেখে যাস্। একজন মাত্র লেটার পেয়েছ যে তোদের মাঝে নতুন”।পরিক্ষা শেষে খাতা দেখতে যেয়ে ইনামুল স্যার আমাকে বললেন, “৮৫ নম্বরের উত্তর দিয়ে ৮৪ পেয়েছিস। ১ নম্বরের বেশি কাটতে পারিনি”। ……………….স্যার কখনো কোন ছাত্রকে বেত্রাঘাত করেছেন বলে শুনিনি। ঠিকমত পড়া না পারলে মাঝে মধ্যে একটু আধটু মৃদু চপেটাঘাত করতেন বটে, আমার ক্ষেত্রে যা ঘটেছিল সেটা নিছকই এ্যাকসিডেন্ট! তবে সেটার জন্যে স্যার যে মনে মনে অস্বস্তিতে ছিলেন এটা বুঝতে কোন কষ্ট হয়নি। ফলে সেই ঘটনার চার দশক, পরে এসে সেদিনের ‘তাৎক্ষণিক কষ্টকর’ স্মৃতিকে স্যারের আশীর্বাদ বৈ ভিন্ন কিছু ভাবতে পারিনা, স্যারের প্রতি আজও বিনম্র শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে যায়।………….! …….বিস্তারিত দেখুন……..
  • ১৮ ইমানুল স্যারের সাজা ১২ মার্চ ২০১৭
  • =================================================
  • (১৯)দুঃখ কষ্টের দোলাচলে আমার জীবনের ১৭ মে।(১৭.০৫.১৭): মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার জীবনে আজ এটা একটা স্মরনীয় দিন। ১৯৮১ সালের এদিনে তিনি ৬ বছরের নির্বাসন শেষে স্বদেশের মাটিতে প্রত্যাবর্তন করে নব উদ্যোমে আওয়ামী রাজনীতির স্টিয়ারিং ধরেন শক্ত করে। সেই থেকে আওয়ামী নেতৃত্বের একক পুরাধা হিসেবে তিনিই কাজ করে চলেছেন। তাই দিনটি মাননীয় প্রধারমন্ত্রীর কাছে, অবিমিশ্র প্রতিক্রিয়ায় ও স্মৃতিতে অম্লান , সন্দেহ নেই।একইভাবে দ্বিবিধ ব্যথার বেদনে আমার স্মৃতিতে বাঁধা রয়েছে ১৭ মে দিনটি।১৯৯২ সালের এ দিনে আমার একজন শ্রদ্ধাভাজন শিক্ষক অকালে পরলোকগমন করেন; আর ১৯৯৪ সালের এদিনে নিশ্চিত মৃত্যুর দুয়ার থেকে আমার ছোট্ট ছেলেটি বেঁচে ফিরে আসে।…….বিস্তারিত দেখুন……..
  • ১৯ আমার জীবনের স্মৃতিময় ১৭ মে ১৭.০৫.২০১৭
  • ================================================
  • (২০)আমার স্মৃতিধন্য অসুস্থ কণ্ঠশিল্পী আব্দুল জব্বারের সুচিকিৎসার জন্যে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সহযোগিতার বিনম্র আহবান!(০৭.০৬.২০১৭):সংগীত পিয়াসী হোক আর নাইবা হোক বিবেকবান সচেতন বাঙালী মাত্রেই মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানী, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন কন্ঠশিল্পী আব্দুল জব্বারকে চেনেন বা জানেন। তাঁর সুললিত ও বিশেষ ধাঁচের দরাজ কন্ঠের সূরের মূর্ছনা, সংগীত প্রেমিক সকল মানুষের মন কাড়ে।সংগীতের এই প্রবাদ পুরুষ ১৯৫৮ সাল থেকে তৎকালীন পাকিস্তান বেতারে গান গাওয়া শুরু করেন। তিনি ১৯৬২ সালে প্রথম চলচ্চিত্রের জন্য গান করেন। ১৯৬৪ সাল থেকে তিনি বিটিভির নিয়মিত গায়ক হয়ে উঠেন। ১৯৬৪ সালে জহির রায়হান পরিচালিত তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রথম রঙ্গিন চলচ্চিত্র “সংগম”এর গানেও তিনি কণ্ঠ দেন। ১৯৬৮ সালে “এতটুকু আশা” ছবিতে সত্য সাহার সুরে তার গাওয়া “তুমি কি দেখেছ কভু” গানটি জনপ্রিয়তা লাভ করে। ১৯৬৮ সালে “পীচ ঢালা পথ”ছবিতে রবীন ঘোষের সুরে “পীচ ঢালা এই পথটারে ভালবেসেছি” গানে কণ্ঠ দেন। তার একটি কালজয়ী গান ১৯৭৮ সালের “সারেং বৌ” ছবিতে সংযোজন করা হয়; গানটি ছিল “ও..রে নীল দরিয়া”। এছাড়া তিনি আরো অসংখ্য চলচিত্রের জন্যে গান করে বিপুলভাবে সমাদৃত হয়েছেন।দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে এই বীর সেনানীর রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আব্দুল জব্বার কলকাতার বিভিন্ন ক্যাম্পে গিয়ে গণসংগীত গেয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্বুদ্ধ করেছেন। ……………………………….শুধু মুক্তিযুদ্ধ বা দেশপ্রেম দিয়ে নয়, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তিনিই সবচেয়ে বেশি গান গেয়েছেন। ‘মুজিব বাইয়া যাও রে,’, ‘সাত কোটি মানুষের একটাই নাম, মুজিবর’-এসব গান তিনি নিজেই উদ্যোগী হয়ে তৈরি করিয়েছিলেন। …………….’শোন একটি মুজিবরের থেকে লক্ষ মুজিবরের কণ্ঠস্বরের ধ্বনি’ গানটি আবদুল জব্বারই বাংলাদেশের আপামর জনতার সামনে পরিচিতি করেছিলেন। অনেকে মনেই করেন এটি তাঁর মৌলিক গান। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর তিনি আবেগী হয়ে পথে প্রান্তরে গেয়ে বেড়িয়েছেন মতিউর রহমানের লেখা ও মলয় গাঙ্গুলির গাওয়া ‘যদি রাত পোহালেই শোনা যেত, বঙ্গবন্ধু মরে নাই।…….এরও আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের কর্মীদের সঙ্গে ছিল তাঁর ঘনিষ্ঠতা। ছাত্রলীগের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তিনি গান করেছেন। আগরতলা মামলায় যখন বঙ্গবন্ধুকে গ্রোপ্তার করা হয়েছে,তখনো আবদুল জব্বার গেয়ে চলেছেন, ‘আমাদের দাবি যারা মানে না, পিটাও তাদের পিটাও’, ‘বন্দি করে যদি ওরা ভাবে খেলা করেছি শেষ, তা হবে মস্ত বড় ভুল। ‘ এসব গান মানুষকে অধিকার সচেতন করেছে, জুগিয়েছে স্বাধীনতার প্রেরণা।….১৯৩৮ সালের ০৭ নভেম্বর কুষ্টিয়ার উপকন্ঠে জন্ম নেয়া এবং ১৯৫৬ সালে কুষ্টিয়া শহরের মিলপাড়াস্থ মোহিনী মোহন বিদ্যাপীঠ হতে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করা ক্ষণপ্রন্মা এই মানুষটির সাথে আমার কিছু ব্যক্তিগত চমৎকার স্মৃতি রয়েছে। আমি অগ্রজ জব্বার ভায়ের পঠিত পাঠশালার ছাত্র ছিলাম ১৯৭৩ সাল থেকে ১৯৭৬ সাল অব্দি ; আবার আমাদের দু’জনের বাড়িও একই এলাকাতে।…………..শিল্পী জব্বার এখন অসুস্থ, ঠিক একইভাবে ১৯৮৪ সালের শেষভাগে তিনি আরেকবার অসুস্থ হয়েছিলেন। আমি তখন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র এবং ময়মনসিংহস্থ বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলা সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বরত ছিলাম। সে সময় আমরা কুষ্টিয়া সমিতির পক্ষ থেকে তাঁর সাহায্যের জন্যে দেশবাসীর কাছে লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে আহবান জানাই এবং আমাদের সমিতির পক্ষ হতে অতি সামান্য অনুদান নগদ এক হাজার টাকা তাঁকে তুলে দিয়েছিলামে। সমিতির সেই টাকা সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আমি পৌঁছে দিই সে সময় শিল্পীর ঢাকাস্থ মোহাম্মদপুরের ১০/২৪ রাজিয়া সুলতানা রোডের গ্রাউণ্ড ফ্লোরের বাসায়। …….বিস্তারিত দেখুন……..
  • ২০ কন্ঠশিল্পী আ. জব্বার স্মরণে ০৭ জুন ২০১৭
  • =================================================
  • (২১)বান্ধবী শিউলির প্রোফাইল পিকচার, ময়মনসিংহের “রায় স্টুডিও” এবং আমার নস্টালজিয়া!(১৯.০৬.২০১৭):………জানিনে কেন কোন কারণ ছাড়াই আমাদের বান্ধবী দীর্ঘদিনের আমেরিকান প্রবাসী দিলরুবা শিউলি গতকাল (১৮ জুন ২০১৭) রাত সোয়া ১০টায় ফেসবুকে ওর প্রোফাইল ছবি পরিবর্তন করে সাদাকালো যুগের একটা ছবি পোস্ট করে। পরে ওর দেয়া তথ্য থেকে জানা যায় ছবিটা ১৯৮০ সালে ধারণকৃত। ওর পরিবর্তিত প্রোফাইল ছবি দেখার সাথে সাথে এক লহমায় স্মৃতির নস্টালজিয়া আমাকে ফিরিয়ে নিয়ে যায় সেই ১৯৮১ সালের মধ্য গগনে, যখন থেকে শিউলির সাথে আমার বন্ধুত্বের মেলবন্ধন রচিত হয়েছিল। ছবিটা দেখার সাথে সাথে আমি কোন চিন্তা না করেই মন্তব্যের কলামে লিখে দিলাম, “অসাধারণ ছবি দোস্ত। বুঝতে পারছি এই ছবিটা ব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরিক্ষা সম্পন্ন করেছিলে।এটা নিশ্চয় “রায় স্টুডিও”, গাঙ্গিনার পাড়, মময়মনসিংহ থেকে উঠানো।ছবির মধ্যে সেই ১৯৮১ সালের জুন মাসের শিউলিকে খুঁজে পেলাম। Very nostslgic! মনে হচ্ছে তোমার ছবিটা নিয়ে একটা স্মৃতিচারণ লিখতে”।ব্যাস আর কোথা যাই, আমার অনুমান শতভাগ সত্যি হলো। ফিরতি ফেসবুক বার্তায় শিউলি জানাল,“Yes my dear friend, you are absolutely right! Roy Studio!”আমার অনুমান সত্য হয়েছে জেনে আমি আরো নস্টালজিক হয়ে পড়লাম এই ভেবে যে, আজ থেকে ৩৭ বছর আগে আমার বান্ধবী যখন তাকে চিনতাম না, জানতাম না, সেই বান্ধবী কোত্থেকে একখানা ছবি তুলেছিল সেটার সত্যতা বলার দৃঢ়তার জন্যে। মনে মনে ভাল লাগলো এই ভেবে যে, আমার মস্তিষ্কের নিউরন মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এখনো বেশ সচল রেখেছেন।এবার মনে হলো এ নিয়ে কিছু লেখা যায়, তাই নামসর্বস্ব নব্য ফেসবুক লেখক অধম গেদু চাচা এবার বসে গেল লিখতে স্মার্টফোনের ভার্চুয়াল খাতা আর তর্জনি ও বৃদ্ধাঙ্গুলির কলম নিয়ে।আমি ও শিউলি সবাই ইন্টারমিডিয়েট পাশ করি ১৯৮০ সালে। উচ্চশিক্ষার পাদপৃষ্ঠে নিজেদের ছাত্রত্ব বহাল করতে হলে একখানা সাম্প্রতিক ছবি দরকার, তাই ইন্টার পাশের পরে একটা ভাল ছবি তুলতে হবে। তখন ছবি তোলা মানে সেজে গুজে শহরের ফটো স্টুডিওতে যাওয়া। স্টুডিওতে যাওয়ার আগে স্থানীয় শহরের ফটো স্টুডিওর র‍্যাঙ্কিং যাচাই করে নেয়া হতো। ফটো তুলতে যাবার আগে ভাল করে চুলে সাবান মেখে চুল ফুলিয়ে যেতে হতো। ছেলে হলে হেয়ারকাট সেলুনে যেয়ে ভাল করে ক্ষৌরকর্ম সম্পাদন করে নিত। পরিধেয় বস্ত্র এমন হবে যেন সেটার প্রতিফলন সাদাকালো ছবিতে বেশ ভাল করে দৃশ্যমান হয়।…….বিস্তারিত দেখুন……..
  • ২১ বান্ধবী শিউলির সাথে স্মৃতিচারণের গল্প কথা ১৯ জুন ২০১৭
  • =================================================
  • (২২)প্রথম ট্রেনে চড়ার অমলিন ও বেদনাবিধুর স্মৃতি! সে কি ভোলা যায়?(২১.০৬.২০১৭):দিন যায় কথা থাকে; সময় যায় স্মৃতির পাতা ভারি হয়। বয়স বাড়ার সাথে সাথে মানব সন্তান মুখোমুখি হয় নানান অভিজ্ঞতার; নিজের নিউরনে সঞ্চিত হয় অম্ল মধুর স্মৃতিকথা! এসব স্মৃতিময় অনুভূতি কারুর কাছে পঁচা কাদার মত আবার কারুর কাছে চাঁদের আলো দিয়ে ঘেরা। অজ পাড়া গাঁয়ে বাস করে আমাদের যুগে আমরা যখন খেলেছি পুতুল খেলার সময়ে আমাদের আবেগ অনুভূতি উচ্ছ্বাস খেলাধুলা আর বিনোদনের সাথে সে সময়ে যারা শহুরে পরিবেশে বড় হয়েছে তাদের মধ্য বিস্তর পার্থক্য ছিল। আমাদের ছোটবেলাতে গ্রামের রাস্তা দিয়া একটা মোটর সাইকেল গেলে আমরা দৌঁড়ে সেটা দেখতে যেতাম। রাস্তায় দাঁড়িয়ে মোটর সাইকেলের পেট্রোল পোড়া গন্ধ আমাদের কাছে ছিল সুবাসিত সৌরভের মত। ডিজিটাল প্রজন্মের ছেলে মেয়েদের কাছে এটা এখন পাগলের প্রলাপ বৈ অন্য কিছু মনে হবে না।ট্রেন দেখা ট্রেনে চড়া সে তো আমাদের কাছে একটা স্বপ্নিল ব্যাপার ছিল। তমসাবৃত রাতের নিস্তব্ধতা ভেঙে ট্রেনের হুইসেলের শব্দ যখন শহর থেকে ১২ কিমি দক্ষিণাবর্তী কুষ্টিয়ায় সদরের প্রত্যন্ত দুর্বাচারা গ্রামে আমাদের কর্ণকুহরে পৌঁছাত, তখন সেটার আবাহনও আমাদের মনকে আবেগময় করে তুলতো, মোহাবিষ্ট হতাম কাঙ্খিত সেই স্বপ্নের রেলগাড়িতে চড়ার জন্যে। মন চাইলে তো আর রেলগাড়িতে চড়া হবেনা, তার জন্যে চাই একটা ভাল ভ্রমণসূচীর। সেটা আর হয়ে ওঠে না, তাই সেই কাঙ্খিত ট্রেনে চড়াও আর হয়না।……………………সবে নবম শ্রেণিতে উঠেছি, শীতকাল, প্রকৃতি ও তরুলতার পত্র পল্লবে তখনও ম্রিয়মানতা বিরাজমান রয়েছে। এরই মধ্য একদিন বিনে পয়সায় ট্রেনে চড়ার সুযোগ পেয়ে যায় দুর সম্পর্কের জনৈক অনুজ খালাত বোন মিনুর বদন্যতায়। মিনুর মামা বাড়ি আর আমার মামা বাড়ি একই সাথে। মিনু তখন সবে পঞ্চম শ্রেণিতে উঠেছে। মিনুর বাবা চাকুরি করেন রেলওয়েতে এবং ওদের পারিবারিক বসবাস পাকশী (পাবনা জেলা) রেলওয়ে কলোনীতে। মিনুর ছোট চাচা তখন কুমারখালি(কুষ্টিয়া) রেল স্টেশনের স্টেশন মাস্টার। রেলওয়েতে বাবা চাচার চাকুরি করার কারণে পোষ্য কোটায় মিনুরা হামেশাই বিনে পয়সায় রেল ভ্রমণ করে থাকে।
    এবার মিনুকে পটালাম আমাকে ট্রেন চড়ানোর জন্য। মিনু বিশাল কর্মযজ্ঞে তার সম্পৃক্ততা থাকছে জেনে এ প্রস্তাব সোৎসাহে গ্রহণ করে।গন্তব্য ঠিক হলো সকালের ট্রেনে চেপে কুমারখালি যাব মিনুর চাচার বাসায়; অত:পর ফিরতি ট্রেনে দুপুরের মধ্যে আবার আমাদের গন্তব্য মামা বাড়ি ফিরে আসা।১৯৭৬ সালের জানুয়ারী মাস; কনকনে শীতের মধ্য কাকডাকা ভোরে তিন ট্রেন অভিযাত্রী, আমি ও আমার দু’বছরের ছোট মামাত ভাই ইব্রাহীম, কিশোরী মিনুর নেতৃত্বে পৌঁছে যাই কুষ্টিয়া রেল স্টেশনে। অত:পর মধ্যবর্তী চড়াইকোল স্টেশনে যাত্রা বিরতি শেষে সকাল ৮ টা নাগাদ মিনুর চাচার সরকারি বাসায় পৌঁছে যাই। এর মধ্য টিকিট চেকার একবার টিকিট চাইতেই স্মার্ট মিনু স্মার্টলি তার পৈতৃক পরিচয় দিতেই টিকিট চেকার আমাদের মাথায় হাত বুলিয়ে চলে গেলেন। সফল পৈতৃক পরিচয়ে মিনু এবার আমাদের সামনে আরো গর্বিত হলো।……পরের কাহিনী খুব ট্রাজিক…কষ্ট করে পড়ুন ভাল লাগবেই…….বিস্তারিত দেখুন…………
  • ২২ প্রথম ট্রেনে চড়ার স্মৃতিকথা ২১ জুন ২০১৭
  • =================================================
  • (২৩)ঈদের সাথে মিশে আছে আমার সুখ দুঃখের নস্টালজিয়া!(২৩.০৬.১৭): ঈদ আসলেই আমি আমার ফেলে আসা অতীতের ঈদের স্মৃতিচারণ করে বেশ নস্টালজিক হয়ে পড়ি; তবে আমার জীবনে ঘটে যাওয়া ঈদ উৎসবের বেশিরভাগটাই দুঃখের আবরণে মোড়া একটা বেদনাবিধূর কথার সাজিও বটে!!সোনার চামচ মুখে নিয়ে তো আর আমাদের জন্ম হয়নি। অনেকগুলো ভাই বোনের মধ্য আমার অবস্থান ছিল লাস্ট বাট ওয়ান অর্থাৎ শেষের আগেরটা।ফলে আমরা মানুষ হয়েছি কতকটা বাপে তাড়ানো মায়ে খেদানোর মত অবস্থায়।…….বিস্তারিত দেখুন…………
  • ২৩ ঈদের নস্টালজিয়া ২৫ জুন ২০১৭
  • =================================================
  •  (২৪) স্বপ্ন দেখা ও স্বপ্ন দেখানোর একাল সেকাল!(০৩.০৭.২০১৭):বেশ কয়েক বছর যাবত “স্বপ্ন যাবে বাড়ি আমার” শিরোনামে গ্রামীন ফোন একটা অসাধারণ বিজ্ঞাপন চিত্র নির্মাণ করে জনমানুষের আবেগ অনুভূতির সাথে সহমত পোষণ করে যাচ্ছে। সাধারণত: প্রতিবছর রমজান মাসে এই চমৎকার বিজ্ঞাপন চিত্রটি নব আঙ্গিকে প্রচার করা হয়। দর্শকদের বিচারে দেশের অনেক বিজ্ঞাপন চিত্রের মধ্যে এটি শ্রেষ্ঠ হিসেবে বিবেচিত!বিজ্ঞাপন চিত্রটির কথা গান দৃশ্যপট এক কথায় অসাধারণ। অনেক স্বপ্ন অনেক সাধনা একরাশ আশা আকাঙ্খা বুকে নিয়ে ঈদের ছুটিতে প্রিয়জনের সান্নিধ্যে মিলিত হওয়ার জন্যে যে যার সাধ্যনুযায়ী পছন্দের লাগসই যানবাহনে করে স্বপ্নকে সাথে নিয়ে নদী নালা খাল বিল শ্বাপদসংকুল পথ পাড়ি দিয়ে পৌঁছে যায় প্রিয়জনের সান্নিধ্যে। অধীর আগ্রহ আর পাল্টা স্বপ্ন নিয়ে অপেক্ষমান প্রিয়জন প্রচণ্ড মানসিক উৎসাহ উদ্দীপনা আর আবেগ নিয়ে আলিঙ্গনাবদ্ধ হয়ে প্রিয়জনকে উষ্ণ অভিবাদন জানায়।আমরা যারা আমাদের বয়স অর্ধ শতাব্দী পার করে একাল সেকালের সীমান্ত রেখায় অবস্থান করছি তাঁদের কাছে স্বপ্ন দেখা, স্বপ্ন দেখানো এবং স্বপ্নকে বাড়ি নিয়ে যাবার আকূলতা ব্যাকুলতা আর অভিব্যক্তির যে পরশ রয়েছে, সেই আবেগ অনুভূতি আর উচ্ছ্বাসের অনেকখানির ঘাটতি রয়েছে এই প্রজন্মের মানুষের কাছে বলে আমার মনে হয়।“স্বপ্ন যাবে বাড়ি আমার” বিজ্ঞাপনের প্রকৃত উচ্ছ্বাসের সবটুকু নির্যাস আমরা আমাদের ছেলেবেলা আর মেয়েবেলাতে ভোগ করতে পারলেও সেটা এই প্রজন্মের কাছে অতটা আবেগময় ব্যঞ্জনার সৃষ্টি করছে না!!আজ থেকে ২৫/৩০ বছর আগে যখন বাড়ি থেকে দুরে স্বদেশে বা প্রবাসে বসবাসরত নিকটজনের সাথে যোগাযোগের একমাত্র বাহন ছিল পত্র লিখন, সে সময় অনেকদিন বাদে স্বপ্নের সাজিকে সাথে নিয়ে বাড়ি ফিরতেই প্রিয় মানুষগুলো আর বন্ধুদের মধ্যে যে আকূলতা আর উচ্ছ্বাস দেখা যেত সেটা এখন আর সেভাবে সেসব খুঁজে পাওয়া যায়না।………….…….বিস্তারিত দেখুন…………
  • ২৪ স্বপ দেখা ও স্বপ্ন দেখানোর একাল সেকাল ০৩ জুলাই ২০১৭
  • ==============================================
  • (২৫) বেতার যন্ত্রের ঐহিত্য আজ লুপ্তপ্রায়! (২১.০৭.২০১৭): রেডিও বা বেতার যন্ত্র আজকাল কদাচিৎ চোখে পড়ে; বস্তুত: এটা এখন লোকচক্ষুর অন্তরালে। বলা চলে এক সময়ের অতি জনপ্রিয় ও অভিজাত পরিবারের নান্দনিক বিনোদন যন্ত্র রেডিও আজ হিমঘরে আশ্রয় নিতে বসেছে। অথচ অর্ধ শতাব্দীরও কম সময় আগে ছোট্ট এই যন্ত্রের কি কদরই না ছিল!…….দশকের পুরোটা সময় রেডিও’র একটা আলাদা ঐতিহ্য ছিল। এ সময়টাতে রেডিও সগৌরবে মাথা উঁচু করে দাপিয়ে বেড়িয়েছে দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে এবং দেশ থেকে দেশান্তরে। বিনোদনের অংশ হিসেবে গান শোনা, নাটক শোনা, যাত্রা শোনা, খবর শোনা যেন ছিল রেডিওর একটা অন্যতম এবং নিয়মিত অণুসঙ্গ।এখন টিভিতে যেমন বিভিন্ন পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচারিত হয়, একইভাবে আজ থেকে তিন/চার দশক আগে রেডিওতে বিভিন্ন পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচারের সাথে সাথে নতুন মুক্তিপ্রাপ্ত ছবির চমৎকার বিজ্ঞাপন শুনে শুনে চলচিত্রের প্রতি মানুষের আগাম আগ্রহ জন্মাতো এবং চলচিত্র দেখার আগেই চলচিত্রের গানগুলোর অনুরণন ছড়িয়ে পড়তো হাটে মাঠে ঘাটে এবং মানুষের মুখে মুখে; তৈরি হতো এক অন্য রকমের বিনদনীয় আবহ!………..বেতার যন্ত্রের সাথে এমনিভাবে এ দেশের সব শ্রেণি পেশার মানুষের মন মুকুরে জড়িয়ে আছে আরো কত শত মধুর স্মৃতিকথা!!আজকের নব প্রজন্মের কাছে বেতার কেন্দ্রিক এসব কথার সাজিকে পাগলের প্রগলভতা বা হাস্যকর বলে মনে হলেও এটাই ছিল চরম সত্যের পরম পরশে মোড়ানো ফিরে দেখা ইতিহাসের একটা বিশেষ প্রমাণিক দলিল!…………..…….বিস্তারিত দেখুন…………
  • ২৫ বেতার যন্ত্রের ঐতিহ্য আজ লুপ্তপ্রায় ২১ জুলাই ২০১৭
  • ================================================
  • (২৬) ৩৭ বছর পরে বন্ধুদের মিলন মেলায় দেখা হলো আমেরিকা প্রবাসী বন্ধু ডা. মাহমুদের সাথে।(০৪.০৮.২০১৭);মাহমুদুল ইসলাম সিদ্দিক, কুষ্টিয়ার কৃতি ও বনেদী পরিবারের সন্তান; আমার স্কুল জীবনের বন্ধু। কুষ্টিয়া জেলা ইস্কুল থেকে এক সাথে ১৯৭৮ সালে এসএসসি পাশ করি। কুষ্টিয়া কলেজে পড়াশুনাও করেছি একত্রে। ১৯৮০ সালের ০৬ অক্টোবর ইন্টারমিডিয়েট রেজাল্ট বেরুনোর পরে আমরা সবাই নেমে পড়ি ভর্তি যুদ্ধে; ফলে সঙ্গত কারণে আমাদের মধ্যকার বিনা সূতোর বন্ধনে কিঞ্চিৎ টান পড়তে থাকে। ……………………যোগ্যতানুসারে সে সময় আমার সুযোগ ঘটে ময়মনসিংহস্থ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদে ভর্তির ।মাহমুদদের পরিবারের অনেক সদস্য তখন আমেরিকার গ্রীণ কার্ডধারী। ……………… নানান প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে মাহমুদ দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি না হয়ে পাড়ি জমায় দুর প্রাচ্যে, সেখানে চিকিৎসা শাস্ত্রে পড়ালেখা করে চিকিৎসা পেশাকে ব্রত হিসেবে নিয়ে সেই থেকে ডা. মাহমুদ স্থায়ী বসবাস করছে নিউইয়র্কের উপকন্ঠ নিউ জার্সিতে।১৯৮২ সালে দেশ ত্যাগের পরে ১৯৮৭ সালে মাহমুদ আমেরিকা থেকে প্রথমবারের মত দেশে আসে তখন আমি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। সে সময় ঢাকা এবং কুষ্টিয়াতে অবস্থানরত অনেকের সাথে মাহমুদের দেখা হলেও আমার সাথে এই ৩৭ বছরের মধ্যে একটিবারের জন্যে দেখা হয়নি । ১৯৮৭ সালের পর থেকে মাঝে মাঝে দেশে ফিরে মাহমুদ বন্ধুদের নিয়ে কুষ্টিয়া ও ঢাকাতে আনন্দ জটলা করে থাকলেও দুর্ভাগ্যক্রমে আমি কখনো সেই আনন্দযজ্ঞে অংশ নিতে পারেনি। তাই চাকুরি জীবনের এই শেষ বেলা এসে সে সুযোগটা আর মিস করতে চাইনি। ভিনি ভিসি ভিডি এলাম দেখলাম জয় করলাম, সস্ত্রীক মাহমুদ আয়োজিত নিকট বন্ধুদের মিলন মেলায়।…………..…….বিস্তারিত দেখুন…………
  • ২৬ আমেরিকা প্রবাসী ডা.বন্ধু মাহমুদের মিলন মেয়ায় ০৪ আগস্ট ২০১৭
  • ================================================
  • (২৭) সৌরভে, গৌরবে, অম্লান স্মৃতিতে আমার গর্বিত বিদ্যাপীঠ; বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়!(০৮.০৮.১৭);………ক’দিন ধরে ময়মনসিংহস্থ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কিত একটা সুখবর ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে এফোঁড় ওফোঁড় করে বেড়াচ্ছ! বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক র‍্যাঙ্কিং এ বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম হয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি)।খবরটা দেখতেই নিজের স্মৃতিতে এক লহমায় অনেক কিছু মনে পড়ে গেল। “একদিন বাঙালী ছিলাম রে……” কুমার বিশ্বজিতের জনপ্রিয় গানের মত গলা ছেড়ে আমারো গাইতে মন চাইছিল, একদিন ঐ বিদ্যাপীঠের ছাত্র ছিলাম রে……।ওদিকে আমার বিদগ্ধ এবং নিয়মিত ফেসবুক পাঠক শ্রদ্ধাভাজন অশোক দা এমন খবরটি শেয়ার করে এ বিষয়ে আমাকে কিছু লেখার অনুরোধ করেন।আমেরিকাতে অবস্থানরত দিলরুবা শিউলীর সাথে গতরাতে ফোনালাপের এক পর্যায়ে এমন আলাপচারিতায় সেও এ বিষয়ে আমার কাছ থেকে ভাল কিছু লেখার প্রত্যাশা করে।মেহেরপুর থেকে আরেকজন অনুজ ফেসবুক বন্ধু মোফাকখারও এ ধরনের খবরটি শেয়ার করে আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করে।এতদ্ব্যতীত আরো অনেক ফেসবুক পাঠক খরবটি শেয়ার করে তাদের উষ্ণ অনুভূতি ও ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছেন।ইত্যবসরে কাকতালীয়ভাবে আজই অপরাহ্নে কথা হয় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক শ্রদ্ধাভাজন ড. এ. এস. এম. জিয়াউল করিম স্যারের সাথে। স্যারের কাছে আমার খসড়া লেখার খানিকটা পড়তেই স্যার “অসাধারণ” বলে মন্তব্য করেন।সব মিলিয়ে এ বিষয়ে আমি আমার মত করে কিছু লেখার তাগিদ অনুভব করতেই কিছু লিখতে শুরু করলাম, তবে শেষতক এটা কতটা পাঠকপ্রিয়তা পাবে সে বিবেচনার ভার আপনাদের উপরেই রইলো।….…….বিস্তারিত দেখুন…….
  • ২৭ সৌরবে গৌরবে অম্লান স্মৃতিতে বাকৃবি ০৮ আগস্ট ২০১৭
  • ================================================
  • (২৮)আমার স্মৃতিতে আমার প্রীতিতেপ্রয়াত নায়করাজ রাজ্জাক!(২২.০৮.১৭);গতকাল সন্ধ্যা ৬.১৩ মিনিটে ঢাকার অভিজাত বেসরকারি ইউনাইটেড হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন বাংলা চলচিত্রের কিম্বদন্তী নায়করাজ রাজ্জাক। তাঁর মৃত্যু খবর ছড়িয়ে পড়ার সাথে চলচিত্র অঙ্গন সহ সাধারণ মানুষের হৃদয়ে নেমে আসে শোকের কালো ছায়া। মুহুর্তে এই শোকের মাতম ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়াতে। দ্রুত গোটা বিশ্বের বাংলা ভাষাভাষী সকল মানুষের কাছে পৌঁছে যায় এই বেদনাবিধুর খবরটি। সাথে সাথে তাঁর জীবন কর্ম নিয়ে আলোচনা পর্যালোচনা টক অব দ্যা কান্ট্রিতে পরিণত হয়। আজ দেশের সব জাতীয় দৈনিক অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে ছেপেছে এই শোক সংবাদটি; স্মৃতিচারণ প্রকাশ করেছে তাঁর জীবন ও কর্মের অসামান্য সফলতা নিয়ে। ইলেকট্রনিক মিডিয়াও সমভিব্যাহারে প্রচার অব্যাহত রেখেছে তাঁর জীবনের বর্ণিল অধ্যায়।চলচিত্র জগতের এই প্রবাদ পুরুষের বর্ণাঢ্য জীবন নিয়ে কোন কিছু লেখার ধৃষ্টতা ও যোগ্যতা কোনটাই আমার নেই। একজন অতি সাধারণ চলচিত্র প্রেমিক হিসেবে আমার সাথে নায়করাজের একটা প্রীতিময় স্মৃতির বিনাসূতার মেলবন্ধন ছিল বৈ কী! সেটারই এক চিলতে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাইছি মাত্র।….…….বিস্তারিত দেখুন…….
  • ২৮ প্রয়াত নায়করাজ রাজ্জাক স্মরণে ২২ আগস্ট ২০১৭
  • ================================================
  • (২৯) দশম মৃত্যু দিবসে, বুবু তোমায় মনে পড়ে! (৩১.০৮.২০১৭);…..প্রিয় বুবু,দেখতে দেখতে আজ তোমার ১০ম মৃত্যুদিন চলে এলো। ২০০৮ সালের এদিনে তুমি আমাদের সবাইকে ফেলে চলে গিয়েছ না ফেরার দেশে! জানি তুমি আমাদের ছেড়ে যেতে চাওনি কিন্তু নিয়তির নির্মম পরিহাসে যন্ত্রদানব ট্রাকের বেশে মৃত্যুদূত আজরাইল সেদিন কুষ্টিয়া শহরের উপকন্ঠ লাহিনী বটতলায় তোমার প্রাণসংহার করে নিয়ে চলে গেল। হয়ত আল্লাহপাক তোমার জন্যে এই সময়টুকুই বরাদ্দ রেখেছিলেন। তাই তুমি তোমার স্বামী সংসার ছেলেমেয়েদেরকে অকূলে ভাসিয়ে দিয়ে, আর আমাদের মত অসংখ্য গুণগ্রাহীদের কাঁদিয়ে চলে গেলে অন্তহীন গন্তব্যে,যেখান থেকে আর কেউ কোনদিন ফিরে আসে না।বুবু এমন কেন হলো?কি ছিল তোমার অপরাধ?তুমি আমার মায়ের পেটের একমাত্র বোন বলে বলছি না, তোমার মত এমন আপাদমস্তক ভালমানুষ কেন অকালে চলে যাবে, এ প্রশ্ন নিতুই আমাকে তাড়া করে!!তুমি বিহীন তোমার সেই সাজানো গোছানো সংসারটি আজ আর তেমন নেই। কেমন যেন ছন্নছাড়া হয়ে গেছে সবকিছু!তোমার সবচে কাছের মানুষ তোমার স্বামী প্রবর তো কার্যত তোমার কবরের মাটি শুকানোর আগেই দ্বিতীয় দার পরিগ্রহণ করে দিব্যি আছে, সেখানে তার নতুন বংশবদও এসেছে! হয়ত তার জন্য এটা অপরিহার্য ছিল কিন্তু তোমার পাশে কাউকে মেনে নেয়া তো আমার জন্যে কষ্টকর!তোমার পুত্র কনে কারুর সম্পর্কে কোন নেতিবাচক খবর শুনলে মনটা খারাপ হয় যায় আর অবচেতন মনেই স্বগতোক্তি করে বলি,”ইশ্ আমার বুবু বেঁচে থাকলে এমনটি হতো না..”। না বুবু তোমার ছেলেমেয়েরা সবাই তোমার আদর্শ নিয়ে বড় হতে পারিনি, এ কষ্ট আমাকে সব সময় আহত করে।তোমার চলে যাওয়াতে কার কী ক্ষতি হয়েছে, জানিনে তবে আমার অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে, যা আমৃত্যু পূরণ হবে না!! আমার আত্মজীবনী লেখার পরতে পরতে তোমাকে অনুভব করি কারণ অসম্ভব স্মৃতিশক্তি আর ধীশক্তির অপূর্ব সমন্বয় ছিল তোমার মধ্যে, ফলে তোমার কাছ থেকে সম্ভাব্য পুরানা দিনের তথ্য পাওয়ার সমস্ত পথ আমার চিরতরে রুদ্ধ হয়ে গেছে।….…….বিস্তারিত দেখুন…….
  • ২৯ দশম মৃত্যু দিবসে বুবুকে মনে পড়ে ৩১ আগস্ট ২০১৭
  • ================================================
  • (৩০) পল্লী উন্নয়নের অন্যতম রূপকার প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম সিদ্দিক স্মরণে। (০১.০৯.২০১৭);কুষ্টিয়ার কৃতি সন্তান, পল্লী উন্নয়নের অন্যতম রূপকার, বহুমুখী সৃষ্টিশীল প্রতিভার অধিকারী, সততা, যোগ্যতা দক্ষতা ও অসীম ধীশক্তি সম্পন্ন প্রজ্ঞাবান ক্ষণজন্মা প্রবাদ পুরুষ, বাংলার গর্ব, আন্তর্জাতিক খ্যতিসম্পন্ন প্রকৌশলী ও প্রাক্তন সচিব, বীর মুক্তিযোদ্ধা, কামরুল ইসলাম সিদ্দিক’র আজ দশম মৃত্যু দিবস। ২০০৮ সালের এ দিনে তিনি পরলোকগমন করেন। তাঁর মৃত্যু দিবস উপলক্ষে বরেণ্য এই মানুষটির কনিষ্ঠ ভ্রাতা ডা. মাহমুদুল ইসলাম সিদ্দিক’র ঘনিষ্ট বন্ধু হিসেবে হৃদয়ের একান্ত আকুতি নিয়ে লেখা এই প্রতিবেদনটি পাঠকূলের জন্যে একটা শিক্ষণীয় সুখপাঠ্য হিসেবে কিম্বদন্তী মানুষটি সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে বুঝতে ও শিখতে সহায়তা করবে বলে আমার বিশ্বাস। তাই আমার পাঠককূলকে ধৈর্য্য সহকারে প্রয়াত প্রকৌশলী সম্পর্কিত এই স্মারণিক লেখাটি পড়ার অনুরোধ রইলো।কামরুল ইসলাম সিদ্দিক একজন সাধারণ মানুষ, একজন প্রকৌশলী; স্বীয় যোগ্যতা দক্ষতা ও অসীম ধীশক্তির অধিকারী এই মানুষটি নিজের কর্মগুণে বাংলাদেশ তথা বিশ্ব দরবারে নিজের অবস্থানকে সুদৃঢ় করে একটা সময় সাধারণ থেকে হয়ে উঠেছিলেন অসাধারণ। যারা একটু পড়ালেখা জানেন তারা কামরুল ইসলাম সিদ্দিকের নাম শোনেননি বা তাঁর সম্পর্কে দুচার কথা জানেন না এমন মানুষ অন্তত: এই বাংলায় খুঁজে পাওয়া বিরল। আজ তাঁর দশম প্রয়াণ দিবস। ২০০৮ সালের এই দিনে সাত সমুদ্দুর তেরো নদীর ওপারের আমেরিকাতে অনেকটা অসময়ে প্রাণ হারাণ বাংলার এই প্রবাদ পুরুষ।তাঁর এই চলে যাওয়াতে দেশ অনেক কিছু থেকে বঞ্চিত হয়েছে বলে বিদগ্ধজনেরা আজও মনে করেন। তাঁর এই প্রয়াণ দিবসে আজ দেশে বিদেশে তাঁর সম্মানে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে; পত্র পত্রিকা তাঁর জীবানালেখ্য নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, চলছে লেখালেখি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, তাঁর গুণগ্রাহী শুভানুধ্যায়ীরা তাঁর অসামান্য অবদানকে স্মরণ করে নানান অনুষ্ঠান পরিচালনা করছেন, হচ্ছে তাঁর সম্মানে দোয়া মাহফিল।তাদের সাথে সুর মিলিয়ে ক্ষণজন্মা এই মানুষটি সম্পর্কে দুচার কথা বলতে চাইছি মাত্র।….…….বিস্তারিত দেখুন…….
  • ৩০ প্ল্লীর রূপকার প্রয়াত কামরুল ইসলাম সিদ্দিক সম্রণে ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  • ================================================
  • (৩১) অবিমিশ্র প্রতিক্রিয়া আর বিনম্র শ্রদ্ধায় বাবাকে মনে পড়ে।(০৫.০৯.২০১৭);১৯৯৯ সালের এদিনে বার্ধক্যজনিত কারণে আট দশকের অধিক সময় এ ধরনীর রূপ রস গন্ধ উপভোগ করে আমার বাবা আমাদের সবাইকে ছেড়ে চলে যান। মৃত্যুকালে বাবার কাছে থাকার সুযোগ হয়নি। তবে বাবার শেষকৃত্যানুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পেরছিলাম।ধীরে ধীরে বাবা বার্ধক্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন বলে আমাদের কিছুটা মানসিক প্রস্তুতি ছিল। তবে আমার একটা ইচ্ছে ছিল যে, বাবাকে আমার পি-এইচ.ডি প্রাপ্তির খবরটা জানানো কিন্তু আমার সে সৌভাগ্য হয়নি। আমার পি-এইচ.ডি প্রাপ্তির মাত্র ৩৯ দিন আগে বাবা আমাদের ছেড়ে চলে যান। ফলে সে কষ্টটা আজও আমাকে তাড়া করে!অসম্ভব সামাজিক, বন্ধু বৎসল স্বাধীনচেতা আর প্রগতিশীল ঘরানার মানুষ ছিলেন আমার বাবা। স্বাধীনতা সংগ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের সার্বিক সহযোগিতার ব্যাপারে বাবার অনবদ্য ভূমিকা ছিল। বাবা ছিলেন প্রচণ্ড রকমের ধর্মভীরু কিন্তু ধর্মান্ধ নন। আমাদের নিজ গ্রামের (দুর্বাচারা,সদর,কুষ্টিয়া) বাজারে “দুর্বাচারা বাজার জামে মসজিদ” নির্মাণে অগ্রপথিক এবং অন্যতম উদ্যোক্তার ভূমিকায় ছিলেন আমার বাবা। “দুর্বাচারা বাজার মসজিদের সাহায্যার্থে মুক্ত হস্তে দান করুন” এমন একটা প্লাকার্ড লাগিয়ে বাবাকে মসজিদের জন্য হাটে বাজারে ও গ্রামে গ্রামে দান সংগ্রহ করতে দেখেছি।….…….বিস্তারিত দেখুন…….
  • ৩১ প্রয়াণ দিবসে বাবাকে মনে পড়ে ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  • =================================================
  • (৩২) স্মৃতি বিস্মৃতির দোলাচালে প্রয়াত আসলাম ভাইকে মনে পড়ে।(১২.০৯.২০১৭);বছরের অনেক গুলো দিনের মত আজকের এই দিনটিতে বরাবরের মতই আসলাম ভাইকে একটু বেশি মিস করি।আসলাম ভাই আমার মামার ছেলে; আসলাম ভায়ের বাবা আমার মায়ের মামাতো ভাই। আমার নিজের কোন মামা না থাকার দরুন মার মামাত ভাই হয়ে ওঠে নিজের মামা । একসময় আমার নানী যখন তাঁর বৈধব্যকে বরণ করে স্বামীগৃহ ছেড়ে তাঁর একমাত্র সন্তান আমার মাকে নিয়ে নানীর বাবা বাড়ি চলে যান সেই থেকে মার মামা বাড়ি হয়ে যায়, আমাদেরও মামাবাড়ি, যার অবস্থান কুষ্টিয়া শহরতলী লালন মাজারের দক্ষিণাবর্তী ছেঁউড়িয়া গ্রামে।যুদ্ধবিদ্ধস্থ বাংলাদেশে, সবে পঞ্চম শ্রেণি শেষ করে প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেছি; গ্রামের হাইস্কুলে পড়ালেখার মান ভাল নয়, তাই সিদ্ধান্ত হলো আমাকে শহরের স্কুলে ভর্তি করানো হবে এবং থাকতে হবে, নানী বাড়িতে নানীর কাছে।…………১৯৭৩ সালের ০৬ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার। শৈশব আর কৈশরে বেড়ে ওঠা চিরচেনা গ্রাম ছেড়ে, গ্রামের বন্ধুদের ছেড়ে, ডাঙ্গুলি কানমাছি আর চড়ুইভাতি খেলা সাথীদের ফেলে নবতর কিছু প্রাপ্তির আশায় বাই সাইকেলের পেছনে বসে বড় ভায়ের সাথে করে বাবার পরিত্যক্ত ভাঙা সুটকেসের মধ্যে কয়েকটি নিজের ব্যবহৃত পোশাক নিয়ে, নতুন গ্রামীণ চেকের নীলাভ রংয়ের শার্ট ও ছাই রংয়ের ইংলিশ প্যান্ট পিন্দে আমার অগ্রায়ন শুরু হলো উচ্চবিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সূচনা পর্বের। আশা নিরাশা প্রত্যাশা প্রাপ্তি পাওয়া না পাওয়ার একটা অবিমিশ্র প্রতিক্রিয়া নিয়ে সকাল ৯ টার দিকে নানী বাড়ি পৌঁছে যাই: অতপর রিলে রেসের মত প্রয়োজনীয় টাকা পয়সা দিয়ে আমার বড় ভাই মামার ছেলে আসলাম ভায়ের কাছে হস্তান্তর করে আমাকে হাইস্কুলে ভর্তির জন্যে। আসলাম ভাই তখন আমার ভর্তিচ্ছু কুষ্টিয়া শহরের মিলপাড়াস্থ মোহিনী মোহন বিদ্যাপীঠ হাইস্কুলের ১০ম শ্রেণির সিনিয়র ছাত্র। আসলাম ভায়ের সাথে ১.৭৫ কিমি পায়ে হেঁটে স্কুলে পৌঁছি। আসলাম ভাই আমাকে ক্লাস সিক্সে ভর্তি করে দিল, রোল নং হলো ৪১। ভর্তি শেষে নানী বাড়ি ফিরে , আমার বড় ভাই আমাকে একা রেখে চলে গেলেন। আসলাম ভায়ের সাথে রাতে এক বিছানায় ঘুমানোর মাধ্যমে শুরু হলো আমার বাবা মা আর চিরচেনা শৈশব কৈশরের বন্ধু বিহীন একাকী থাকার বিরহ জীবন।….…….বিস্তারিত দেখুন…….
  • ৩২ প্রয়াত আসলাম ভাইকে মনে পড়ে ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  • =============================================
  • (৩৩) বন্ধুত্বের গুনাহ্গারী! বিনাপাপে গুরুদণ্ড!! বন্ধুগণ সাবধান!!! (১৬.১০.২০১৭):……..১৯৭৯ সালের মার্চ মাস, ততদিনে কুষ্টিয়া সরকারী কলেজে অনেকদিনই আমাদের পাঠভ্যাসের পাঠ শেষ হয়েছে। আমাদের দুই সেকশন মিলিয়ে দুই শতাধিক ছাত্র ছাত্রীর বিপরিতে ছাত্রীর সংখ্যা ছিল হাতে গোনা ১০/১২ জনের মত। এই ক’জন নারী বন্ধু স্যারদের পেছন পেছন ক্লাসে প্রবেশ করতো এবং একটা ক্লাস থেকে আরেকটা ক্লাসের মাঝে যে ৫ মিনিট বিরতি থাকতো তখনও ঐ বান্ধবীরা স্যারদের পেছন পেছন বেরিয়ে গিয়ে বারান্দার এক কোণে দাঁড়িয়ে থেকে নিজেদের মধ্যে মেয়েলী খুনসুটি করতো।কড়া অনুশাসন! কলেজ করিডোরে কোন ছাত্র, কোন ছাত্রীর সাথে কথা বললে নিশ্চিত বিপদ, রাসটিকেটের তকমা হাতে নিয়ে কলেজ থেকে বিতাড়িত হওয়ার ভয়ে আমরা সবাই তটস্থ থাকতাম।এরই মধ্যে আকস্মিকভাবে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ২ কিমি দক্ষিণে কলেজে যাতায়াতের পথে আলাপ হয় মেরুন রংয়ের জামা পরিহিতা জনৈক উচ্চবর্ণের সনাতন ধর্মাবলম্বী প্রকৌশলীর আত্মজা এক বান্ধবীর সাথে যে কিনা আমার থেকে অনেকখানি দীর্ঘাঙ্গীও বটে! কথা বলার সাহস নেই, তার উপরে “তুমি” বলা!! নিশ্চিত কেউ জানলে প্রাণ ওষ্ঠাগত হবে! তাই তাকে যথারীতি দিদি বলে সম্বােধন করতে থাকি। সেও আমাকে নজরুল (আমার ডাক নাম) ভাই ডাকে। আমাদের স্কুলের জনৈক বিজ্ঞান শিক্ষকের কাছে আমার এই বান্ধবীটি এসএসসি পরিক্ষার আগে প্রাইভেট পড়ার কারণে অামার ঐ প্রয়াত শ্রদ্ধাভাজন স্যার থেকে আমার ব্যাপারে কিছু বিশেষ ইতিবাচক বিশেষণ বান্ধবীটির আগেই জানা ছিল, ফলে আলাপটা একটু জমে উঠলেও সেটা কখনো পরিচয়ে রূপান্তরিত হয়েছে বলা যাবে না।কলেজে পড়াকালীন সময়ে কলেজে যাওয়া আসার পথে সাকুল্যে এই বান্ধবীর সাথে দেখা সাক্ষাত ও কথা হয়েছে সর্বোচ্চ ১০ দিনের বেশি নয়! কিন্তু কলেজে ক্যম্পাসে তার সাথে কোনদিন একটা বাক্যও বিনিময় হয়নি। ১৯৮৩ সালের কোন এক শুভক্ষণে কুষ্টিয়া কলেজে মূল সনদ আনতে যেয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনের বারান্দায় তার সাথে দেখা। দু চারটে কথা হলো। জানলাম সে পরের বছর ইন্টার পাশ করে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে পাস কোর্সে বি-এসসি ক্লাসে অধ্যায়নরতা, সাথে আমাদের আরেক বান্ধবীও (তার নামটা ইচ্ছে করে বললাম না, তবে সে এখন বিশেষায়িত একটা ব্যাংকের পদস্থ কর্মকর্তা) ছিল। এবারে লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে বান্ধবীকে দিদি নয় নাম ধরে তুমি করে বললাম কারণ ততদিনে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে আমি বেশ স্মার্ট হয়েছি, গেঁয়ো ভূতের খেতাব ততদিনে মন থেকে দুর হয়েছে। আমার এমন আচরণে বান্ধবীর মধ্যেও যেন একটু আড়মোড় ভাব আর কিয়ৎ জড়তা লক্ষ্য করলাম। শেষ হলো ৫/১০ মিনিটের আরেক উপাখ্যান!এ ঘটনার অনেকদিন বাদে ফ্লাইং রিপোর্টে অবগত হই আমাদের সেই বান্ধবী জনৈক চিকিৎকের পাণি গ্রহণ করে সপরিবারে দুরপ্রাচ্যে অবস্থান করছেন। খুশিই লাগলো, তার সদ্গতি হয়েছে জেনে।..…….বিস্তারিত দেখুন……
  • ৩৩ বন্ধুত্বের গুণাগারী বিনাপাপে গুরুদণ্ড ১৬ অক্টোবর ২০১৭
  • =================================================
  • (৩৪) যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে…….(০৩.১১.১৭); গতকাল গভীর নিশিথে ঘুমুতে যাবার আগে আমার প্রিয় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোটোকনোলজি ডিসিপ্লিনের AT-13 ব্যাচের বিদায়ী ছাত্রী স্নেহাস্পদ নন্দিনার একটা আবগময় ব্যঞ্জনায় পরিপূর্ণ স্ট্যাটাস দেখছিলাম; সেটা ছিল গতকাল ওদের চূড়ান্ত বর্ষের শেষ ক্লাস করার মাঝ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের টার্মিনাল কোর্সের ইতি টানার, গল্প গাঁথার সাতকাহনের কথকতা! নন্দিতার লেখার পরে ওদের আরো কয়েকজনের বন্ধুর ইমোশনাল আর স্পিরিচুয়াল লেখা চোখে পড়লো। এটা দেখতে দেখতে ওদের বন্ধু ইমতিয়াজ মেসেঞ্জারে তার বিদায়ের করুণ আকুতি জানিয়ে ক্ষুদে বার্তা পাঠালো। ওদের এই বিরহ ব্যথা আবেগ অনুভূতি আর উচ্ছ্বাস দেখে আমি নিজেও অবচেতন মনে অনেকটাই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়লাম। ততক্ষণে নিদ্রাদেবী তিরোহিত হলো; কেবলই মনে হতে লাগলো গুরুজীর ঐ গানের কলি: যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে………..। সেইসাথে মনে পড়লো আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনের শেষের দিকের দিনলিপির কথা।.…….বিস্তারিত দেখুন……
  • ৩৪ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতিচারণ ০৩ নভেম্বর ২০১৭
  • ============================================