ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত বিভিন্ন তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে এই অংশে স্বাস্থ্য বিষয়ক জরুরী প্রতিবেদন এখানে প্রকাশ করবো। আপনি যদি ডাক্তার হন বা এই বিষয়ক কোন সংকলিত লেখা এই অংশে প্রকাশের জন্যে পাঠাতে চান তাহলে আপনাকে সাদর আমন্ত্রণ । আপনার মেধাস্বত্ব ঠিক রেখে যথাযথ সম্মান সহকারে আপনার লেখা প্রকাশ করা হবে।এখানে আলোচিত বিষয়ের প্রথমে কিছু সার সংক্ষেপ দেখতে পারবেন, পরে সেগুলোর ওয়ার্ড ফাইল পেতে চাইলে সংযুক্ত ফাইলে ক্লিক করুন।
————————————————————————————-
প্রতিবেদন-১:স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রাকৃতিক স্বাস্থ্যবিধি :সকল বয়সী নর নারী বিশেষ করে যাদের বয়স ৪০ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে, তাদেরকে অবশ্যই এটা মেনে চলার বিনম্র আহবান রইলো প্রত্যাহিক প্রাকৃতিক স্বাস্থ্যবিধির মূলমন্ত্র হলো: (১) একটা কাগুজী লেবুর রস সেবন; (২) কুসুম গরম পানিতে এক চামচ মধু ,ডায়া্বেটিস থাকলে আধা চামচ মধু খাবেন এবং সকালের বরাদ্দকৃত খাবার থেকে একটা রুটি কম খাবেন।এরপর দ্রুত ১ ঘন্টা হাঁটবেন, আর হার্টের সমস্যা থাকলে বিকেলে হাঁটবেন; (৩) এক চিমটা কালো জিরা; (৪) ২/৩ কোয়া কাঁচা রসুন; (৫) ২০-৩০ গ্রাম আদা এবং কাঁচা হলুদ; (৬) ১০ টি তুলসীর আদা; (৭) একটা আপেল; (৮) ২ টি কলা; (৯) সকাল বিকেল দুই কাপ গ্রীন টি চিনি ছাড়া; (১০) দিনের এক কাপ ননী বিহীন দুধ।এসবের সাথে সাথে সকাল ও রাতে রুটি খান। কখনো ভরপেট খাবেন না, কমপক্ষে পেটের তিনভাগের এক ভাগ খালি রাখুন। খাবার বেশী করে চিবিয়ে খাবেন। খাবারের সময় পানি পান করবেন না। পানি পান করবেন খাবার খাওয়ার ১ ঘন্টা পর। দিনে ৩/৪ লিটার পানি পান করুন। বেশী করে শাক সব্জি খাবেন(গড়ে ২৫০গ্রাম প্রতিদিন)। প্রতিদিন দেশী ফল খাবেন ১০০ গ্রামের মত। সকাল বিকেল কিছু চীনা বাদাম চিবিয়ে খান।
এই প্রাকৃতিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে আপনি নিশ্চিতভাবেই যে উপকার পাবেন তাহলো:ওজন নিয়ন্ত্রনে থাকবে; শরীরে বিষাক্ত পদার্থ বেরিয়ে যাবে; হজম শক্তি বাড়বে ও বিপাক ক্রিয়া ত্বরান্বিত হবে; শরীরের কমনীয়তা বজায় থাকবে; হার্ট ভাল কাজ করবে; রক্তচাপ নিয়ন্ত্রিত হবে; ডায়াবেটিস বাড়বে না; শ্বাস কষ্ট ও এলার্জী কমে যাবে; বাত ব্যাথার নিরাময় হবে; পুরুষদের প্রস্ট্রেট গ্রন্থির স্ফীতি নিয়ন্ত্রিত হবে; শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে; শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। এতদ্ব্যতীত শরীরের ক্রনিক কিছু সমস্যা আপনিতেই দুর হয়ে যাবে।মনে রাখবেন আগের দিনের মানুষেরা এসব প্রকৃতিক থেরাপী অনুশীলন করেই দীর্ঘজীবন লাভ করতেন।
সেইসাথে যা পরিহার করবেন: শরীরের অতিরিক্ত ওজন, হার্ড ড্রিঙ্কস্, সফট্ ড্রিঙ্কস্, এনার্জী ড্রিঙ্কস্, ধূমপান, সকল ধরনের বেকারীর খাবার, চিনি বা মিষ্টিজাতীয় খাবার, অতিরিক্ত লবণ, রেড মিট ইত্যাদি।
এখন আসুন আপনাদের এইসব প্রতিটি প্রাকৃতিক খাদ্য উপাদানের বিশেষ কার্যকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্যে নিচের ওয়ার্ডে ফাইলে ক্লিক করতে পারেন: মজাদার সংকলিত তথ্য পাবেন, বেশ ভাল লাগবে।
প্রতিবেদন-২: ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার সাত সতেরো: শরীরের ওজন কম বা বেশি হলেও সেটা কম বয়স তেমন সমস্যা হয় না, সমস্যা সৃষ্টি হয় বয়স চল্লিশের উপরে গেলে। ওজনে বেড়ে গেলে রক্তচাপ বৃদ্ধি,ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা; বাত ব্যাথা, মানসিক সমস্যা, মাইগ্রেন সমস্যা, ক্যান্সারের জটিলতা, মেয়েলী সমস্যা অনেক ধরনের শারীরিক জটিলতা তৈরি হয়। অধিক খাবার গ্রহণ, অলসতা, কর্মহীনতা, হাঁটাচলা কম করা এবং বংশগত নানান কারণে শরীরের ওজন বেড়ে যায়। খাওয়া কমানো ছাড়া ওজন কমানোর কোন বিকল্প নেই। দ্রুত ওজন কমানোর ব্যাপারে আপনি জিএম ডায়েট চার্ট অনুসরণ করতে পারেন, যেটি করলে সপ্তাহে আপনার ওজন ৪/৫ কেজি কমে যাবেই। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানার আগ্রহ থাকলে নিজের “ওজন নিয়ন্ত্রণের রাখার সাত সতেরো ”এই ফাইলটিতে ক্লিক করুন সুন্দর একটা ওয়ার্ড ফাইল পেয়ে যাবেন।
প্রতিবেদন-৩:হাঁটাহাঁটির বিশেষ উপকারিতা: হাঁটাচলা যে শরীরের জন্যে কতটা উপকারি আমরা কল্পনাও করতে পারিনা। প্রতিদিন কমপক্ষে পৌনে এক ঘন্টা থেকে এক ঘন্টা হাঁটুন(সপ্তাহে কমপক্ষে ৫ দিন) আপনার শরীর মন দুটোই ভাল থাকবে। নিয়মিত হাঁটাচলা করার প্রায় ৩০টি সুনির্দিষ্ট উপকারিতা রয়েছে ।এ সম্পর্কে জানার আগ্রহ থাকলে নিজের ফাইলটিতে ক্লিক করুন।
প্রতিবেদন-৪: উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণ ও করণীয়: উচ্চ রক্তচাপ শুধু বাংলাদেশে নয় গোটা পৃথিবীতেই একটা বড় সমস্যা। যে সকল কারণ উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলে সেগুলো হল, বেশী লবন গ্রহণ, অতিরিক্ত মেদ, কাজের চাপ, মদ্যপান, অতিরিক্ত আওয়াজ এবং ঘিঞ্জি পরিবেশে থাকা। উচ্চমাত্রার লবনের ব্যবহার এর মধ্যে সবচেয়ে বেশী মনযোগ আকর্ষণ করেছে।মজার ব্যাপার হলো অনেক মানুষ বুঝতে পারে না যে, তাদের শরীরে উচ্চ রক্তচাপ আছে, কারণ অনেকের ক্ষেত্রে শরীরে কোন লক্ষণ প্রকাশ পায় না। ফলে অবহেলা করার কারণে হঠাৎ করে এসব মানুষ স্ট্রোকে আক্রান্ত হন; কারুর আবার কিডনী কাজ করে না। সেজন্যে উচ্চ রক্তচাপকে বলা হয় নিরব ঘাতক।তাই উচ্চ রক্তচাপ সম্পর্কে আমাদের কমবেশি ধারণা থাকা দরকার। এ ব্যাপারে আপনার জানার আগ্রহ থাকলে নিচের ফাইলটিতে ক্লিক করুন।
প্রতিবেদন-৫: সুস্থ থাকার জন্যে করণীয়: সুস্থ থাকার জন্যে আমাদের আহার নিদ্রা শারীরিক পরিশ্রম সহ পরিকল্পিত জীবন যাবনের কোন বিকল্প নেই। তাই এ বিষয়টি বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে যান, অনেক কিছু জানতে পারবেন।