বঙ্গবন্ধুর কৃষি ভাবনায় বর্তমান সরকার

কৃষি উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর ধারাবাহিকতায় কৃষিবান্ধব বর্তমান সরকার

…..কৃষিবিদ ড. মো. আখতারুজ্জামান

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন কৃষি ও কৃষকবান্ধব। সোনার বাংলাদেশ গড়তে ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সমৃদ্ধ কৃষির যে কোন বিকল্প নেই এটা বঙ্গবন্ধু বেশ করে বুঝেছিলেন। বঙ্গবন্ধু ভাল করেই জানতেন, ‘যারা জোগায় ক্ষুধার অন্ন কৃষি হলো তাঁদের জন্যে’। তাই বঙ্গবন্ধু তাঁর স্বল্পকালীন সময়ের শাসনামলে কৃষি উন্নয়নে যেসব যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন তার অন্যতম হলো:

➽ ২৫ বিঘা পর্যন্ত জমির খাজনা মওকুফ;

➽ গ্রাম্য সমাজ ভিত্তিক কৃষকের জন্যে সুদমুক্ত ঋণের প্রবর্তন;

➽ স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ২২ লাখ কৃষককে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ;

➽ বিনামূল্যে বা নামমাত্র মূল্যে ১৯৭২ সালে ১৬,১২৫ মে.টন উফশী ধান বীজ, ৪৪,০০০ মে.টন পাট বীজ এবং ১,০৩৭ মে.টন গম বীজ কৃষকদের মাঝে বিতরণ;

➽ প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় প্রথম বৃক্ষরোপণ অভিযান চালুকরণ;

➽ বঙ্গবন্ধুর শাসনামলের প্রথম বাজেটেই কৃষিতে ভর্তুকির ব্যবস্থা গ্রহণসহ সার, কীটনাশক ও সেচ যন্ত্রাংশ সরবরাহ;

➽ প্রাইম সাপোর্ট হিসেবে ধান, পাট, আখ প্রভৃতি ফসলের ন্যূনতম মূল্য নির্ধারণ;

➽ গ্রামভিত্তিক সবুজ বিপ্লবের কর্মসূচি গ্রহণ;

➽ ১৯৭২-৭৩ সালের ৫০০ কোটি টাকা উন্নয়ন বাজেটের মধ্যে ১০১ কোটি টাকার বরাদ্দ রাখা হয়েছিল কৃষি; উন্নয়নের জন্যে। যেটি বঙ্গবন্ধুর কৃষিবান্ধব নীতির কারণেই সম্ভব হয়েছিল।

➽ বঙ্গবন্ধুর কৃষিবান্ধব চিন্তা শুধু গাছপালা আর ফুল ফসলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না। সামগ্রিক কৃষি উন্নয়নই ছিল বঙ্গবন্ধুর কৃষি ভাবনার মূলসুর।

কৃষিতে স্নাতক শেষ করে চাকরিতে যোগদানের সময় কৃষিবিদদের দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা হিসেবে পদায়ন করা হতো। ফলে চিকিৎসক এবং প্রকৌশলীদের মতো কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তার মর্যাদা দেয়ার দাবি উঠতে থাকে স্বাধীনতার আগে থেকেই। স্বাধীনতার পরও তাদের এ দাবি অব্যাহত থাকে। ১৯৭৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ময়মনসিংহস্থ বাংলাদেশ  কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সভায় গুরুত্ব সহকারে কৃষিবিদদের এ দাবি মেনে নেন। শুধু তাই না, ঘরোয়া আলোচনায় বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘কৃষিপ্রধান বাংলাদেশে কৃষিবিদদের মর্যাদা হবে সবচে বেশি…।’  বঙ্গবন্ধু সেই দিনই ( ১৩ফেব্রুয়ারি ,১৯৭৩) কৃষিবিদদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সময় প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তার পদমর্যাদায় উন্নীত করেন।

কালের পরিক্রমায় কৃষি গ্রাজুয়েটরা তাঁদের কৃতজ্ঞতা স্বরূপ বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা মোতাবেক দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রচেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন।  কৃষি শিক্ষায় মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের  অনুপ্রবেশ বাড়তে থাকে; যদিও ১৯৭৭ সালের বেতন কাঠামোয় কৃষিবিদদের সেই মর্যাদা আবারও একধাপ নামিয়ে দেয়া হয়। কৃষিবিদদের  তীব্র আন্দোলনের মুখে তদানীন্তন  সরকার কৃষিবিদদের সেই হারানো সম্মান আবার ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হন। ফলে বঙ্গবন্ধুর কারণে আজকে আমরা কৃষিবিদরা গর্ব করে বলতে পারি, ‘বঙ্গবন্ধুর অবদান, কৃষিবিদ ক্লাস ওয়ান’।

বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা করার পর যারা ক্ষমতায় আসেন, তারা নানাভাবে কৃষিবিদদের অবমূল্যায়ন করার চেষ্টা করে। এরপর ভিন্ন ধারার রাজনীতির ডামাডোলে পড়ে ১৩ ফেব্রুয়ারি বিশেষ দিনটিকে মনে করার কোনো ব্যবস্থা করা যায়নি। অবশেষে ‘কৃষিবিদদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ১৩ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে ‘কৃষিবিদ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ফলে ২০১১ সাল থেকে যথাযোগ্য মর্যাদায় নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ১৩ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে কৃষিবিদ দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে। এদিন কৃষিতে বঙ্গবন্ধুর অসামান্য অবদান ও কৃষিবিদদের মর্যাদা বৃদ্ধির বিষয়টি স্মরিত হয় অত্যন্ত ভক্তি ও শ্রদ্ধাভরে।  

কৃষিবিদরা তাঁদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখলেও ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে পারেনি। কারণ সে সময় দেশের জনসংখ্যা সাড়ে ৭ কোটি থেকে ১৩ কোটিতে উন্নীত হয়েছিল। এ সমস্যা সমাধানে কৃষিবিদ ও কৃষকদের প্রয়োজনীয় সার, বীজ, তেল ও অন্যান্য সুবিধা না দেয়ায় কাঙ্খিত  লক্ষ্য অর্জন করতে পারেননি। ন্যয্যমূল্যে  সার প্রাপ্তির আশায় আন্দোলন করতে যেয়ে ১৯৯৫ সালের ১৫ মার্চ, ১৮ জন নিরীহ কৃষককে প্রাণ হারাতে হয়েছিল। ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর কৃষি উন্নয়নে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন সাধিত হয়। সার, বীজ, সেচ ব্যবস্থা উন্নয়ন, খাদ্য মজুদ বৃদ্ধি, কৃষি পণ্যের সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থাসহ কৃষি উন্নয়নে বিভিন্ন বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হয়। ফলে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে।

কৃষিই আমাদের কৃষ্টির মূল। বিজ্ঞান প্রযুক্তিতে আমরা যতই উন্নতি করি না কেন, খাদ্য ও পুষ্টির চাহিদা মেটানোর জন্য আমাদেরকে বারবার ফিরে যেতে হয় কৃষি ও কৃষকের কাছে। একবিংশ  শতাব্দীর এই ক্ষণে আমরা বিজ্ঞানের সকল শাখার অভ‚তপূর্ব উন্নয়নের কথা জোর দিয়ে বলতে পারি। পুষ্টিকর মানব খাদ্যের জন্যে পৃথিবীর তাবদ মানুষকে আজও সেই সমৃদ্ধ ও গৌরবমণ্ডিত পেশা কৃষির উপরেই নির্ভর করতে হয়। কৃষিতে বাংলাদেশের মত অল্প সময়ে এত উন্নয়ন বিশ্বের খুব কম দেশেই হয়েছে। এখন প্রয়োজন নিরাপদ ও পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার নিশ্চিতকরণ। দেশের প্রায় ১৭ কোটি মানুষের জন্যে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারলেও  নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ এখনও  একটা বড় চ্যালেঞ্জ। এ ব্যাপারে বর্তমান সরকার এবং কৃষি মন্ত্রণালয় ভীষণভাবে তৎপর। আশা করছি এ সমস্যার সমাধানও এখন সময়ের দাবি মাত্র।

দেশ স্বাধীনের অব্যবহিত পরে এ দেশে আবাদযোগ্য জমি ছিল ১ কোটি ৮৫ লক্ষ হেক্টর এবং মোট খাদ্য উৎপাদন ছিল ৯৫ লক্ষ মে.টন। বর্তমানে সেই আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ৮৫ লক্ষ হেক্টর অথচ দেশে ২০১৭-১৮ বছরে মোট খাদ্যশস্য উৎপাদন হয়েছে ৪০৭.১৪ লাখ মেট্রিক টন। ১৯৭১ সালে দেশের জনসংখ্যা ছিল সাড়ে ৭ কোটি আর বর্তমানে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায়  ১৭ কোটিতে। আবার প্রতি বছর দেশে যোগ হচ্ছে ২৪ লক্ষ নতুন মুখ। অন্যদিকে প্রতিনিয়তই আমাদের দেশের আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। এক হিসেবে মতে শিল্পকারখানা স্থাপন, নগরায়ন, আবাসন, রাস্তাঘাট  নির্মাণ ও নদী ভাঙনের ফলে প্রতি বছর দেশ থেকে ৬৮,৭০০ হেক্টর করে কৃষিজমি কমে যাচ্ছে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলে  লবণাক্ততার কারণেও  প্রতিদিন ২০ শতাংশ করে ফসলি জমি কমছে। মোদ্দাকথা  বন্যা, খরা, লবণাক্ততা ও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো প্রাকৃতিক প্রতিক‚লতা সত্তে¡ও আমাদের কৃষি কিন্তু মুখ থুবড়ে পড়েনি; মাথা উঁচু করে সগৌরবে চলমান রয়েছে। এই বিপুল জনগোষ্ঠীর খাদ্যের চাহিদা মেটাতে কৃষকদের সাথে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন তাদের সহযোগি সকল প্রতিষ্ঠান দিন-রাত পরিশ্রম করে নতুন নতুন জাত আবিষ্কার কৃষিপ্রযুক্তি উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণ করে যাচ্ছেন কৃষিবিদরা তাঁদের সহযোগিরা। আর কৃষি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তাঁদেরকে সার্বিক সহায়তা করে যাচ্ছে বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার।

বঙ্গবন্ধুর সেই কৃষি উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছেন তাঁর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর সকল সরকারের শাসনামলে; তাই তো আজ সার্বিক কৃষিতে এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। কৃষিতে এখন বহুমুখীকরণ ও বাণিজ্যিকীকরণ ঘটেছে। বর্তমান সরকার খ্যাতি পেয়েছে ‘কৃষি বান্ধব’ সরকার হিসেবে। বঙ্গবন্ধুর কৃষি উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকার কারণে আজকের খাদ্যে স্বয়ম্ভর বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে স্বীকৃতি পেয়েছে।

বলতে দ্বিধা নেই, কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সকল সেক্টরে বর্তমান সরকার যেভাবে পৃষ্ঠপোষকতাসহ সরকারি অনুদান প্রদান করে যাচ্ছে সেটি এশিয়া মহাদেশের কোথাও নেই। এমনকি পৃথিবীর খুব কম দেশেই এমনটি আছে। বিগত ২০১৯ সালে থাইল্যান্ড ও ভারতে অনুষ্ঠিত দু’টি আন্তর্জাতিক কৃষি সভায় (6th International Conference on Agriculture, 2019, Bangkok ,Thailand & International Seminar on Agriculture, Research, Industry & Livelihood, 2019, BCKV, Kallyani, West Bengal, India) যোগদান শেষে আমার মধ্যে এমন ধারণা বদ্ধমূল হয়েছে। কৃষি উন্নয়নসহ আমাদের সাম্প্রতিক সর্বিক উন্নয়ন সূচককে বিশ্ব মহল রীতিমত বিস্ময়ের চোখে দেখছেন। আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হেনরি কিসিঞ্জারের তলাবিহীন ঝুড়িখ্যাত বাংলাদেশ এখন, তলাযুক্ত সম্পদশালী ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ। কৃষি সেক্টরে সরকারের ব্যাপক পৃষ্ঠপোষকতা, অসামান্য অর্থায়ন, নির্বিঘ্নে সার সরবরাহের ব্যবস্থা, বারবার সারের মূল্য হ্রাস, অধিক কৃষিভিত্তিক প্রকল্প গ্রহণ, কৃষিতে ভর্তুকি প্রদান, ৫০-৭০% সাশ্রয়ী মূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতির সরবরাহ এবং কৃষি প্রণোদনাসহ অনান্য কৃষিবান্ধব নীতির যথাপোযুক্ত রূপায়ন এবং কৃষক, কৃষিবিদ ও এঁদের সহযোগীদের সম্মিলিত প্রয়াসেই আজকে আমরা মাথা উঁচু করে বলতে পারছি:

            ➽ চাল উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে তৃতীয় স্থানে;

            ➽ সবজি উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে তৃতীয় স্থানে;

            ➽ মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে চতুর্থ স্থানে;    

            ➽ ছাগল উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে চতুর্থ স্থানে;

            ➽ আম উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে সপ্তম স্থানে;

            ➽ পেয়ারা উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে চতুর্থ স্থানে;

            ➽ আলু উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে সপ্তম স্থানে;

            ➽ কৃষি যান্ত্রিকীকরণে বাংলাদেশ এশিয়ার মধ্যে শীর্ষস্থানে;

            ➽ ফল ফসলের জাত উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বসেরা স্থানে।

বৈশ্বিক ও জাতীয় করোনা সংকট মোকাবেলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কৃষি উৎপাদনের ধারা সচল রাখার জন্য ৪% সরল সুদে কৃষি ঋণ বিতরণসহ প্রতিটি ইউনিয়নে কালিকাপুর মডেল অনুসরণ করে প্রতি ইউনিয়নে ৩২টি সবজি বাগান করাসহ নানাবিধ কৃষি উন্নয়নমূলক কার্যক্রম ও প্রকল্প গ্রহণ করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী করোনা  সংকটের ধারাবাহিকতায় খাদ্য সংকট যেন কোনভাবেই জাতীয় সমস্যার সৃষ্টি না করে সে ব্যাপারে সতর্ক দৃষ্টি রেখে কৃষি মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করে চলেছেন।

আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও অর্থায়নে আমাদের কৃষি যেভাবে দুর্দান্ত ও দুর্বার গতিতে সম্মুখপানে এগিয়ে চলেছে, তাতে করে আগামী দিনে বাংলাদেশের কৃষি বিশ্ব সেরা স্থান দখল করবেই করবে।

আমরা সেই সুদিনের অপেক্ষোয়।

জয়তু বঙ্গবন্ধু! মুজিববর্ষ সফল হোক।

৩০ জুলাই, ২০২০ খ্রি.

তথ্যসূত্র: ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়া।

দ্রষ্টব্য: এই লেখাটির হুবহু ইংরেজি অনুবাদ দেখতে এই ওয়েবসাইটের নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুনঅনুবাদটিও আমার নিজের ।