আমার বৈশিষ্ট্য ও জীবন দর্শন

  • এই অংশে আপনি আমার সম্পর্কে যা জানতে পারবেন:
  • —পরিকল্পিত ও পরিচ্ছন্ন জীবন:
  • —সুখী সুন্দর জীবন পরিচালনা:
  • —কল্পিত সুন্দর জীবনের রূপরেখা:
  • —নিজেকে চিনতে জানতে ও বুঝতে চেষ্টা করি:
  • —জীবন ও জগতকে বুঝতে চেষ্টা করি:
  • —প্রবল ইচ্ছেশক্তির প্রয়োগ:
  • —কাজ করার  সক্ষমতা ও ধৈর্য্য:
  • —কথা দিলে কথা রাখি:
  • —আমার শৃঙ্খলিত জীবন:
  • —অলসতা কে না বলি:
  • —আমার বিনোদন:
  • —আমার খাবার:
  • —আমার পোশাক পরিচ্ছেদ:
  • —বন্ধু বৎসল আমি:
  • —বিশ্বাস করে বিড়ম্বিত হয়েছি!
  • —আমাকে সবাই ব্যবহার করে:
  • —আমার ধর্ম দর্শন:
  • —আমি কেমন মানুষ!
  • —আমার অর্জন:
  • —আমার দুঃখ কষ্ট:
  • —আমার সুনাম দুর্নাম:
  • —আমার শখ:
  • —আমার যত দোষ
  • ——————————————-
  • পরিকল্পিত ও পরিচ্ছন্ন জীবন:
  • আমি বরাবরই একটু ব্যতিক্রমী মানুষ। সেই ছোটবেলা থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত আমার আর সব ভাই বোন অপেক্ষা একটু ভিন্নতর বৈশিষ্ট্য নিয়ে আমি আমার জীবন  পরিচালনা করে যাচ্ছি। আমি সব সময় ক্ষণস্থায়ী এই জীবনটাকে পরিকল্পিত উপায়ে পরিচালনা করতে চেষ্টা করি। এক কথায় আমার জীবনযাত্রা সুপরিকল্পিত ও সুশৃঙ্খলিত। বাৎসরিক বাজেটের মতই আমার অনাগত জীবনটা কিভাবে পরিচালনা করবো সে ব্যাপারে আমার একটা সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা আছে, যা কখনো কখনো পরিবর্তিত হয়ে থাকে। বস্তুতঃ পরিকল্পিত জীবন পরিচালনার মধ্যে একটা শান্তি আছে।
  • সেইসাথে আমি আমার নিজস্ব আবাসস্থল পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করি। আমার আবাসস্থল ও কর্মস্থল পরিচ্ছন্ন না থাকলে আমি কাজেকর্মে ঠিকমত মন বসাতে পারিনি। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ(Cleanliness is part of the faith), এই বিষয়টি পুরোপুরি মেনে চলতে চেষ্টা করি। স্বভাবিকভাবে এটার ব্যর্তয় তেমন একটা হয়না; তবে পরিকল্পিত জীবন পরিচালনা করার মধ্যে আলাদা একটা মজা আছে। এই যে আমি  আমার একটা ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট পরিচালনা করছি, এটাও আমার পরিচ্ছন্ন ও পরিকল্পিত জীবনের অন্যতম অনুসঙ্গ। আপনি নিজে পরিকল্পিত ও পরিচ্ছন্ন জীবন পরিচালনা করে সুস্থ থাকুন।
  • সুখী সুন্দর জীবন পরিচালনা:
  • মানুষের সব আশা আকাঙ্খা তো এক জনমে পূরণ হয়না,তাই আমার যা কিছু আছে সেটা নিয়ে নিজেকে সুখী ভাবতে চেষ্টা করি।এই বিশ্ব ব্রাহ্মাণ্ড তথা মহাজগতের বিশালত্বের তুলনায় মানুষের জীবনটা একেবারে তুচ্ছ!বস্তুত: জীবন শুরু করতে না করতেই যেন বিদায়ের ঘন্টা বাজতে শুরু করে। মনে হয় এই তো সেদিন চাকুরি শুরু করলাম, বিয়ে শাদী করে সংসার শুরু করলাম। এখন দেখছি চাকুরি শেষের পথে, প্রকৃতির অমোঘ নিয়মে শরীর ও মনে বয়সের ছাপ দ্রুত প্রলম্বিত হচ্ছে; তাই অতি ছোট্ট এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে আমি সর্বদাই চেষ্টা করি আমার যা কিছু সেটাই নিয়ে সুখে থাকতে। সবচে বড় কথা এ পৃথিবীতে যতদিন বেঁচে আছি, এই পৃথিবীর রূপ রস গন্ধে আপ্লুত হচ্ছি ততদিন সেটা দৃশ্যমান অবস্থায় ভোগ করতে পারছি; কিন্তু মারা গেলে যা হবে সেটা অদৃশ্য, কতকটা কল্পনা এবং ধর্মীয় বিশ্বাস নির্ভর, তাই আমি মনে করি যতদিন শ্বাস ততদিন আশ। আমাদের প্রত্যেকের উচিৎ প্রতি সেকেণ্ড সময়কে শ্রদ্ধা করে সেটার সদ্ব্যবহারের মাধ্যে নিজেদের স্ব স্ব জীবনকে সুখী করে তোলা।
  • কল্পিত সুন্দর জীবনের রূপরেখা:
  •  মানব জীবন বড়ই বিচিত্র। প্রত্যাশা প্রাপ্তির বিষয়গুলো বেশ জটিল। কার জীবনে কখন কিভাবে কি ঘটবে সেটা একমাত্র সৃষ্টিকর্তা ছাড়া কেউ বলতে পারে না। সব সময় যোগ্যতা দক্ষতা আর অভিজ্ঞতা দিয়ে জীবনের সব প্রাপ্তি অর্জন সম্ভব নয়্ ; চেষ্টা করলে মানুষ সব কিছু অর্জন করতে পারে না। আর নাস্তিকদের ভাষায় ভবিষ্যতে কী হবে সেটা প্রাকৃতিক নিয়ম। তবুও মানুষ ভালভাবে বাঁচতে চায়, সুন্দরভাবে তার অনাগত দিন কাটাতে চায়। এ ব্যাপারে আমার একটা পরিকল্পনা আছে সেটা দেখতে এই লিঙ্কে যান:http://drakhtaruzzaman.info/ আপনাদের কলাম /সুখী-জীবনের-রূপরেখা/
  • নিজেকে চিনতে জানতে ও বুঝতে চেষ্টা করি:
  • আমাদের সবচে বড় সমস্যা হলো আমরা আমাদের নিজেদেরকে কখনো জানতে বা বুঝতে চাইনা; কিন্তু আমি সব সময় নিজেকে চিনতে জানতে ও বুঝতে চেষ্টা করি। রাতে শুয়ে শুয়ে সারাদিনে আমার কর্মকথা আচরণ বিচরণের নিরপেক্ষ মূল্যায়ন করে থাকি। কেউ আমার ভুল ধরিয়ে দিলে তাকে সাধুবাদ জানাই কারণ প্রথিতযশা অর্থনীতিবিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক, তত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রেহমান সোবাহানের একটা কালজয়ী মন্তব্য আমার খুব প্রিয়। অধ্যাপক সোবাহান বলেছিলেন “আমার সমালোচক আমার বন্ধু”; যে মন্তব্যটি নিয়ে দেশে বিদেশে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়ায় রেহমান সোবাহান সমধিক স্বীকৃত হয়েছেন। আমি সর্বজন শ্রদ্ধেয় জনাব রেহমান সোবাহানের এই কথাটি সব সময় মনের মধ্যে লালন করি। নিজের ভুল সব সময় নিজে থেকে বোঝা যায়না, তাই আমার ভুল কেউ ধরিয়ে দিলে বড্ড খুশি হই এবং পরবর্তীতে সেটা মেনে চলার চেষ্টা করি। নিজেকে চিনে নিজেকে বুঝে, আমি ভাল থাকতে চাই।মানব চরিত্রের সবচে বড় দৈন্যতা হলো আমরা নিজের ভুল কখনো বুঝতে চাইনে; আবার কেউ সেটা ধরিয়ে দিলে রুদ্ররোষে ফেটে পড়ি!
  • জীবন ও জগতকে বুঝতে চেষ্টা করি:
  • আমি শুধু আমার নিজেকে জানতে চিনতে ও বুঝতে চেষ্টা করিনা, চিনতে জানতে ও বুঝতে চেষ্টা করি জীবন ও জগতকে। কোত্থেকে এলাম, কোথায় যাব, এতবড় বিশাল বিশ্বব্রহ্মাণ্ড কোত্থেকে কিভাবে সৃষ্টি হলো। মৃত্যুর পরে কোথায় যাব, এ ব্যাপারে নাস্তিকের ব্যখ্যা কী, আবার ধর্মীয় ব্যাখ্যার ব্যাপারে বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ এসব নিয়ে বলা চলে এক ধরনের গবেষণা করে থাকি। আমি ডক্টরেট করেছি কৃষির উপরে এবং সেটা করতে যেয়ে দেশে বিদেশে অনেক মানুষের সাথে কথা বলতে হয়েছে, অনেক কিছু জানতে ও বুঝতে হয়েছে; ফলে এ সন্মন্ধে আমার ভাল একটা ধারণা বা ব্যাখ্যা আছে; আবার বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে আমি একটা আন্ত্য:মিল খুঁজতে চেষ্টা করি। সব মিলিয়ে জীবন ও জগৎ সম্পর্কে আমার একটা নিজস্ব একটা ব্যাখ্যা আছে। আমার এই ব্যক্তিগত ওয়েব সাইটের বিভিন্ন লিঙ্ক থেকে এ সম্পর্কে একটা  ধারনা পাবেন । সুতরাং আপনারা আমার সাথেই থাকবেন আশা করি। ভাল লাগবে বলে আশা করি।
  • প্রবল ইচ্ছেশক্তির প্রয়োগ:
  • আমার মধ্যে একটা আজব বৈশিষ্ট্য আছে, তাহলো আমি যদি একবার সম্ভাব্য কোন কিছু একটা করার ইচ্ছে করি তাহলে যেকোন ভাবে সেটা করার চেষ্টা করি। যদি মনে করি আজকে দিনের বেলা হাঁটা হয়নি এবং আগামীকালও দিনের বেলা হাঁটতে পারবো না, সেক্ষেত্রে শীতের সময় রাত ১২টায়  আবার কনকনে শীতের মধ্যে ভোর চারটের  ঘুঁটঘুঁটে অন্ধকারেও হাঁটতে গিয়েছি। ইচ্ছেশক্তির প্রয়োগে শরীরের উপরে প্রচণ্ড স্ট্রেস দিতেও কার্পণ্য করিনা।কাউকে কোন কথা দিলে বা প্রতিশ্রুতি দিলে সেটা বেদ বাক্যের মত নির্ধারিত সময়ের আগেই সম্পন্ন করার অভ্যাস আমার অনেক আগের। যদি বুঝি যে, কারুর কোন অনুরোধ রাখতে পারবো না, তাহলে বিনয়ের সাথে সেটা প্রত্যাখ্যান করি।
  • কাজ করার  সক্ষমতা ও ধৈর্য্য:
  • এখনো আল্লারপাকের ইচ্ছেয় আমি অনেক কষ্ট সহ্য করে রাত জেগে জেগে খেয়ে না খেয়ে অনেক বড় ধরনের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে পারি, যা অনেক কম বয়সী ছেলে মেয়েদের পক্ষেও করা সম্ভব নয়। এ ব্যাপারে সকল কৃতিত্ব ও কৃতজ্ঞতা মহান আল্লাহপাকের দরবারে; কারণ দয়াল বাবা যদি আমায় সুস্থ না রাখতেন আর মানুসিক শক্তি না দিতেন তাহলে কখনোই আমি কষ্ট সহ্য করে কম সময়ে বেশি কাজ করতে পারতাম না। তবে সময় সংকীর্ণতার কারণে বেশি স্ট্রেস পড়ে গেলে মনের মধ্যে একটু অস্থিরতা অনুভব করি। ন্যূনতম একটা সময় পেলে আমার উপরে অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে কোন অসুবিধে বোধ করিনা।
  • কথা দিলে কথা রাখি:
  • আমি বরাবরই আমার দেয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে চেষ্টা করি। যদি আমি বিশেষভাবে কাউকে কথা দিই তাহলে অবশ্যই সময়মত সেটা করে দিতে বিশেষভাবে চেষ্টা করি; সুতরাং আমি কাউকে কথা দেয়া মানে সেটার পূর্ণ বাস্তবায়ন। আমি আমার নিজের কাজে ফাঁকি দিলেও অন্যেকে দেয়া কথা রাখতে কোন প্রকার কৃপণতা করিনা। বস্তুত: আমার দেয়া প্রতিশ্রতি বাস্তবায়নের জন্যে নোট লিখে রাখি এবং সময়মত যেন মোবাইলে সেটা রিমাইণ্ড করতে পারি সে ব্যবস্থাও নিশ্চিত করি, ফলে সাধারণত: আমার দেয়া প্রতিশ্রুতি আমি সহসা ভুলে যায় না। একইভাবে কোথাও যেতে হলে আগে থেকেই আমি একটা চেক লিস্ট তৈরি করে রাখি, যেন ভুল না হয়। সেজন্যে ভুল শব্দটি আমার জীবনে খুব বেশি ক্ষতি করতে পারেনা।
  • আমার শৃঙ্খলিত জীবন:
  • আমার জীবনটা শুধু পরিকল্পিত নয়, আমি খুব শৃঙ্খলিত জীবন যাপনের চেষ্টা করি।আহার নিদ্রা, হাঁটাচলা, ব্যক্তিগত কাজ, অফিসের কাজ, আমার উপরে অর্পিত দায়িত্ব কর্তব্য সুশৃঙ্খলতার সাথে পালনের চেষ্টা করি। এজন্য অবশ্যই মানসিক জোর লাগে ;তবে কাজ করার পরে মানসিক শান্তিও পাই। এখানে যেটা না বললেই নয়, ছোটবেলা থেকে আমার ঘুম কম। রাতে মাত্র ৩/৪ ঘন্টা ঘুমুলেও আমি দিনের পর দিন ভাল মত কাজ করতে পারি। দিবা নিদ্রার কোন অভ্যাস আমার কোনকালেই ছিল না।
  • অলসতা কে না বলি:
  • অলসতা আমার জীবনের চরম ও পরম শত্রু। আমি সব সময় কোন না কোন কাজে ব্যস্ত থাকি। অহেতুক এবং অযথা সময় কাটানোর মত সময় আমার নেই। বিনোদনের বাইরে যতটা সময় পাই সেটুকুর সদ্ব্যবহার করি। এখন তো সময় পেলেই কম্পিউটার আর ইন্টারনেটে বসে কোন না কোন বই পড়ি না হলে শিক্ষণীয় কোন ডকুমেন্টারী দেখি নতুবা কম্পিউটারে কোন নতুন প্রোগ্রাম শিখি। এসব নিয়ে আমার এখন বেশ ভাল সময় কাটে। মনে হয় আট আনা জীবনের চার আনা যদি ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিই তাহলে আল্লার কাছে কী জবার দেব! কারণ আল্লাহপাক বলেছেন, “ইকরা বিছমি রাব্বি কাল্লাজি খালাক(পড় তোমার প্রভুর নামে যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন)”
  • আমার বিনোদন:
  • আমার বর্তমান সময়ের বিনোদন হলো আমার শক্তিশালী আনলিমিটিডে ক্যাপাসিটির ইন্টারনেট সংযোগ সম্পন্ন কম্পিউটার যন্ত্র; এটা থাকলে আমার সময় বেশ কেটে যায়। বিকল্প হিসেবে থ্রি জী নেট কানেকশন সহ একটা ভাল স্মার্ট ফোন থাকলেও মোটামুটি চালিয়ে নিতে পারি। এই কল্পিত জগতেই চলে আমার জ্ঞান সাধনা। অনেক কিছু এখনো জানার বোঝার ও শেখার চেষ্টা করি। মুখস্ত করি অনেক কিছু। সেই হিসেবে বলতে গেলে আমি অনেকটা ঘরকুণো ধরনের মানুষ।
  • খেলাধুলাতে ছোটবেলা হতেই ইন্টারেস্ট কম; মনে হয় একটা লম্বা সময় খেলা দেখার থেকে সেই সময়টুকু জ্ঞান চর্চা করলে কাজে লাগবে, এটা অবশ্য আমার একান্তই ব্যক্তিগত অভিমত।
  • পুরানা দিনের বাংলাদেশী সিনেমা ও সিনেমার গান খুব পছন্দের; পছন্দ ভারতের পুরানা দিনের কালজয়ী কণ্ঠবোদ্ধা লতা, মান্নাদে, সন্ধ্যা, হেমন্ত প্রমুখদের গান এবং বিশেষ বিশেষ কিছু নজরুল গীতি ও রবীন্দ্র সংগীত রয়েছে আমার পছন্দের তালিকায়। সময় পেলে ঘরের দরজা বন্ধ করে ফুল ভলিউমে গান শুনি না হলে জোস আসে না।
  •  পুরানা দিনের সিনেমা নাটক আমার ভীষণ পছন্দ। উত্তম সুচিত্রার অনেক ছবির ডায়লগ এখনো পুরো মুখস্ত বলে দিতে পারি। এখনো মহানায়ক উত্তম কুমার আর মহানায়িকা সুচিত্রার সিনেমা দেখা শুরু করলে সেটা শেষ না করে অন্য কোন কাজে হাত দেই না। আমার এই ওয়েবসাইটে এসব গানের ও মুভির লিঙ্কগুলোর সাথে আপনাদের সেতুবন্ধন রচনা করিয়ে দিয়েছি; সুতরাং আপনার চাইলে আমার সাথে এই আনন্দযজ্ঞে অংশ নিতে পারেন।
  • বিনোদনের অংশ হিসেবে বন্ধুদের পেলে প্রচুর আড্ডা পেটাতে পারি।
  • আমার খাবার:
  • খাবারের ব্যাপারেও আমি বরাবরেই মতই ব্যতিক্রমী। আমার পছন্দের খাবার হলো নিরামিষ। মাছ মাংস আমার পছন্দের খাবার নয়। গরু খাসির মাংস ছোটবেলা একটু আধটু খেলেও  এখন  আর টাচ করিনা; মুরগীর মাংস একটু খাই। পছন্দের মাছ হলো ছোট মাছ। মোটকথা মাছ মাংস ছাড়াই আমি দিনের পর দিন এবং বছরের পর বছর চলতে পারি। মাছ মাংস আবার রান্না পছন্দ না হলে খেতে পারিনা। তবে ডিম ও দুধ পছন্দের এবং এসব খেয়েই থাকি। বেশি পছন্দের খাবার হলো মাসকলাইয়ের ডাল ও চিকন করে আলু ভাজি। ডিম ডাল আলু ভর্তাও ভীষণ পছন্দের।
  • আমার পোশাক পরিচ্ছেদ:
  • পোশাকের ব্যাপারে আমি অতটা সিরিয়াস নই,; খুব বেশি দামি পোশাকের প্রতি আমার কোন আসক্তি নেই। তবে অনুষ্ঠানে মার্জিত পোশাক পরতে চেষ্টা করি আর অফিস বা অনান্য কোথাও যেকোন সাধারণ পোশাকেই আমি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।
  • বন্ধু বৎসল আমি:
  • আমি মানুষের সাথে খুব ফ্রেণ্ডলী ব্যবহার করি এবং প্রথম পরিচয়ে যদি কাউকে একটু ভাল লাগে তাহলে তাদেরকে খুব আপন ভাবি। আমি নীতিগতভাবে কখনো চাইনে আমার ব্যবহারে কেউ কখনো কষ্ট পাক।শিশু কিশোরদের সাথে আরো মোলায়েম ব্যবহার করি।আমার এই ২৮ বছরের জীবনে অসংখ্য মানুষজনকে দাওয়াত করে আমার বউকে দিয়ে রান্না করে খাইয়েছি, যদিও বেশিরভাগ মানুষ এটা মনে রাখেনা; তবু অভ্যাস, এটাকে তো আর রোধ করতে পারিনা।অনেকেই আমাদের এই বন্ধু বৎসল সম্পর্ককে ব্যবহার করেছে। ভাল ব্যবহারকে অনেকে অনেক সময় দুর্বলতা মনে করে, যতটা সম্মান দেয়া কথা সেটা দেয়না; ভাল ব্যবহারের ফলে যারা স্যার বলার কথা তারা অবলীলায় ভাই, আঙ্কেল বলে থাকে। ভাল ব্যবহারের সুফল থেকে এটার বিড়ম্বনায় বিড়ম্বিত হয়েছি বারংবার! আমার স্ত্রীও আমার মতই বন্ধু বৎসল মানুষ, তারও অভিজ্ঞতা আমারই মত। দুজনই এ ধরনের গুণাগুণ পেয়েছি বংশানুক্রমিকভাবে। যাহোক এভাবে বাকি জীবনটা কাটিয়ে দিতে চাই।
  •  
  • বিশ্বাস করে বিড়ম্বিত হয়েছি!
  • আমি মানুষকে খুব সহজে বিশ্বাস করে  আপন ভাবতে শুরু করি, প্রকারন্তরে যা আমাকে অনেক ভোগান্তি দিয়ে থাকে।এ ধরনের অভিজ্ঞতা আমার জন্যে মোটেই সুখকর নয়। টাকা পয়সা নিয়েও আমার বিশ্বাস ভেঙ্গেছে, এ ব্যাপারে বড় ধরনের ধরা খেয়েছে আমার স্ত্রীও।
  • আমাকে সবাই ব্যবহার করে:
  • আমার মানব সেবা করার যতটা সুযোগ আছে সেটার শতভাগ করার চেষ্টা করি। কেউ আমার জ্ঞান যোগ্যতা ও দক্ষতার সাহায্য চাইলে তো প্রাণমনে সেটা করে থাকি কারণ সেটা আল্লাহ প্রদত্ত বলে মনে করি। কার্যত: সবাই আমাকে ব্যবহার করে কিন্তু আমার দ্বারা কেউ ব্যবহৃত হয়েছে, এমন নজির নেই বললেই চলে। আমি সবার জন্যে করি কিন্তু আমার জন্যে কিছু করার প্রকৃত মানুষ যেন হাতের কাছে খুব বেশি দেখিনা। হ্যাঁ এ যাবত আমি মানুষ হতে যা কিছু পেয়েছি সবই আমার দুরের মানুষ; যাদের কাছে আমার প্রত্যাশা বা অধিকার বেশি, তারা বাস্তবে আমার জন্যে তেমন কিছুই করিনি ।ফলে এটা নিয়ে আমার একটা প্রচণ্ড মানসিক কষ্ট আছে। মাঝে মাঝে আক্ষেপ করে বলি, “আমার জন্ম হয়েছে অন্যের সেবা করার জন্যে, অন্যের সেবা পাওয়ার জন্যে নয়”। আমি বেশ করে জানি কিছু পাবার আশায় কারুর জন্যে কিছু করা ঠিক না, তবুও মানব মন তো, তাই অবচেতন মনেই সে কিছু একটা আশা করে বসে। আর এটা করে জীবনে ছ্যাকা খেয়েছি বহুবার, বহুভাবে। এটার ব্যতিক্রম যে, নেই সেটা বলবো না, তবে সে সংখ্যা হাতে গোনা, অতি সামান্য!!
  • আমার ধর্ম দর্শন:
  • আমার নিজস্ব একটা ধর্মীয় বিশ্বাস আছে। সেটা বিজ্ঞান এবং মনস্ততাত্বিক যুক্তি নির্ভর বিশ্বাস। আমি আর দুচার জন মানুষের মত শুনে  মুসলমান নই। আমি যতটা ধর্ম করি, সেটার অনেক কিছুই বুঝে করি এবং আমার বুঝটা বিজ্ঞান ও যুক্তি নির্ভর।এ ব্যাপারে আমার ধর্মীয় লেখালেখি অংশে লেখা বেশ কিছু প্রতিবেদন থেকে আপনারা বিস্তারিত জানতে পারবেন।
  • আমি কেমন মানুষ!
  • একজন  সচেতন মানুষ হিসেবে কেবল সেই ব্যক্তিটিই বলতে পারেন সে মানুষ টা কেমন? কারন সচেতন মানুষ কখনো তার বিবেকের সাথে প্রতারণা করতে পারেনা, অবশ্য যদি সে তার নিজেকে জানার বা বোঝার চেষ্টা করে, তবে সে যদি নিজেকে জানার বা বোঝার চেষ্টা না করে তাহলে তার বিবেক কখনো সেভাবে কাজ করবে না। তাই মানুষ হিসেবে আমি নিজেকে ভাল মানুষ  দাবি করিনা কারণ মানুষ কেউ পারফেক্ট নয়। এটা জোর দিয়ে বলতে পারি আমার সাথে চলতে ফিরতে ব্যর্থ হলে সে মানুষটি অন্য কারুর সাথে চলতে পারবে না। আমি যার পেছনে লাগি আটঘাট বেঁধেই লাগি। ফলে আমি যার পেছনে লাগি মনে করতে হবে তার পেছনে লাগার মত মানুষের অভাব নেই, চারপাশে।
  •   আমার আচরণে কেউ কষ্ট পাক সেটা আমি নীতিগতভাবে চাইনে, তার পরেও আমার আচরণে যদি কেউ কষ্ট পেয়ে থাকেন তাহলে সেটা আমার আত্ম প্রকাশের ত্রুটি বা নিজের দৈন্যতা। তাই আমাকে ভুল বুঝে যদি কেউ আমাকে মনে আঘাত দিয়ে থাকেন, তাহলে সেটাতে শুধু শুধু কষ্ট পেয়ে থাকি, কারণে সেখানে আমি একবোরেই অসহায়!
  • আমার অর্জন:
  • আমার আত্মীয় অনাত্মীয় এমন কিছু মানুষ ছিল বা আছে যাদের কাছ থেকে কিছু প্রত্যশা থাকলেও বাস্তবে কিছুই পাইনি; কিন্তু অপ্রত্যাশিত ভাবে অনেক গুনগ্রাহীদের কাছে থেকে যা পেয়েছি সেটা অনেক। এ যাবত অনেক মানুষের শ্রদ্ধা ভক্তি ও ভালবাসা পেয়েছি এবং পাচ্ছি। আমার অনুপস্থিতিকে আমার গুণগান করেন এমন মানুষের সংখ্যাও নিছক কম না।তাই নর নারী ধর্ম বর্ণ বয়স নির্বিশেষে আমার সকল ভক্তকূলকে হৃদয়ের গহীন থেকে শ্রদ্ধা ভালবাসা ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
  • চাকুরিতে যেখানে যতটা সুযোগ ছিল সেটা ব্যবহার করে কাজ করতে চেষ্টা করেছি। যেখানে কাজ করার সুযোগ নেই সেখানে তো আমার কিছু করার নেই। যেমন আমার বর্তমান পদে কাজ করার অনেক সুযোগ থাকলেও আর্থিক ও লজিস্টিক সাপোর্ট ও প্রয়োজনীয় জনবল না থাকায় সঠিকভাবে কাজ করা অনেকটাই অসম্ভব!
  • চাকুরির বাইরে দৃশ্যমান দুটো ভাল কাজ করেছি। প্রথমত আমার সঙ্গাহীন মায়ের সেবা এবং মৃত্যুকালে মার শিউরে আমি, আমার স্ত্রী পুত্র কনে ছাড়া কেউ ছিল না। তবে মাকে সেবা করার কাজে বিশেষভাবে আমার সাথে ছিল আমার প্রয়াত বড় বোন এবং আমার  তথ্য প্রযুক্তিবিদ ছোটভাই কামরুজ্জামান।
  • দ্বিতীয় ভাল কাজটির উদ্যোক্তা অবশ্য আমার ছোটভাই, তবে আমি তার সাথে ছিলাম। সেটা হলো আমাদের গ্রামের বাড়ির আঙিনায় একটা জামে মসজিদ নির্মাণ। মসজিদ নির্মাণের একক বড় ধরনের ব্যয়ভার বহন করেছে আমার ছোটভাই। আমি তার সাথে সক্রিয়ভাবে থেকে যতটা সম্ভব সকল ধরনের সহয়তা করেছি মাত্র। আমাদের গ্রামে আমাদের তত্বাবধানে ও পৃষ্টপোষকতার নির্মিত মসজিদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন, আমাদের মসজিদের ওয়েবসাইটে: www.skmasjid. info
  • চাকুরি এবং চাকুরির বাইরে আমি যতটা সম্ভব মানব সেবা করার চেষ্টা করেছি এবং করে যাচ্ছি এখনো অব্দি, জীবনের শেষদিন পর্যন্ত সেটা করার ইচ্ছে রয়েছে।
  • আমার দুঃখ কষ্ট:
  • আমার নিজের অসুস্থতা জনিত শারীরিক ও মানসিক তেমন কোন কষ্ট  নেই। শুকরিয়া ভাল আছি।চাকুরি জীবনে স্বাধীনভাবে কাজ করে কৃতিত্ব অর্জন করার মত তেমন কোন কর্মস্থলে কাজ করার সুযোগ পাইনি। শুধুমাত্র যশোর হর্টিকালচার সেন্টারে ৬ বছর ৩ মাস ৩ দিন কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলাম; সেখানে অনেক প্রতিকূলতা সত্বেও বেশ ভাল সাফল্য পেয়েছিলাম।স্বাধীনভাবে অফিস প্রধান হয়ে কাজ করার মত সুযোগ পেলে স্ব স্ব কর্মস্থলে আরো কিছু সৃষ্টিশীলতার নজির রাখতে পারতাম। সে ব্যাপারে অবশ্য আমার কিছু বলার নেই কারণ সবটাই জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট।
  • ছাত্র খুব খারাপ না, পড়ালেখাও কম করিনি; কিন্তু পড়ালেখা আমার জন্যে কাল হয়েছে। সরকারি অর্থায়নে পি-এইচ.ডি করার পরে অনেক ক’টা বছর আমাকে পোস্টিং না দেয়ার কারণ আজও অজ্ঞাত
  • আমার নিজের বিভাগে আমার যোগ্যতার কোন কমতি নেই, কিন্তু সামনে পদ খালি না থাকার কারণে এবং পদোন্নতির কোন সঠিক নীতিমালা না থাকার কারণে আমাদের সামনে যাবার রাস্তা অনেকটাই বন্ধ। আমি অন্য ক্যাডারের সাথে নিজেকে তুলনা করতে চাইনে, কিন্তু ইউনিফাইড সিভিল সার্ভিসের আওতায় আমার ক্যাডারের মধ্যেই তো আমার পদোন্নতির প্রত্যাশা করতেই পারি; সেটা হবেও না বলেই মনে হচ্ছে না। আর ক’দিন বাদেই আমরা বন্ধুরা ১নং গ্রেডে সচিব বা সিনিয়র সচিব হিসেবে পদোন্নতি পাবেন, আর আমার মত অনেকেই আমাদের ক্যাডারের বর্তমান পদ থেকেই অবসরে যাবেন। এসব কষ্ট দুঃখ নিজের মধ্যেই লালন করি কারণ কাকে বলবো, এসব দুঃখের কথা। এটাকে নিছক ভাগ্য বলে মেনে নেয়া ছাড়া কোন উপায় নেই।
  • আমার বন্ধুরা আমার থেকে দেড় বছরেরও বেশি চাকুরি করে অনেকদুরে যেতে পারবেন, আর আমরা ঝরে যাব বেশ আগে। এর জন্যে কাকে দায়ী করবো? দায়ী আমার অভিভাবক আর স্কুলের স্যারেরা। বাস্তবে আমার অভিভাবক এবং স্কুলের স্যারেরা চেয়েছিলেন ১৬ বছরে এসএসসি এবং ১৮ বছরে এইচএসসি পাশ করে একটা ক্লারিক্যাল চাকুরিতে ঢুকে যাবে; কিন্তু কপাল গুণে কেরানীর চাকুরি করার দুর্ভাগ্য আমার হয়নি। এজন্যে তো মাঝে মাঝে বেশ কষ্ট পাই। আমার অনেক সিনিয়র কলিগ আমার পরে অবসরে যাবেন। কি সুন্দর কথা!
  • চারদিকে প্রতিনিয়ত ঘটমান অন্যায় অত্যাচার অবিচার অনাচার অনাসৃষ্টি অপকর্ম দেখে ভারি কষ্ট পাই।
  • আমাকে না বুঝে এবং যারা তাদের নিজেদেরকে না বুঝে  অন্যায়ভাবে এবং সজ্ঞানে আমাকে কষ্ট দিয়েছে, সেসব কষ্টের কথা সহজে ভুলতে পারিনা, বেশ কষ্ট পায়।
  •  জ্ঞান সাধনা করতে যেয়ে এক শ্রেণির মানুষ ঈর্ষা আর কুৎসা রটনা করে আমাকে কষ্ট দিয়েছে এবং দিচ্ছে।ঈর্ষাপরায়নতার কারণে আমি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি এবং হয়েছি বারে বারে। এখান থেকে বের হওয়ার কোন পথ আমার জানা নেই। সত্যি বলতে কেউ যদি আমাকে ঈর্ষা করে বা কোন কারণে আমার ব্যাপারে তার/তাদের মধ্যে বদ্ধমূল কিছু ভুল ধারণা থেকে থাকে তাহলে আমি যত ভাল কাজ করি, আর যত ভাল ব্যবহারই করিনা কেন, তারা কখনো আমাকে পছন্দ করবে না এবং তারা আমাকে সব সময় চেষ্টা করবে আমাকে পেছনে টেনে ধরতে। এ রকম সমস্যা আমার জীবনে নিরন্তরভাবে ঘটে চলেছে।
  • একজন মানুষকে গোটাজীবনে উপকার করলাম, সঙ্গত কারণে কোন একটা সময় কিছু করতে পারলাম না, আর ওমনি আমার জীবনের সব প্রাপ্তি শেষ হয়ে গেল। এ কষ্ট আমাকে সব সময় তাড়া করে।
  • মানুষ নিজেকে জানে না, নিজেকে চেনে না, ভাগে বেশি আসলে বোঝে না কিন্তু ভাগে কম পড়লে লাফিয়ে ওঠে, অথচ এরাই যখন আমার বিরূপ সমালোচনা করে তখন সে দুঃখবোধে মুখ লুকানো ছাড়া আর কিছু অবশেষ থাকে না।
  • চাকুরি শেষের দিকে তাই জীবনের সবকিছুকে সহজভাবে মেনে নিয়ে ভাগ্যের উপরে ছেড়ে দিয়ে বসে আছি। যে বা যারা আমাকে অন্যায়ভাবে বঞ্চিত করেছে বা ভুল বুঝেছে তাদের যেন আল্লাহপাক সুমতি দেন সেই দোয়া করি। কারুর বিরুদ্ধে আমার কোন অভিযোগ নেই । মহান আল্লাহপাক তাঁর নিজ করুণায় সবাইকে ভাল রাখুন।
  • আমার সুনাম দুর্নাম:
  •  জীবন তার আপন গতিতেই চলতে থাকে। মানুষ কেউই পারফেক্ট নয় এবং কারুরই প্রত্যাশার শতভাগ কখনো পূরণ হয়না। আমার নিজের মূল্যায়নে এখন অব্দি আমার সুনামের পাল্লাটা একটু ভারি বলেই বুঝতে পারি। আমার বিবেক অন্তত: আমাকে তেমনটিই বলে থাকে।
  •  সেই ছোটবেলা থেকেই আমি সত্য কথা সামনাসামনি বলতে পছন্দ করি; কিন্তু সত্য কথা সব সময় অপ্রিয় হয়, তাই সত্য কথা সামনে বলতে যেয়ে অনেকের কাছে দুর্নামের ভাগিদার হয়েছি।
  •  যারা আমার কাছ থেকে অন্যায় সুবিধা নিতে পারিনি, তারা আমার সমালোচনায় বিভোর থেকেছে। সত্যি বলতে কী চাকুরি ক্ষেত্রে অফিস প্রধান হয়ে সকল অধীনদের মন যুগিয়ে কখনো চাকুরি করা সম্ভব না। সুতরাং কোন কর্মস্থলে শতভাগের সুনামের সাথে কোন নৈতিকতা সম্পন্ন মানুষের পক্ষে চাকুরি করা অনেকটাই অসম্ভব! একটা কথা আমি খুব জোর দিয়ে বলতে চাই, তাহলো যারা আমার ঘোর সমালোচক, দয়া করে আপনারা তাদের স্বরূপটা একটু বিশ্লেষণ করে দেখুন, সবকিছু আপনার কাছে জলের মত পরিষ্কার হয়ে যাবে।
  • একেবারে শৈশব হতে শুরু করে আজ অব্দি আমি যখন যেখানে বসবাস করেছি বা যাদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে মিশেছি, যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করেছি, যাদের সাথে চাকুরি করেছি বা চাকুরির সুবাদে অন্য দপ্তরের যাদের সাথে মিশেছি, সেখানে একবাক্যে সবার কাছে আমার একটা ভালমানের গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছি। সবচে বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, কোন স্বার্থের কারনে একটা সময়ে কেউ আমার সমালোচনা করলেও একটা নির্দিষ্ট সময় পরে তারা আবার স্ব অবস্থানে ফিরে এসেছে আমার পক্ষোবলম্বন করেছে।এটা জেনে বেশ স্বস্তিবোধ করি।
  • আমার কিছু অগ্রজ বন্ধু আছে, যারা পদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, তাঁরা আমাকেই এতটাই ইতিবাচক চোখে দেখেন, তাঁদের প্রতি আমার শ্রদ্ধার শেষ নেই। আমার এসব শ্রদ্ধাভাজন মানুষ সম্পর্কে আমার এই ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটে অনেক তথ্য পাওয়া যাবে।আবার আমার নিজের বন্ধু ও কিছু অনুজ বন্ধু আছেন যারা আমাকে অন্ধের মত ভালবাসেন, এই সংখ্যা কিন্তু একেবারে কম নয়!
  • আমার পছন্দের কিছু বিষয় বা শখ আছে।
  • —পুরানা জিনিস পত্র ডকুমেন্টস এবং স্মৃতিচারণণিক দ্রব্যাদি সংরক্ষণ করা আামার অন্যতম শখ।
  • —আরেকটি পছন্দের বিষয় প্রিয়জনদের মন যুগিয়ে চলা। আমি নীতিগতভাবে কখনো চাইনে আমার কোন কর্ম কথা আচরণ বিচরণে আমার পছন্দের মানুষেরা সামান্যতম কষ্ট পাক। এতদ্ব্যতীত এহেন ঘটনা যা কিছু ঘটে সেটা একেবারেই অনভিপ্রেত এবং আমার ইচ্ছের বিরুদ্ধেই সেটা ঘটে থাকে।
  • —আমি কারুর জন্যে সামান্য কিছু করতে পারলে মানসিকভাবে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। যদিও এটার ফলাফল খুব শুভ নয়, তবুও এখন অব্দি এটা করে যাচ্ছি।
  • — আমার কর্ম কথা আচরণে যেন কেউ কষ্ট না পান, সে বিষয়টি আমার খুব পছন্দের কিন্তু সেটার ফললাভ সব সময় সুখকর হয়না।
  •  
  • আমার যত দোষ:
  • দোষে গুণে মানুষ। ফলে এই দোষ থেকে কেউ মুক্ত নন। জন্মগতভাবে আমি একটু মেজাজী, তবে সেটা একান্ত নিজেদের মানুষের উপরে ছাড়া প্রয়োগ করিনা।নিজেদের মানুষের বাইরে আমি অন্য কোন মানুষের সামনে সহসা আমার মেজাজ দেখাই না। জোরে শব্দ করে এবং একটু বেশি কথার বলার প্রবণতা আছে, সেটাও জিনগত সমস্যা, কারন বাবা মেজাজী ছিলেন জোরে কথা বলতন। তবে কখনো এমন কোন কথা বলিনা, যা অন্যের জন্যে হিতকর নয়! ক্রোধের বশে কারুর সাথে খারাপ ব্যবহার করলেও সে ত্রুটি আমি স্বীকার করি এবং স্যরি বলতে কার্পণ্য করিনা।তবে যতটা সম্ভব ক্রোধকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমার আমেরিকা প্রবাসী বন্ধু ডা. মাহমুদ ও তাঁর স্ত্রী ড. রেশমি সিদ্দিক, ক্রোধ নিয়ন্ত্রণের উপরে একখানা চমৎকার বই লিখেছেন ,যার একটা কপিও আমাকে পাঠিয়েছে, সেটার পূর্ণ প্রয়োগের মাধ্যমে যতটুকু মেজাজ আছে সেটাকেও ঝেড়ে ফেলতে চেষ্টা করছি; আশা করছি সফলকাম হবে। আমার বন্ধু ও তার পত্নীর লেখা বইটির শিরোনাম নাম হলো: “How to turn anger into love: A Spiritual guide(ক্রোধকে ভালবাসায় রূপান্তর করার আধ্যাত্মিক গাইড বই)।বইটি বাংলা অনুবাদের জন্যে বন্ধু ও বন্ধু পত্নীর কাছে অঙ্গীকার করেছি; ইন শা আল্লাহ সময়মত সেটা করতে পাবরো।
  • মানুষকে সহজে বিশ্বাস করি এবং বিশ্বাস করে জীবনে বহুবার ঠক খেয়েছি এবং এখনো খাচ্ছি। এ ছাড়া আর তেমন কোন দোষ আমি আমার মধ্যে অন্তত: আমি খুঁজে পাইনি। আপনারা যদি এর বাইরে আমার কোন দোষ ধরে দিতে পারেন, তাহলে আপনাদেরকে সাধুবাদ জানবো।