আমার লিখিত পুস্তকসমূহ

আমি নিজে কখনো কোন লেখক ছিলাম না। সোশ্যাল মিডিয়াতে একটু আধটু লেখালেখি করতে গিয়ে আমার মধ্যে লেখ্য সত্বার খানিকটা বিকাশ ঘটে। সেই থেকে একজন প্রকাশকের সাথে একটা সখ্যতা গড়ে ওঠে।এরপর “প্রান্ত প্রকাশন” থেকে ২০১৮ সালের একুশের বইমেলা হতে একযোগে আমার তিনটে বই প্রকাশিত হয়।এই তিনটে বই হলো: (১) মনের আয়নায় মনকে দেখুন (৮৮ পৃষ্ঠার এই বইটর মূল্য ১১৭ টাকা); (২) আত্মশুদ্ধি করুন ও আত্মবিশ্বাস বাড়ান (৯৫ পৃষ্ঠার এই বইটির মূল্য ১৫৬ টাকা); (৩) আধুনিক কৃষিবার্তা ও কৃষিপ্রযুক্তি (২৩১ পৃষ্ঠার এই বইটর মূল্য ২৭৩ টাকা); ।বই তিনটে প্রান্ত প্রকাশন (৩৬, বাংলাবাজার, ঢাকা-১১০০; মোবাইল নং: ০১৫৫২৩৭৯৪৯৫ ও ০১৭১৩৭৪৪৩৮০) থেকেও সংগ্রহ করা যাবে আবার রকমারি ডট কম এ গিয়ে অনলাইন হতেও সংগ্রহ করা যাবে।www.rokomari.com তে গিয়ে সার্চ অপশনে বই তিনটির নাম লিখলেই বইগুলো সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যাবে।
আমার লেখা তিনটে বই প্রকাশের পর পর ২০১৯ এবং ২০২০ সালের বইমেলোতে প্রান্ত প্রকাশন এর সত্বাধিকারি জনাব মো: আমিনুর রহমান আমার লেখা আরো বই প্রকাশ করতে চাইলেও আমার ব্যস্ততার কারণে সেটা আর সম্ভবপর হয়নি। তবে ভবিষ্যতে আরো কিছু বই লেখার ইচ্ছে রয়েছে।

এখন আমার লেখা উপর্যুক্ত বই তিনটে সম্পর্কে কিছু জরুরি তথ্যমালা আপনাদেরকে জানিয়ে দিচ্ছি।

প্রথম বই: মনের আয়নায় মনকে দেখুন: বইটি আমার প্রয়াত বাবা শেখ মুনসুর আলী ও প্রয়াত মা আফজুন্নেসা আলীর পূণ্যস্মৃতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হয়েছে।

এটি একটি আত্মোপলব্ধিমূলক জীবনধর্মী গ্রন্থ। এই পুস্তক বর্ণিত ভিন্ন ভিন্ন শিরোনামে জীবনধর্মী প্রতিবেদনসমূহ আপনার নিজেকে জানতে বুঝতে এবং চিনতে বিশেষভাবে সহায়তা করতে হবে। যারা নিজেদেরকে একজন ভাল মানুষ হিসেবে এই সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে চান, সেইসাথে আপনার শরীরটাকে ভাল রেখে কিভাবে আপনি আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের সাথে শারীরিক স্বাস্থ্যও ভাল রাখতে পারেন, সে ব্যাপারে স্পষ্ট ধারণা দেয়া হয়েছে। মনে রাখবেন জীবনটা খুব ছোট; জীবন শুরু করতে করতেই শেষ। কখন পরপারের ডাক আসবে আমরা কেউ জানিনে। যদি ক্ষণস্থায়ী এই জীবনে আমাদের যা কিছু আছে সেটা নিয়ে কিছুদিন ভাল থাকা যায় তাহলে মন্দ কী? মানুষ মাত্রেই অবচেতন মনে প্রত্যাশা করে তার আশপাশের মানুষগুলো যেন তাকে ভাল জানে, ভালবাসে এবং তার গুণ কীর্তন করতে থাকে। আমার বিশ্বাস আমার পুস্তক সে ব্যাপারে আপনাকে অনেকখানি সাহায্য করবে। যুব কিশোর, নারী পুরুষ নির্বিশেষে যাদের জীবনবোধ আছে, এমন সব শ্রেণির পাঠকের চাহিদার কথা মাথায় রেখে এই গ্রন্থ রচিত হলো। এখানে উল্লেখিত বিষয়গুলো একেবারেই মনস্তাত্বিক হলেও আমি নিজে কোন মনোবিজ্ঞানী নয়, তাই এখানে কোন মনোগত তথ্য উপাত্তের চুলচেরা বিশ্লেষণও নেই। সাধারণ মানুষ হিসেবে মোটাদাগে আমার জীবনভিত্তিক দর্শনগুলোও এখানে সমন্বয় করা হয়েছে মাত্র।
আপনার মনের মধ্যে যে, আরেক স্বচ্ছ ও নির্মল মন এবং বিবেক লুকায়িত আছে সেটাকে ঠিকমত জাগিয়ে তোলার জন্যে আমার এই পুস্তকটি বিশেষভাবে সহায়তা করবে।
প্রিয় সুজন পাঠক এটি আমার লেখা প্রথম পুস্তক হলেও বইটি আপনাদের জীবনবোধকে জাগিয়ে তোলার জন্যে কিছুটা হলেও কাজ করবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। তাই নিজে বইটি এটি পড়ুন এবং অন্যদেরকে পড়তে উৎসাহিত করুন।

কার্যত আমরা এমন একটা দিন ক্ষণ ও সময় অতিক্রম করছি, যখন দেশে বিদেশে জ্ঞান বিজ্ঞানের প্রভূত উন্নতি সাধিত হয়েছে এবং হচ্ছে; দেশ জাতি সমাজ এগিয়ে চলেছে শৈণঃ শৈণঃ গতিতে। এতসব উন্নতির পরেও দ্বিধাহীন চিত্রে বলতেই হয়, বিজ্ঞান আমাদেরকে বেগ দিলেও কেড়ে নিয়েছে আবেগ। বিজ্ঞানের বেগের সাথে মানুষের জীবনমান হয়েছে বেগবান, এবং মানুষ হয়েছে ভীষণ রকমের আত্মকেন্দ্রিক। ফলে নিজেকে নিয়ে জানাবার ভাববার সময় যেন মানুষ হারাতে বসেছে; স্নেহ-মমতা, প্রেম-প্রীতি, ভালবাসা, সহযোগিতা সহমর্মিতা পরার্থপরতার মত মানবিক বিষয়গুলো ক্রমাগত ম্রিয়মান হতে বসেছে; পরিবার সমাজ পরিণত হচ্ছে যান্ত্রিকতায়। কাল পরিক্রমায় জীবনের এই ক্ষণে এসে পুরাকালের গ্রীক দার্শনিক সক্রেটিসের সেই কালজয়ী ছোট্ট দুই শব্দের বাক্যটি বারবার মনে হয়। দার্শনিক সক্রেটিস তো সেই প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে যথার্থই বলেছিলেন, “নিজেকে জানো (Know Thyself)”। বস্তুত: নিজে ভাল থাকতে হলে এবং নিজের কাছের মানুষদের ভাল রাখতে হলে নিজেকে জানার এবং নিজেকে বোঝার কোন বিকল্প নেই। নিজেকে জানা এবং বোঝার কাজ করতে হবে ,অত্যন্ত সতর্কতার সাথে, নিজের বিবেককে একেবারে নিরপেক্ষ অবস্থানে বসিয়ে।
বিগত বিংশ শতাব্দীর আশির দশকে বাংলাদেশ টেলিভিশনে, মিডিয়া ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব প্রয়াত ফজলে লোহানীর উপস্থাপনায় “যদি কিছু মনে না করেন” নামে একটা জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান হতো; সেখানের উদ্বোধনী সংগীতটি ছিল এরকম,“ইচ্ছে করেই যারা ভুল করে, জেনেও না জানার ভান করে, তাদের কিছু ভুল ধরে দেব, যদি কিছু মনে না করেন”। ফজলে লোহানীর শিষ্যত্ব অনুসরণ করে হাল আমলে বাংলাদেশ টেলিভিশনে, প্রকৌশলী হানিফ সংকেতের উপস্থাপনায় স্মরণকালের সবচে জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান হয় “ইত্যাদি”। “ইত্যাদি” অনুষ্ঠানেও উদ্বোধনী সংগীত হিসেবে বাজানো হয়,“কেউ কেউ অবিরাম চুপি চুপি, চেহারাটা পাল্টে সাজে বহুরূপি। বোঝা তো যায় না তাদের মতিগতি, সমাজের ছোট বড় অসংগতি, এরই মাঝে বেঁচে থাকে হাসি কান্না ইত্যাদি”। বাংলাদেশ টেলিভিশনের একাল ও সেকালের দুটো জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানের মূলসুর ছিল মানব চরিত্রের যথাযথ বিশ্লেষণ এবং তাদের কিছু দোষত্রুটি ধরিয়ে দেয়া। এই দুটো ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানে মানব চরিত্র বিশ্লেষণের ধারা ও ধরণে আমি উৎসাহিত হয়েছি এ ধরণের একটা মানব হিতৈষী পুস্তক লেখার ব্যাপারে।
আবার অনেকদিন যাবত “বাংলা ভিশন” টিভি চ্যানেলে প্রতি শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এডুকেশন এণ্ড কাউন্সিলিং সাইকোলজি বিভাগর অধ্যাপক খ্যাতিনান্মী মনোবিজ্ঞানী ড. মেহতাব খানমের উপস্থাপনায়, “আমি এখন কী করবো?” শিরোনামে একটা ফোন-ইন প্রোগ্রাম লাইভ অনুষ্ঠান হয়। সেখানে মানুষের কিছু মনস্তাত্বিক বিষয়ে সরাসরি প্রশ্নোত্তরের ভিত্তিতে সওয়াল জবাব দেয়া হয়। নিয়মিত আমি সেই প্রোগ্রামটি অত্যন্ত মনযোগ সহকারে দেখি; তাই এই অনুষ্ঠাটিও আমাকে এ ধরনের একটা রচনা শৈলী উপস্থাপনে উদ্বুদ্ধ করেছে।
সর্বোপরি আমার পোড় খাওয়া জীবনে অনেক ঘাত প্রতিঘাত আর চড়াই উৎরাই পেরিয়ে জীবনের এই পর্যন্ত পথ পাড়ি দিয়ে আসতে যেয়ে জীবনের একেকটা টার্নিং পয়েন্টে এসে দূরের মানুষ, কাছের মানুষকে খুব কাছ থেকে দেখার জানার ও বোঝার সুযোগ হয়েছে, যা আমার অভিজ্ঞতার ঝুড়িকে অনেকখানি ঋদ্ধ করেছে; আমার অন্ত:র্দৃষ্টি খুলতে সহায়তা করেছে।
আমার এই পঞ্চাশোর্ধ বয়সে এসে মনে হয়েছে, আমরা যদি আমাদের নিজেদের কর্ম, কথা, আচরণ, বিচরণ নিয়ে নিজের মত করে ভেবে জীবনটাকে একটু পরিশীলিতভাবে উপস্থাপন করতে পারতাম তাহলে দেশ জাতি সমাজ ও পরিবারে অনেকখানি শান্তি আসতে পারে। ভাল মন্দ সব কিছুর আধাঁর হচ্ছে মানব ‘মন’ নামক আমাদের এক অদৃশ্য ও শক্তিশালী দেহজ সত্বা। মানব মনের মধ্যেই রয়েছে, প্রেম ভালবাসা, স্নেহ মমতা আবেগ অনুভূতি উচ্ছ্বাস, রাগ , ক্ষোভ, মান অভিমান ইত্যাকার অদৃশ্য অথচ শক্তিশালী বিষয়গুলো। এসব বিষয়গুলোকে যদি নিজের মত করে জেনে বুঝে বাস্তব জীবনে সেটা প্রয়োগ করা যায়, তাহলে এই সমাজে আসতে পারে অনাবিল শান্তি আর শান্তি। আমার এই লেখনীর মাধ্যমে সে ধরনের ক্ষুদ্র একটা প্রচেষ্টা করেছি মাত্র। এই ‘মন’ এবং মনের সাথে সম্পর্কিত ইচ্ছেটাকে কে যদি একটু ফাইন টিউনিং করা যায় তাহলে নিজেকে যেমন ভাল রাখা সম্ভব, তেমনি আশপাশের অনেক মানুষকেও ভাল রাখা সম্ভব। আমার এই আত্মপোলব্ধিমূলক জীবনধর্মী গ্রন্থে আমি আমার দীর্ঘ অভিজ্ঞতার অলোকে, মানুষের হৃদয়ের গভীরে যে আরেকটি কোমল হৃদয় এবং স্বচ্ছ নির্মল স্বীয় বিবেক বিবেচনাবোধ সম্পন্ন ‘মন’ রয়েছে,সেটাকে জাগিয়ে তোলার কিঞ্চিৎ চেষ্টা করা হয়েছে। মনের সাথে সাথে আমাদের দেহঘড়ির একটা নিবিড় সংশ্লেষ আছে; আমরা কখনো আমাদের শরীরটাকে নিয়ে ঠিক ওভাবে ভাবিনা, যদি শরীরটাকে নিয়ে একটু চিন্তা করে চলতে পারতাম তাহলে মনের সাথে সাথে শরীরটাও ভাল রাখা সম্ভব হতো। এ ধরনের শারীরবৃত্তিক একটা লেখাও এখানে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে, যাকে মনের সাথে সাথে আপনার শরীরকেও সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।
আমার এই পুস্তক কতটা আপনাদের মনকে নাড়া দিতে পারবো জানিনে; তবে আমার বিশ্বাস আমার এই পুস্তকের কথার সাজি আপনার হৃদয়তন্ত্রীতে কিছু একটা অনুরণনের ঝঙ্কার উঠাবে, যা আপনাকে, আপনার মনকে আরেকবার নতুন করে ভাবতে সাহায্য করবে।
এই পুস্তুকে বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক আলাদা আলাদা জীবনধর্মী প্রতিবেদন সংযোজন করা হয়েছে, ফলে এই পুস্তকের প্রতিটি অধ্যয়কে একেকটা আলাদা বিষয় বললে অত্যুক্তি হবে না, তবে সবগুলো লেখার মধ্যে একটা ধারাবাহিক অন্ত্য:মিল অবশ্যই রয়েছে। এখানে বর্ণিত সকল বিষয়ের সম্মিলিত প্রয়াস আপনার সামগ্রীক জীবনবোধকে নব উদ্যেমে জাগাতে সাহায্য করবে। এই বইয়ে সংযোজিত পৃথক পৃথক প্রতিবেদন থেকে আপনি ভিন্ন ভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন। ফলস্বরূপ এই পুস্তকে বর্ণিত জীবনধর্মী সব ধরনের কথামালাকে যদি আমার সুপ্রিয় পাঠককূল মানতে চেষ্টা করেন , তাহলে তারা শারীরিক ও মানসিকভাবে অনেকখানি ভাল থাকবেন বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
যারা আমাকে আমার এই আত্মোপলব্ধিমূলক গ্রন্থ প্রণয়নে মানসিক সহায়তা করেছেন ও উৎসাহ যুগিয়েছেন, তাঁদের সবার প্রতি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ। যতটা সম্ভব এই পুস্তকে প্রনয়ণে সর্বোচ্চ নির্ভুল তথ্য উপাত্ত উপস্থাপনের চেষ্টা করা হয়েছে, এতদ্বসত্বেও যদি কোন ভুলত্রুটি থেকে থাকে তাহলে সুজন পাঠকের কাছে বিনম্র ক্ষমা প্রার্থনা। এখানে বর্ণিত ভুলত্রুটি এবং আপনাদের মতামত ভিত্তিক তথ্য উপাত্ত এই পুস্তকের পরবর্তী সংকলনে সংযুক্ত করার দৃঢ় অভিপ্রায় ব্যক্ত করছি।

এখানে বর্ণিত বিষয়ের শিরোনামগুলো যথাক্রমে: (১) মনোরহস্যের জটিল বাতিঘরে আমাদের নিরন্তর বসবাস; (২) মন মানসিকতা আর দৃষ্টিভঙ্গির অদৃশ্য জটিল মিথস্ক্রিয়া; (৩) নৈতিকতার শিক্ষা নিন, নিজের জীবনকে পরিশীলিত করুন; (৪) গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের আগে নিজের আবেগকে প্রশমন ও বিবেককে পরিশীলিত করুন; (৫) আত্মসম্মানকে শ্রদ্ধা করুন, ইগোকে নয়; (৬) রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন; (৭) ক্রোধের সময় শরীরের মধ্যে শারীরবৃত্তীয় যে ধরনের পরিবর্তন ঘটে; (৮) নিজের চেষ্টায় ক্রোধ দমনে নতুন কিছু কৌশল (৯) ঝগড়া থেতে দূরে থাকুন, নিজেকে ভাল রাখুন; (১০) দোষ স্বীকার, ক্ষমা চাওয়া, ক্ষমা করা এবং উদারতার চর্চা করুন; (১১) অন্যায় ও অপরাধের জন্য মন থেকে ক্ষমা চান; (১২) বিষণ্নতা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখুন; (১৩) নিরবতা ভেঙ্গে মনখুলে হাসুন-কাঁদুন, ভাল থাকুন অন্যকে ভাল রাখুন; (১৪) কৃতজ্ঞতা, প্রতিদান ও প্রশংসাকে যথাযথ মূল্যায়ন করুন; (১৫) প্রশ্যতাশাকে শূণ্যেরে কোটায় নামিয়ে আনুন, নইলে কষ্ট পাবেন; (১৬) ভয়, ভক্তি ও স্বার্থে মানুষ মানুষকে সমীহ করে; (১৭) অর্থ, যশ, খ্যাতি, সম্মান ও ক্ষমতা সুজনকে কুজনে পরিণত করে; (১৮) স্বার্থ, অর্থ ও ঈর্ষা সংশ্লিষ্ট বন্ধুত্ব শত্রুর সাথে ঘরবসতিরই নামান্তর; (১৯) যাঁরা মানব সেবার সুযোগ হারালেন, তারা হয় মূর্খ নয়তো অভাগা! (২০) ভাল ব্যবহারের বিড়ম্বনা; (২১) তৈলমর্দন ও তৈলগ্রহণে প্রকৃত সত্য হিমঘরে যাচ্ছে; (২২) সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের ইতি টানবার আগে স্বর্ণালী অতীতকে স্মরণ করুন।

দ্রষ্টব্য: বইটি কলকাতা বইমেলায় বেস্ট সেলার হিসেবে খ্যাতি পেয়েছে। এটির পরিমার্জিত ও পরিশীলিত সংস্করণ প্রকাশের অপেক্ষায়।

বইয়ের কভার পেজ।

দ্বিতীয় বই: আত্মশুদ্ধি করুন ও আত্মবিশ্বাস বাড়ান : এই বইটি আমার প্রয়াত নানী ও প্রয়াত বড়বোনের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হয়েছে কারণ তাঁদের বিশেষ অবদান আমাকে আজ এতটা পথ পাড়ি দিতে বিশেষভাবে সহায়তা করেছে।

“আত্মশুদ্ধি করুন, আত্মবিশ্বাস বাড়ান”আমার রচিত, একটা একটা ভিন্নধর্মী গ্রন্থ, যা যুব কিশোর কিশোরী ও তাদের অভিবাবকদের জন্যে বিশেষভাবে প্রণীত। শৈবব থেকে কৈশোর, কৈশোর থেকে যৌবনের এই যে পদার্পণ; এই সময়টা মানব জীবনের অনেক মূল্যবান সময়। এই বয়সে একবার নৈতিক স্খলন হলে বা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হলে পরবর্তী জীবনটা অন্ধকারাচ্ছন্ন হতে পারে। আমরা এখন এমন একটা বৈজ্ঞানিক উৎকর্ষতার সময়ে বাস করছি যখন আকাশ সংস্কৃতি গোটা বিশ্বকে একটা গ্লোবাল ভিলেজে পরিণত করেছে।ফলে ভাল মন্দ সব কিছু এখন একসূত্রে গাঁথা। তাই বন্ধু বান্ধবদের সাহচার্যে বা কখনো কৌত’হলের বশে যুব কিশোররা বিপথগামী হচ্ছে, হচ্ছে নেশাশক্ত, অনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিজেদেরকে সম্পৃক্ত করছে; অপরিণত প্রেম ভালবাসা ও শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে নিজেদের অনাগত স্বপ্নিল ভবিষ্যৎকে কর্দমাক্ত করে ফেলছে। জীবনের মূল্যবান সময় খুব কম, তাই একবার ভুলপথে পরিচালিত হলে সেখান থেকে ফিরে আসা বড্ড কঠিন। একটা সময় হয়ত সম্বিত ফিরে আসে কিন্তু ততদিনে মেঘে মেঘে অনেক বেলা হয়ে যায়। ওদিকে আমাদের যুব কিশোরদের সুপথে পরিচালনার নামে তাদের অভিভাবকেরাও অনেক সময় তাদের উঠতি বয়সী ছেলে মেয়েদেরকে কতটা মানসিক চাপ প্রয়োগ করে থাকে, যেটা কোনভাবেই কাঙ্খিত নয়, পরিণামে তাদের ছেলেমেয়েরা আরো ক্রেজি হয়ে বিপথগামী হয়ে যায়। এসব চিন্তু করেই বোধহয় বিশ্বকরি রবি ঠাকুর সেই শতাব্দীকাল আগে তাঁর ছুটি নামক গল্পে দুরন্ত ফটিকের চরিত্র বিশ্লেষণে বলেছিলেন,“বার চৌদ্দ বছরের ছেলের মত বালাই আর পৃথিবীতে নাই”।
আমার নিজের ব্যক্তি জীবনের বয়সগত অভিজ্ঞতার আলোকে রচিত “আত্মশুদ্ধি করুন, আত্মবিশ্বাস বাড়ান”আমার শীর্ষক এই পুস্তকে ভিন্ন ভিন্ন শিরোনামে সংযোজিত বিষয়ভিত্তিক তথ্যমালা বিশ্বাস কিশোর কিশোর যুবক যুবতী এবং তাঁদের অভিভাবকদের জন্যে সুপথে পরিচালিত করতে বিশেষভাবে সহায়ক হবে।
এখানে বর্ণিত বিষয়ের শিরোনামগুলো যথাক্রমে: (১) তরুণ তরণীদের সঠিক পথের চুম্বকীয় দাওয়াই (২) উচ্চশিক্ষা, চাকুরি ও চাকুরি প্রার্থীদের বিশেষ যোগ্যতার পারস্পারিক গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক (৩) সুপ্রিয় অভিভাববৃন্দ, যেভাবে আপনার সন্তানকে সুপথে পরিচালিত করবেন। (৪) ধূমপানের ভয়াবহতা থেকে নিজেকে রক্ষা করুন (৫) মাদকাসক্তের ভয়াবহতা থেকে নিজেকে বাঁচান (৬) প্রেম ভালবাসা হতে সাবধান (৭) বিয়ের আগে অত্যাবশ্যকীয় ভাবনা (৮) বিয়ে পরবর্তী দাম্পত্য সম্প্রীতি রক্ষায় আপনার করণীয় (৯) যেভাবে নিজেকে আত্মবিশ্বাসী হিসেবে গড়ে তুলবেন (১০) নিজেকে স্মার্ট হিসেবে গড়ে তুলতে আপনার করণীয় (১১) হতাশা নিরাশা ও মানসিক চাপ দূর করার প্রকৃষ্ট উপায় (১২) আপনার নার্ভাসনেস দূর করতে যা করবেন (১৩) ভাল বক্তা হওয়ার জন্যে আপনাকে যা করতে হবে (১৪) মৌখিক পরিক্ষাতে ভাল করার প্রয়োজনীয় টিপস্ (১৫) ইংরেজি শেখার সহজ উপায়।

দ্রষ্টব্য: আমার প্রথম বইটির মত এই বইটিও কলকাতা বইমেলায় বেস্ট সেলার হিসেবে খ্যাতি পেয়েছে। এটির পরিমার্জিত ও পরিশীলিত সংস্করণ প্রকাশের অপেক্ষায়।

বইয়ের কভার পেজ

তৃতীয় পুস্তক: আধুনিক কৃষিবার্তা ও কৃষিপ্রযুক্তি: বইটি উৎসর্গ করা হয়েছে আমার প্রিয়তমা পত্নী শাহানারা বেগম শেলীর উদ্দেশ্যে ; আমার প্রতি যাঁর অগাধ ভালবাসা ভক্তি শ্রদ্ধা আমার সকল উৎসাহ উদ্দীপনা ও অনুপ্রেরেণার মূল উৎস।

কৃষি প্রধান বাংলাদেশের কৃষি আজ শৈণঃ শৈণঃ গতিতে এগিয়ে চলেছে। বাংলাদেশের মাটি ও জলবায়ুর মত এমন কৃষি উপযোগী মাটি ও পরিবেশ বিশ্বের খুব কম দেশেই আছে। মুক্তবাজার অর্থনীতিতে আমাদের কৃষিই পারে সগৌরবে মাথা উঁচু করে বিশ্ব দরবারে স্থান করে নিতে। অনন্য প্রযুক্তির মত কৃষি প্রযুক্তিও একটা চলমান প্রক্রিয়া। দেশে বিদেশে এখন নিত্য নতুন কৃষি প্রযুক্তি আবিষ্কৃত হচ্ছে। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের কৃষি বিজ্ঞানীরা আমাদের দেশের উপযোগি করে মাঠ ফসল, ফল, সবজি, মসলা ও বনজ ভেষজের উফশী এবং রোগ বালাই প্রতিরোধি জাত ও প্রযুক্তি আবিষ্কার করছেন। কৃষির সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পৃক্ত কৃষিবিদ, ডিপ্লোমা কৃষিবিদ, কৃষক, কৃষিকর্মী এবং কৃষিতে আগ্রহী অনেকেই অনেক সময় অনেক প্রযুক্তি সম্পর্কে ভালভাবে জানেন না। তাদের বিষযটি মাথায় রেখে আমার দীর্ঘ তিন দশকের কৃষি সম্প্রসারণ কাজের অভিজ্ঞতার সাথে সমন্বয় করে, সবার উপযোগি হিসেবে সহজবোধ্য করে এই বইটির বিশেষ সংকলন প্রকাশ করা হয়েছে। আশা করি কৃষির সাথে সংশ্লিষ্ট সকলে এটাকে একটা আধুনিক কৃষিবার্তা ও কৃষিপ্রযুক্তির আপডেট হ্যাণ্ডবুক হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন।

এখানে বর্ণিত বিষয়ের শিরোনামগুলো যথাক্রমে: (১) স্বয়ম্ভর কৃষিসমৃদ্ধ বাংলাদেশ আমাদের অহংকার (২) সম্ভাবনার নবদিগন্তের হাতছানিতে বাংলার কৃষি (৩) বাংলাদেশে কৃষির কিছু মৌলিক তথ্যাবলী (৪) বীজ উৎপাদন প্রযুক্তি ও বীজ প্রত্যয়ন (৫) বীজের গুণগত মান নিয়ন্ত্রণে বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সীর ভূমিকা (৬) উদ্ভিদের খাদ্য উপাদান ও সার ব্যবস্থাপনা (৭) বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের প্রভাব, অভাবজসনত লক্ষণ ও অতিরিক্ততার কুফল (৮) সার পরিচিতি ও সার ব্যবস্থাপনা (৯) জৈব সার ও কম্পোস্ট তৈরির কৌশল (১০) পোকামাকড় ও রোগ বালাই ব্যবস্থাপনার সাত সতেরো (১১) জৈব কৃষি এখন সময়ের দাবি (১২) বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও জলবায়ুর পরিবর্তন: কারণ ও করণীয় (১৩) জিএম ফসল ও বিটি বেগুন (১৪) ফুল চাষের আশা জাগানিয়া খবর (১৫) রাসায়নিক সার স্প্রে করার ব্যাপারে সাবধান (১৬) উদ্ভিদে কৃত্রিম হরমোন প্রয়োগে সাবধানতা (১৭) কৃষি বিষয়ক প্রয়োজনীয় ওয়েবসাইট ও এ্যাপস্ (১৮) আধুনিক কৃষির গুরুত্বপূর্ণ খবরাখবর (১৯) মাশরুম চাষের সাত সতেরো (২০) নারিকেলে মাইট সমস্যার সমাধান (২১) মাটিবিহীন হাইড্রপোনিক চাষাবাদ (২২) ভাসমান বেডে সবজি চাষ (২৩) অতিরিক্ত ঠাণ্ডায় বীজতলা রক্ষায় করণীয় (২৪) বাড়িতে আলু সংরক্ষণের উপায় (২৫) ধানের শুকনো বীজতলা (২৬) বন্যায় কৃষকদের করণীয় (২৭) গমের ব্লাস্ট দমন (২৮) ধানের ব্লাস্ট দমন (২৯) ধান চাষে লাইন , লোগো, AWD ও পার্চিং এর ব্যবহার (৩০) মাটি পরিক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহের নিয়মাবলী(৩১) বনসাই তৈরির কৌশল (৩২) আধুনিক ফল ও সবজির চাষ (৩৩) কৃষি বিষয়ক আবশ্যিক প্রশ্নোত্তর।

বইয়ের কভার পেজ