Skip to content
- এই অংশে বাংলাদেশী নতুন পুরাতন দিনের বাংলাদেশী চলচিত্রের লিঙ্কগুলোর সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেব। লিঙ্কগুলোতে আপনার ক্লিক করুন বা লিঙ্কগুলো কপি করে কোন ব্রাউজারে বসিয়ে দিন ঠিকমত ছবি দেখেতে পারবেন।
- ……………………………………………………………………………………………
- #মুক্তির গান: তারেক মাসুদ ও ক্যাথরিন মাসুদ পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক বাংলা প্রামাণ্য চিত্র। ছবিটি মুক্তি পায় ১৯৯৫ সালে।ছবিটি দক্ষিণ এশিয়া চলচ্চিত্র পুরস্কারে বিশেষ উল্লেখ পুরস্কার এবং ২০তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে পুরস্কার লাভ করে। মার্কিন চলচ্চিত্র নির্মাতা লিয়ার লেভিন ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় যুদ্ধের উপর একটি ডকুমেন্টারি নির্মাণের অভিপ্রায়ে এদেশের একদল সাংস্কৃতিক কর্মীর সঙ্গ নেন। ‘বাংলাদেশ মুক্তি সংগ্রামী শিল্পী সংস্থা’ নামের দলের এই সদস্যরা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে মুক্তিযোদ্ধা ও শরনার্থীদের দেশাত্মবোধক ও সংগ্রামী গান শুনিয়ে উজ্জীবিত করতেন। এই শিল্পীদের সাথে থেকে লেভিন প্রায় ২০ ঘণ্টার ফুটেজ সংগ্রহ করেন। যুদ্ধের শেষ দিকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যান। দেশ স্বাধীন হওয়ার কারণে এবং আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে তিনি ডকুমেন্টারি তৈরি করতে পারেননি। দীর্ঘ দুই দশক পর ১৯৯০ সালে তারেক ও ক্যাথরিন মাসুদ নিউইয়র্কে লেভিনের কাছ থেকে এই ফুটেজ সংগ্রহ করেন। এ থেকে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রামাণ্য চিত্রটি নির্মাণের জন্য তারা আরো বিভিন্ন উৎস থেকে মুক্তিযুদ্ধের নানা সংরক্ষিত উপাদান সংগ্রহ করেন, বিশ বছর আগের সেই শিল্পীদের সাথে যোগাযোগ করেন। লেভিনের কাছ থেকে প্রাপ্ত ফুটেজের সাথে সংগৃহীত অন্যান্য উপাদান যোগ করে এটি নির্মিত হয় ।বাংলাদেশের বিভিন্ন শিল্পী মুক্তির গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। গানে কণ্ঠ দিয়েছেন বিপুল ভট্টাচার্য, দেবব্রত চৌধুরী, দুলাল চন্দ্রশীল, লাইলা খান, লতা চৌধুরী, লুবনা মরিয়ম, মাহমুদুর রহমান বেনু, শাহীন সামাদ, শারমিন মুর্শিদ, স্বপন চৌধুরী, এবং তারিক আলী। ছবিতে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) গিয়াসউদ্দিন চৌধুরী, আমিনুল হক চৌধুরী এবং নাম না জানা অনেক মুক্তিযোদ্ধারা অংশগ্রহণ করেন।আপনি যদি এ দেশকে এবং দেশের স্বাধীনতাকে ভালবাসেন, তাহলে আমার সর্নিবন্ধ অনুরোধ প্লিজ ছটিটি দেখুন।৭৫ মিনিটের এই অসামান্য প্রামাণ্য দলিল থেকে যেমন আপনি দুর্লভ কিছু দেখতে পাবেন তেমনি কিছক্ষণের জন্যেও আপনি আবেগতাড়িত আর অশ্রুসিক্ত হবেনই এবং আপনার শ্রদ্ধা বাড়বে মার্কিন চলচিত্রকার লিয়ার লেভিন, অকাল প্রয়াত চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ ও তাঁর আমেরিকান স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদের প্রতি ।
- নিচে মুক্তির গানের প্রথম পার্টের লিঙ্কটি দেয়া হলো। প্রথম পার্টের পরে অনান্য সব লিঙ্কগুলো পরপর পেয়ে যাবেন।https://www.youtube.com/watch?v=ajwuK_x_4EE&t=240s
- —————————————————————————————–
- # মুক্তির কথা: তারেক মাসুদ ও ক্যাথরিন মাসুদ পরিচালিত ১৯৯৯ সালের বাংলাদেশী নাট্য চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রটিতে ১৯৭১ সালে বাংলদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন মানুষের সংগ্রামের কাহিনী বিবৃত হয়েছে। ছবিটিতে সাধারণ জনগণ কিভাবে গণহত্যা, ধর্ষণ ও বর্বরতার শিকার হয়েছে তার উল্লেখ রয়েছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখনো মানুষ তেমনি সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জীবন অতিবাহিত করছে। চলচ্চিত্রের কিছু ফুটেজ মার্কিন চলচ্চিত্র নির্মাতা লেয়ার লেভিন-এর থেকে নেয়া হয়েছে।১৯৯৬ সাল থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত একদল তরুণ তরুণী প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে ঘুরে ঘুরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রামাণ্যচিত্র মুক্তির গান দেখাতে শুরু করেন। প্রদর্শনী শেষে গ্রামবাসীরা প্রজেকশনিস্ট দলের কাছে তাদের নিজস্ব অভিজ্ঞতা আর অভিযোগের কথা বলতে শুরু করেন। কখনও কখনও প্রদর্শনী হয়ে উঠে মুক্তিযুদ্ধের লোকগানের আসর। শহরের তরুণ প্রজেকশনিস্ট দল উপলব্ধি করে গ্রামের মানুষের কাছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা পৌঁছাতে এসে তাদের কাছ থেকেই মুক্তিযুদ্ধের বৃহত্তর ইতিহাস জানতে পেরেছে। মুক্তির গানের প্রতিক্রিয়া ও ধারাবাহিকতায় মুক্তির কথাটি দেখার জন্যে বিশেষ অনুরোধ রইলো।
- https://www.youtube.com/watch?v=P2V981ZpZdw
- —————————————————————————————-
- # আগুনের পরশমণি:১৯৯৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলাদেশী বাংলা ভাষার চলচ্চিত্র। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধভিত্তিক এই চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেন বাংলাদেশের বিখ্যাত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ। এটি তাঁর নিজের লেখা উপন্যাস অবলম্বনে নির্মাণ করেন এবং এটিই তাঁর পরিচালিত প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। এতে অভিনয় করেছেন বিপাশা হায়াত, আসাদুজ্জামান নূর, আবুল হায়াত, ডলি জহুর সহ আরো অনেকে। বাংলাদেশ সরকারের অণুদানের ছবি আগুনের পরশমণি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রসহ আটটি বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করে।
- ১৯৭১ সালের মে মাস। অবরুদ্ধ ঢাকায় ভীষণ নিস্তব্ধ রাতের বুক চিরে ছুটছে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সাঁজোয়া গাড়ির বহর। তীব্র হতাশা, তীব্র ভয়ে কাঁপছে বাংলাদেশের মানুষ। অবরুদ্ধ ঢাকার একটি পরিবারের কর্তা মতিন সাহেব ট্রানজিস্টার শোনার চেষ্টা করছেন মৃদু ভলিউমে। ভয়েস অব আমেরিকা, বিবিসি, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র শোনার চেষ্টা করছেন। নব ঘোরাচ্ছেন ট্রানজিস্টারের। হঠাৎ শুনতে পেলেন বঙ্গবন্ধুর বজ্রকণ্ঠের অংশ বিশেষ : ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম। মতিন সাহেবের পরিবারে কয়েকদিন পর হাজির হন উনার বন্ধুর ছেলে বদি এবং তার সাথের মুক্তিযোদ্ধারা একের পর এক অভিযান করে সফলতা লাভ করে। কিন্তু এক এক করে তারা পাক বাহিনীর হাতে বন্ধী হয়। ধরা পড়েও গেরিলাযোদ্ধা রাশেদুল করিম তাকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় থু থু ছিটিয়েছেন পাকিস্তানী মেজরের মুখে। হাতের আঙুল কেটে ফেলা হয়েছে তাঁর। মাথা নোয়াননি। অবশেষে বদি গুলি খান। তাকে সারানোর মত ডাক্তার ঔষধের এর জন্য সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু তিনি কি পারবেন সকাল পর্যন্ত বাঁচতে? তিনি কি আরেকটি সূর্যালোক দেখতে পাবেন? এভাবেই শেষ হয় চলচ্চিত্রের কাহিনী। চমৎকার কাহিনী। উপভোগ্য চলচিত্র।
- এই ছবিটি দেখে থাকলেও আবার দেখুন, আবারো ভাল লাগবে।
- https://www.youtube.com/watch?v=N2_ZAY34Lc8&t=3800s
- —————————————————————————————-
- # অবুঝ মন: চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত,কাজী জহির প্রয়োজিত, রাজ্জাক, শাবানা শওকত আকবর অভিনীত বিয়োগান্তক ছবি। সে সময়ের সুপারহিট ছবি এটি। দেখে আপনার মজা পাবেন। নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে ছবিটা দেখুন।ছবিটি ১৯৭৩ সালে মুক্তি পায়।
- https://www.youtube.com/watch?v=KyOj9UMaMLA
- —————————————————————————————-–
- # মধু মিলন: রাজ্জাক শাবানা অভিনীত কাজী জহিরের আরেকটি চমৎকার ছবি মধু মিলন। এ ছবিটিও আপনাদের বেশ লাগবে। নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে ছবিটা দেখুন।
- http://readhealtharticle.com/watch?v=OqAtpOYy8lI
- —————————————————————————————-
- #অশ্রু দিয়ে লেখা : রাজ্জাক, সুজাতা, সুচন্দা, আনোয়ার হোসেন অভিনীত আরেকটি চমৎকার পুরানা দিনের বাংলা চলচিত্র অশ্রু দিয়ে লেখা। ছবিটি উপভোগ করতে নিচের লিযঙ্ক ক্লিক করুন।
- https://www.youtube.com/watch?v=gQswRQ0G7Mw
- —————————————————————————————
- # আবির্ভাব: রাজ্জাক কবরী অভিনীত আরেকটি চমৎকার ছবি আবির্ভাব। ছবিটি আপনাদের সবার কাছে ভাল লাগবে বলে আশা করি। ছবিটি উপভোগ করতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন।
- https://www.youtube.com/watch?v=N15F5vJxN4M
- —————————————————————————————-
- # জীবন থেকে নেয়া: যুদ্ধপূর্ব সময়ে মরহুম জহির রায়হানের অসাধারন চলচিত্র এটি। চলচিত্রে অভিনয় করেছেন, রাজ্জাক, সুচন্দা, রোজী সামাদ, খান আতা, আমজাদ হাসেন, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ। ছবিটি দেখুন এবং প্রাণভরে আনন্দ উপভোগ করুন।ছবিটি উপভোগ করতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন।
- https://www.youtube.com/watch?v=3KwomNGsC6s
- ————————————————————————————–
- # সুতরাং: ১৯৬৪ সালের ছবি। কবরী অভিনীত প্রথম চলচিত্র। কবরীর বিপরিতে সুভাষ দত্ত অভিনয় করেন। এই ছবিটি ও ছবির গানগুলো আপনার ভারি ভাল লাগবে।ছবিটি উপভোগ করতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন।
- https://www.youtube.com/watch?v=m5slqUpQlvk
- —————————————————————————————
- # নীল আকাশের নীচে: এটিও রাজ্জাক কবরী অভিনীত একটি চমৎকার ছবি।ছবিটি মন দিয়ে দেখলে আপনার ভাল লাগতেই হবে।“নীল আকাশের নিচে রাস্তায় চলেছি একা”, এটি ছবিটির একটা কালজয়ী গান।ছবিটি উপভোগ করতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন।
- https://www.youtube.com/watch?v=tJvxs4SoHZU
- ————————————————————————————–
- # স্বরলিপি: ছবিটি নজরুল ইসলাম পরিচালিত ১৯৭০ সালের। বাংলাদেশি রোম্যান্টিক চলচ্চিত্র। ছবিটির কাহিনী লিখেছেন নাজনীন আহমেদ এবং চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন আশীষ কুমার লোহ। নাজ প্রডাকশন্সের ব্যানারে ছবিটি প্রযোজনা করেছেন নজরুল ইসলাম এবং নাজনীন আহমেদ। এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন ববিতা ও রাজ্জাক। ছবিটি উপভোগ করতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন।
- https://www.youtube.com/watch?v=X78JRBl7RFI&t=303s
- —————————————————————————————
- # ঝড়ের পাখি: ১৯৭৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত রাজ্জাক শাবানা অভিনীত চমৎকার ছবি।এই ছবিটিও আপনাদের ভাল লাগবে বলে আশা রাখি। ছবিটি উপভোগ করতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন।
- https://www.youtube.com/watch?v=b_FKoeFh9PM
- ————————————————————————————–
- #) দ্বীপ নেভে নাই: রাজ্জাক কবরী ববিতা অভিনীত একটু পুরানা মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তি চলচিত্র এটি। ১৯৭০ সালে মুক্তি পায়। বেশ উপভোগ্য ছবি।ছবিটি উপভোগ করতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন।
- https://www.youtube.com/watch?v=hGIJvs5M8m0
- ————————————————————————————-
- # সীমানা পেরিয়ে(১৯৭৮): জয়শ্রী কবির ও বুলবুল আহমেদের ভিন্ন ধরনের চলচিত্র এটি। ছবিটি ১৯৭৮ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-এ তিনটি বিভাগে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার লাভ করে। বিজয়ী শ্রেষ্ঠ অভিনেতা – বুলবুল আহমেদ; বিজয়ী শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার – আলমগীর কবির; বিজয়ী শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা – আলমগীর কবির।
- https://youtu.be/7oUZpPEG8Zw
- —————————————————————————————-
- # সূর্য দীঘল বাড়ি(১৯৭৯): ‘সূর্য দীঘল বাড়ি‘ উপন্যাসটি লিখা হয়েছিলো ১৯৫৫ সালে আর এই উপন্যাসটিকে ঘিরে চলচ্চিত্র বানানো হয়েছিল ১৯৭৯ সালে।শরীয়তপুর জেলাবাসীদের চলচ্চিত্র। আর্ন্তজাতিক খ্যাতি সম্পন্ন ব্যক্তিত্ব আবু ইসহাক এর কালজয়ী উপন্যাস সুর্য়দীঘল বাড়ী অবলম্বেন নির্মিত চলচ্চিত্র।সূর্য দীঘল বাড়ী ছবিটি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র ও পরিচালক সহ মোট আটটি বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করে। বিজয়ী: শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র – মসিহউদ্দিন শাকের (প্রযোজক); বিজয়ী: শ্রেষ্ঠ পরিচালক – শেখ নিয়ামত আলী ও মসিহউদ্দিন শাকের প্রমুখ:
- https://www.youtube.com/watch?v=gMeeozaMmIM
- —————————————————————————————-