জীবনের অবিমিশ্র ভাবনা! সীমাহীন ও নির্বাক গন্তব্যের যাত্রাপথে আমরা আপনার করণীয় নির্ধারণ করুন।
ড. মো. আখতারুজ্জামান: ২৯ জুলাই, ২০২০ খ্রি.
# নিরন্তর প্রশ্নে নির্বাক হয়ে অন্তহীন গন্তব্যের যাত্রাপথে আমরা সবাই।
# কোত্থেকে এলাম, কোথায়ই বা যাবো, সে এক বিরাট বিস্ময় বা অলৌকিকত্বও বলা যেতে পারে।ধর্ম বলে এক কথা, বিজ্ঞান বলে অন্য কথা। আমার বড়ই ধন্ধের মধ্যে রয়েছি;
# মৃত্যু নিশ্চিত! সেজন্যে মৃত্যুর ব্যাপারে আমাদেরকে একটা সিদ্ধান্তে আসতেই হবে। ধার্মিকের সিদ্মধান্তত তাদের মত আর নাস্তিকের ভাবনা তাদের মত করে।
# জীবনটা খুব ছোট কিন্তু মানুষকে পাড়ি দিতে হয় অনেকটা পথ!!
জীবনে চলার পথে আমার কতিপয় পরামর্শ ও উপদেশ:
# সুযোগ জীবনে বারবার আসে না: তাই সুযোগের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করুন।
# আপনার কতিপয় বাক্য, একটা ফোনকল বা একটা অনুরোধ কারুর জন্যে বড় কিছু হতে পারে।
# আপনি নিঃস্বর্থভাবে কারুর জন্যে কিছু করলে সেটার ফলা পাবেনই।
# ভবিষত্যের জন্যে ভাল কিছু করতে চেষ্টা করুন।
# আপনার কথা বলা ও আপনার লেখনি নিয়ে সমস্যা হতে পারে তাই এ ব্যাপারে সাবধান থাকুন।
# যতক্ষণ শ্বাস ততক্ষণ আশ! নিরাশাবাদী নয়, সব সময় আশাবাদী হউন।
# আম্তসমালোচনা করুন, পরসমালোচনা নয়!
# নিজেকে নিজের কাছে জিজ্ঞেস করুন, আপনি মানুষটা কেমন?
# নিজের বিবেকের আদালতে নিজের বিচার করে নিরপেক্ষ রায় প্রদান করুন।
# গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের আগে আবেগ ও বিবেকের সমন্বয় করে মিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন।
# আপনার মধ্যকার ইড, ইগো ও সুপার ইগোকে সঠিকভাবে পরিচালনা করুন।
# রাতে বিছানায় গিয়ে ঘুমানোর আগে আপনার সারাদিনের কর্ম কথা আচরণ বিচরণকে একবার নিরপেক্ষভাবে মূল্যায়ন করুন। যদি সেখানে কোন সমস্যা থাকে তাহলে সেটা থেকে উত্তরণের উপায় বের করুন।
# আপনার সকল বদভ্যাস, মনোভঙ্গি, কর্ম, কথা, আচরণ, বিচরণকে সুপথে আনয়ন করে ভাল মানুষ হতে চেষ্টা করুন। মনে রাখবেন ভাল হতে পয়সা লাগে না। আপনার ইচ্ছাশক্তিই আপনাকে ভাল করতে পারে।
# দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ও জোরালো ইচ্ছাশক্তি ব্যতিত নিজেকে পরিবর্তন করা কঠিন।
# মনের ইচ্ছা শক্তির জোরে আপনি আপনার মাদকাসক্ত সহ যেকোন ধরনের বদভ্যাস পরিত্যাগ করতে পারেন।
# মনে রাখবেন, আপাত সৎ মানুষ মানে ভাল মানুষ নয়!
# নিজেকে অন্যের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করতে চেষ্টা করুন।
# ভবিষ্যতে স্মরণীয় হতে পারেন সেটার জন্যে কিছু করতে চেষ্টা করুন।
# অতীত থেকে শিক্ষা নিন এবং জ্ঞানীদের অভিজ্ঞতাকে বিবেচনায় আনুন।
# নিজের ভুল ধরে সেখান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করুন।
# যেখানে যেমন দরকার তেমন আচরণ, শিষ্টাচার ও সৌজন্যবোধ মেনে চলুন।
# আপনার জ্ঞান যোগ্যতা ও দক্ষতা দিয়ে অন্যকে সাহায্য করুন। কারণ এটা ঈশ্বরের দান।
# উপকারির উপকার স্বীকার করুন। উপকারীকে প্রতিদান দিন ও তাঁকে কৃতজ্ঞতা জানান।
# অকৃতজ্ঞ ও কৃতঘ্ন মানুষ থেকে নিজেকে দূরে রাখুন।
# সুস্থ বিনোদনের চর্চা করুন। অসুস্থ বিনোদনের পরিণাম মারাত্মক!
# সব সময় হাসিখুশি থাকুন।
# দুঃখ কষ্ট কমানোর জন্যে প্রয়োজনে চিৎকার করে কাঁদুন।
# অব্যক্ত কষ্টের যাতনা কষ্টকর। নিজের অব্যক্ত কষ্টকে নির্ভরশীল মানুষের কাছে প্রকাশ করুন।
# মমনে রাখবেন, স্বার্থ ও অর্থ সংশ্লিষ্ট বন্ধুত্ব শত্রুর সাথে ঘরবসতিরই নামান্তর!
# আপনার সমস্যা কে সম্ভাবনায় পরিণত করতে চেষ্টা করুন।
# সফলতার জন্য লক্ষ্য স্থির করুন। নিজে স্বপ্ন দেখুন, স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করুন এবং অন্যকে স্বপ্ন দেখান।
# ঋণকে না বলুন!
# পরিকল্পিত জীবনাচার করুন। পরিকল্পিত জীবনে আলাদা একটা শান্তি আছে।
# দীর্ঘসূত্রতা ও অলসতাকে পরিহার করুন।
# অজুহাত ও খোঁড়াযুক্তি প্রদর্শন থেকে দূরে থাকেুন। একটা কাজ না করার জন্যে হাজারটা যুক্তি দেখানো যায় কিন্তু কাজটি করার জন্যে আপনার একটা যুক্তিই যথেষ্ট।
# নির্ভরশীল মানুষের সংখ্যা খুব কম। তাই নিজের সমস্যার সমাধান নিজেই করুন।
# প্রত্যাশা দিয়ে দিন শুরু করুন, হতে পারে এটাই আপনার শেষ সকাল।
# কোন কিছুতে রিজিড থাকবেন না। কারণ সময়ের সাথে আগামীর পথে কখনো দৃঢ় প্রতিজ্ঞ থাকা যায় না।
# যেকোন বড় ধরনের বিপদের জন্যে মানসিক প্রস্তুতি রাখুন। কারণ বিপদ বলে আসেনা। বিপদকে ঠাণ্ডা মাথায় মোকাবেলা করুন।
# মূর্খ থেকে দূরে থাকুন। অশিক্ষিত বন্ধু অপেক্ষা শিক্ষিত শত্রু ভাল।
# জ্ঞানী জানেন তিনি কিছুই জানেন না আর মূর্খরা সবজান্তা!
# অতি আধুনিক স্মার্ট ভণ্ডদের থেকে দূরে থাকুন।
# কোন সৌহার্দ্যপূর্ণ বন্ধুত্ব বা দাম্পত্য সম্পর্কের ইতি টানবার আগে স্বার্ণালী অতীতকে স্মরণ করুন।
# হতাশাকে আমন্ত্রণ জানাবেন না । হতাশা থেকে দূরে থাকুন।
# দুঃখ দুর্দশা আমাদের জন্মগত ম্যাণ্ডেট; তাই এসব দুঃখবোধ ও কষ্টকে সমন্বয় করেই আমাদের ভাল থাকতে হবে।
# জ্ঞানই শক্তি। তাই জ্ঞানের চর্চা করুন।
# কর্ম কথা আচরণ বিচরণে স্মার্ট হোন।
# কথা বলার সময় লক্ষ্য রাখুন আপনার নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ আছে কিনা। এটা আপনার ব্যক্তিত্বকে অনেকখানি ম্লান করবে।
# স্বাভাবিক কথা বলুন; জোরে বা আস্তে নয়।
# নবাগত কোন সম্মানীয় মানুষের সাথে ব্যক্তিগত আলাপচারিতা করবেন না।
# সর্বক্ষেত্রে মেয়েদেরকে সম্মান জানিয়ে কথা বলুন।
# যেখানে যতটুকু দরকার ততটুকুই কথা বলুন। হাসিমুখে কথা বলুন।
# খাদ্য গ্রহণ ও ফোনোলাপের সময় শিষ্টাচার মেনে চলুন।
# বাথরুম ব্যবহারের পরে সেটা পরিচ্ছন্ন রাখুন। কারণ এটাও শিষ্টাচার।
# দাঁড়িগোফ পরিপাটি করে রাখুন। এখানেও আপনার ব্যক্তিত্বের প্রকাশ রয়েছে।
# শব্দ করে চা পান করবেন না; জোরে ফুঁ দিয়ে চা ঠাণ্ডা করা থেকে বিরত থাকুন।পিরিচের ঢেলে চা পান ভীষণ রকমের অভদ্রতা।
# আপনার ক্লাইন্টের চোখের দিকে তাকিয়ে নিষ্ঠার সাথে ধীরে ধীরে কথা বলুন।
# অন্যের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন এবং সেটার ফিডব্যাক তাকে জানান।
# তথ্য প্রযুক্তি জ্ঞানের চর্চা করুন। আপনি যে পেশায় থাকুন না কেন তথ্য প্রযুক্তির ন্যূনতম জ্ঞান না থাকলে আপনার বিপদ প্রতি পদে পদে।
# কল্পিত বিশ্বের ভাষা ইংরেজি তাই তথ্য প্রযুক্তির জ্ঞান চর্চা করতে গেলে আপনাকে ভাল ইংরেজি জানতেই হবে। অতএব, ভাল করে ইংরেজি ভাষা শিখুন। মনে রাখবেন ইংরেজি সহ যেকোন ভাষা শিখতে তেমন কোন মেধা লাগে না।
# অধিক সংখ্যক জনগণের সামনে ভাল বক্তৃতা করার অনুশীলন করুন। ভাল বক্তৃতা করা আপনার একটা বিশেষ যোগ্যতা।
# আপনার পোশাক, আবাসস্থল ও কর্মস্থল পরিপাটি রাখুন; আপনার মন ভাল থাকবে।
# সময়ের কাজ সময়ে করুন। সময়কে মূল্য দিন। সময়কে আপনার মত করে বেঁধে ফেলুন যেন সময় আপনাকে বাঁধতে না পারে।
# সময়ের ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত জরুরি।
# আস্তিক হলে সকল চাওয়া পাওয়াকে সৃষ্টিকর্তার উপরে ছেড়ে দিয়ে তাঁর সাহায্য প্রার্থনা করুন। আর নাস্তিক হলে সবকিছু প্রকৃতি বা ভবিতব্যের উপরে ছেড়ে দিন।
# যেকোন সিদ্ধান্ত ধীরস্থিরভাবে গ্রহণ করুন।
# বর্তমানের প্রাপ্তিতেই খুশি থাকুন। কারণ আগামীর দিনটা অনিশ্চিত!
# দীর্ঘ চেষ্টার পরের প্রাপ্তিকে ভবিতব্য বলে মেনে নিন।
# ভবিষ্যতেকে ভবিষ্যতের উপরে ছেড়ে দিন কারণ এটা অনিশ্চিত!
# কান কথাকে বিবেচনায় নিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন।
# জ্ঞান অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা অর্জন করে নিজেকে মেলে ধরুন।
# পরিমিত ঘুম ও খাবার গ্রহণ করুন।
# পরিচ্ছন্ন স্বাস্থ্যসম্মত জীবনাচার মেনে চলুন।
# কাউকে দুর্বল ভাববেন না। কারণ দুর্বল যেকোন সবলের শক্তিতে শক্তিমান হয়ে তার বল প্রয়োগ করতে পারে।
# প্রতিভা থাকলে আপনাকে প্রতি পদে পদে প্রতিহত হতে হবে। তবুও আপনার প্রতিভার প্রয়োগ থেকে পিছিয়ে আসবেন না।
# শর্টকাট থেকে বেরিয়ে এসে প্রকৃত জ্ঞানের চর্চা করুন। নব প্রজন্মের নতুন ভাবনা শুধুই শর্টকাট। এটা অনাকাঙ্খিত!
# সম্মানী মানুষকে প্রকৃত সম্মান দিন।
# সম্মানীয় মানুষকে অসম্মান করে আনন্দ করবার কিছু নেই।
# নিজে কাজ করুন। নিজের কাজকে প্রচার করুন। প্রচারেই প্রসার।
# যতক্ষণ শ্বাস ততক্ষণ অব্দি তারুণ্যের শক্তি নিয়ে নিজেকে কর্মে নিয়োজিত রাখুন। কাজেই শান্তি অলসতায় নয়!
# বহুমুখি কাজ করার জন্যে ব্রেইনটাকে বিভক্ত করে নিন।
# সংগ্রাম করে কিছু প্রাপ্তির মধ্যে আনন্দ আছে
# দৃঢ় মনোবল ও ইচ্ছাশক্তি থাকলে বয়স কোন বাঁধা না; দেশ বিদেশ কোন সমস্যা না; সম্পদ ও অর্থও কোন প্রতিবন্ধক নয়!
# সবকিছুর মূলে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হয়ে কাজ করা।
আমি (ড. আখতারুজ্জামান) নিজে একজন মস্তবড় বোকা মানুষ!
# মাঝে মাঝে মনে হয় আমি খানিকটা হলেও মানুষের মনস্তত্ব বুঝতে পারি; এতদ্সত্বেও আমি খুব আস্থার সাথে বলছি,“ আমি মানুষের চরিত্র বুঝতে একেবারেই অক্ষম! আমি জানিনে কে আমার আপন আর কেই বা পর।
# যাদের প্রতি আমার অগাধ বিশ্বাস,সময়ের পরিক্রমায় তাদেরকে ৩৬০০ কোণে ঘুরে আমার বিপরিত দিকে অবস্থান নিতে দেখেছি, বহুবার!
# আপনি একজন মানুষের জন্যে অনেক কিছু করেন কিন্তু কোন বিশেষ কারণে যদি তার জন্যে সামান্য কিছু করতে ব্যর্থ হোন তাহলে ঐ ব্যক্তিটি আপনার বিরূপ সমালোচনা করবে। আপনার গোটা জীবনের প্রাপ্তি নিমিষেই জলে যাবে।
# আমার তথাকথিত শুভাকাঙ্খীর মধ্যে ভয়ঙ্কর রূপের পরাকাষ্ঠা দেখেছি।
# নেটিজেনদের একটা অংশ আরো ভয়ঙ্কর! ওরা সম্মানীয় মানুষকে অসম্মান করে ভীষণ আনন্দ পায়!
# দিনে দিনে অকৃতজ্ঞ মানুষের সংখ্যা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। বাংলায় একটা শব্দ আছে “কৃতঘ্ন” এটার ইংরেজি কোন প্রতিশব্দ আমি খুঁজে পাইনি। তাই আমি এটার প্রতিশব্দ করেছি superior ungrateful. “কৃতঘ্ন” শব্দটি বোধকরি বাঙালী জাতির জন্যে প্রযোজ্য। আমরাই তো মীর জাফর আর খন্দোকার মোশতাকের বংশবদ!
# প্রকারন্তরে দিনে দিনে নির্ভরশীল ও বিশ্বাসী মানুষের সংখ্যা ক্রামাগত কমতে শুরু করেছে।
# আমরা নিজেদেরকে নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত। অন্যের জন্যে তিলেক দন্ড সময় ব্যয় করার মত সময় আমাদের নেই।
# নবেল বিজয়ী খঅঁটি বাঙালী কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯৪১ সালে তাঁর লেখা প্রবন্ধ “সভ্যতার সংকট” এ বলেছিলেন “মানুষের উপরে বিশ্বাস হারানো পাপ”। কবি গুরুর আজকে বেঁচে থাকলে তিনি ঠিক তাঁর এই আপ্তবাক্যটি প্রত্যাহার করে নিতেন।
# রবি ঠাকুর আজ থেকে ১২৫ বছর আগে(১৯ চৈত্র, ১৩০২ বঙ্গাব্দ) “সভ্যতার প্রতি” কবিতার শুরতে বড্ড মনঃকষ্টে বলেছিলেন,
দাও ফিরে সে অরণ্য, লও এ নগর,
লও যত লৌহ লোষ্ট্র কাষ্ঠ ও প্রস্তর
হে নবসভ্যতা! হে নিষ্ঠুর সর্বগ্রাসী…
# বাউল কবি শাহ আবদুল করিম তাই যথার্থই বলেছিলেন, “আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম….”
# বিজ্ঞান আমাদের বেগ দিয়ে আবেগ কেড়ে নিয়েছে।
আমার (ড. আখতারুজ্জামান) দুঃখ বেদনা ও কষ্ট:
# আমার এই ষাট বছর বয়স অব্দি পৌঁছুতে অনেক উত্থান পতনের সাথে যুদ্ধ করে তবেই আসতে হয়েছে।
# নীতিগতভাবে আমি কখনো চাইনে আমার কর্ম কথা আচরণ বিচরণে কেউ সামান্যতম কষ্ট পাক। এরপরেও যদি আমার আমার কর্ম কথা আচরণ বিচরণে কেউ সামান্যতম কষ্ট পেয়ে থাকে তাহলে সেটা আমার পোড়া কপাল!
# আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করি যেন কেউ আমাকে সামান্যতম বিরূপ সমালোচনা করতে না পারে। তা সত্বেও যখন অর্থহীন বিরূপ সমালোচনা আমার কানে আসে তখন বড্ড মনঃকষ্ট পায়।
# আমার ভাল ব্যবহার ও ভাল মানসিকতাকে অনেকে ব্যবহার করে আমাকে অপমান অপদস্থ করতে এতটুকু ছাড়েনি।
# সবচে বেশি প্রেম প্রীতি ও ভালবাসার বন্ধনে আবদ্ধ করেছি, ওরাই আমাকে আঘাত করেছে সবচে বেশি।
# সবচে বেশি প্রেম প্রীতি ও ভালবাসার বন্ধনে আবদ্ধ করেছি, ওরাই আমাকে আঘাত করেছে সবচে বেশি।
# সবার আবেগ অনুভূতিকে মূল্যায়ন করতে যেন আমি বাধ্য। আমার আবেগ অনুভূতির কোন দাম নেই। এমন শিক্ষা জীবন থেকে বহুবার পেয়েছি।
# বেশ করে বুঝলাম, মানুষ সৃষ্টি সেরা জীবা আবার কর্মদোষে মানুষ সৃষ্টির নিকৃষ্ট জানোয়ার!!
# শত শত অপকর্ম করে নিজেকে ধোঁয়া তুলসির পাতা মনে করবার মত মানুষ এখন অনেক।
# সব মিলিয়ে আমি হতাশ ও আশাহত!
# মানুষ এখন আত্মসমালোচনা করতে ভুলে গিয়েছেন।
# সবাই ভাবে সে একদম খাঁটি আম আদমি।
# আমি ভণ্ডদের বড্ড ভয় পায়।
# শত্রু তৈরির জন্যে খারাপ কাজের দরকার নেই। আপনার ভাল কাজ আপনাকে শত্রু সংখ্যা দ্রুত বাড়িয়ে দেবে।
# জীবন সম্পরোক আমার সবচে মূল্যবান ভাবনা,“ আসছি একা, যাবোও একা, দৃশ্যমান সময়টুকুতেও বড্ড একা”
আমার জীবনের প্রাপ্তি
# অনেক দুঃখ কষ্ট ও কায়ক্লেশের মাঝে আমি অনেক পেয়েছি।
# প্রত্যাশিত মানুষ হতে আমার প্রাপ্তি কম কিন্তু অপ্রত্যাশিত মানুষ হতে পেয়েছি অনেক অনেক কিছু।
# মানুষ আমাকে অন্যায়ভাবে অনেক ক্ষতি করতে নিরন্তর চেষ্টা করেছে কিন্তু শেষতক শেষ হাসি আমিই হেসেছি।
# মহান আল্লাহপাক তাঁর নিজ করুণায় আমাকে রক্ষা করেছেন।
# শেষ বিচোরে আমি আমার ন্যায্য পাওনাটুকু ঠিক পেয়েছি।
# মহান আল্লাহপাকের দরবারে কায়মনে কিছু চেয়ে আমি কখনো নিরাশ হইনি।
# তাই পরিশেষে ওপার বাংলার সঙ্গীত বোদ্ধা হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গানের সুরে সুরে আমারও বলতে ইচ্ছে করে,ওগো যা পেয়েছি সেই টুকুতে খুশি আমার মন……..।
দ্রষ্টব্য: এই লেখাটির হুবহু অনুবাদ দেখতে নিজের লিঙ্কে ক্লিক করুন। অনুবাদটিও আমার নিজের প্রস্তুত করা।