খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে ইতোমধ্যে আমার একটা আত্মিক মেলবন্ধন সূচিত হয়েছে।সেখানকার লাইফ সায়েন্স স্কুলের আওতায় এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের টিচার স্বল্পতার কারণে আমার কিছু সুযোগ হয়েছে সেখানকার এগ্রোটেকনোলজি এবং ফরেস্ট্রি এণ্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের কতক ব্যাচের ছাত্র ছাত্রীদেরকে কিছু কোর্স পড়ানোর। সেই সুবাধে সেখানকার সমূদয় শিক্ষক এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ছাত্র ছাত্রীদের সাথে আমার একটা নিবিড় সম্পর্ক তৈরি হয়েছে।আমার অনেক ছাত্র ছাত্রী বিসিএস পাশ করার পরে এখন আমার জুনিয়র কলিগ হিসেবে চাকুরি করছে। আমি তাদের নিয়ে খুব গর্ব ও অহংকার করি। অনেক ছাত্র ছাত্রী আবার খুলনা ও অনান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়েছেন, সেটা নিয়েও আমার অহংকার কম কিছু নয়। সবচে বড় কথা তারা আমাকে যথেষ্ট ভালবাসেন এবং সম্মান করেন, যা আমার জন্যে অনেক বড় প্রাপ্তি! তাই আমি আমার এই কলামে সে সন্মন্ধে আলোকপাত করবো।
.……………………………………………………………………………………………..
২৯.০৪.২০১৬: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে যে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছিল বিগত ৩০.০৪.২০১৬ তারিখ। সে উপলক্ষ্যে ফেসবুকে আমার স্মৃতিচারণমূলক লেখাটি দেখার জন্যে নিচের লিঙ্কে যান। লেখাটি খুবিয়ানদের খুব খারাপ লাগবে না, আশা করি।
Introductory Entomology (AT-1207) :Introductory Entomology বিষয়ের উপরে আমার তৈরি করা লেকচার নোট পেতে নিচের লিঙ্ক দুটিতে যান, দুটি ওয়ার্ডের ফাইল, পাবেন যা আপনি ইচ্ছেমত সম্পাদনা করে ব্যবহার করতে পারবেন:
Insect Physiology & Ecology AT 3105: Insect Physiology & Ecology AT 3105 বিষয়ের উপরে আমার তৈরি করা লেকচার নোট পেতে নিচের লিঙ্কে যান, ওয়ার্ডের ফাইল, পাবেন যা আপনি ইচ্ছেমত সম্পাদনা করে ব্যবহার করতে পারবেন:
Economic Entomology & Pest Management AT 4107:Economic Entomology & Pest Management AT 4107 বিষয়ের উপরে আমার তৈরি করা লেকচার নোট পেতে নিচের লিঙ্কে যান, ওয়ার্ডের ফাইল, পাবেন যা আপনি ইচ্ছেমত সম্পাদনা করে ব্যবহার করতে পারবেন:
‘তুমি রবে নীরবে হৃদয়ে মম….’(বিশেষ প্রকাশনা): আমি নিজ চাকুরির বাইরেও বিভাগীয় অনুমতি নিয়ে ২০০৩ থেকে ২০১৭ অব্দি মাঝে মাঝে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে পড়ানোর সুযোগ হয়েছিল খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোটেকের ছাত্র ছাত্রীদের। খণ্ডকালীন শিক্ষকের তকমা গায়ে দিয়ে আমি সম্মানিত হয়েছি, আমার অভিজ্ঞতার ঝুঁড়ি ঋদ্ধ হয়েছে, সর্বোপরি ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে একটা নিবিড় বন্ধুত্ব তৈরি হয়েছে।খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে আমার আত্মিক সম্পর্কের যুগ সন্ধিক্ষণের এই পথ পরিক্রমায় দাঁড়িয়ে মনে হচ্ছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবাই আমার আত্মার আত্মীয়, অতি আপনার মানুষ! এবারে বিভাগীয় অনুমতি ও ছুটি মঞ্জুর সাপেক্ষে (2017) বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের ১৩ ব্যাচের চূড়ান্ত পর্বের ছাত্র ছাত্রীদের পক্ষকালব্যাপী শিক্ষা সফরের কিছুটা সময় ছাত্র ছাত্রীদের সাথে কাটিয়ে আসি।মানুষের কোন স্মৃতিই কোন কালে মস্তিষ্কের নিউরনে তরতাজা থাকেনা, বয়স বাড়ার সাথে সাথে সেটা ধীর ধীরে ফিকে হয়ে যায় এবং একদিন সকল স্মৃতি “তুমি কী কেবলই ছবি”র মতই ছবি হয়ে যায় !স্মৃতিচারণের অংশ হিসেবে আমি এই শিক্ষা সফর নিয়ে একটা এক্সক্লুসিভ সচিত্র ডকুমেন্টারী তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলাম। না এটার মুদ্রণ কোন ছাপাখানায় বা কোন বাণিজ্যিক দোকানে ছাপা হয়নি ;এটার সমূদয় ছাপার কাজ সম্পন্ন করা হলো আমার নিজ বাসার কম্পিউটারে। কাজটা খুব সহজ মনে হলেও পরবর্তীতে মনে হলো এটা একটা বড় ধরনের কর্মযজ্ঞ।এই শিক্ষা সফরে ছাত্র ছাত্রীরা যেসব প্রতিষ্ঠান ও পর্যটন এলাকা সফর করেছেন, সে সবের একটা সচিত্র সংক্ষিপ্ত বিবরণ এই বিশেষ প্রকাশনার মধ্যে সংযোজন করা হয়েছে। অংশগ্রহণকারী সকল ছাত্র ছাত্রীদের ব্যক্তিগত তথ্যমালা সহ এগ্রোটেক পরিবারে কর্মরত সকল শিক্ষক কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদেরও ব্যক্তিগত কিছু তথ্যও এখানে সন্নিবেশ করা হয়েছে, যা অদূর ভবিষ্যতে ছাত্র ছাত্রী সহ সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে একটা প্রামাণ্য দলিল হিসেবে বিবেচিত হবে এবং ভবিষ্যতের তরে এটা সবার কাছে একটা বড় ধরনের স্মৃতির সঞ্চয় হয়ে থাকবে।আমি আমার এই বিশেষ প্রকাশনা: ‘তুমি রবে নীরবে হৃদয়ে মম….’ প্রতিটি বাঁধাই কপি প্রত্যেক ছাত্র ছাত্রী এবং শিক্ষককে উপহার হিসেবে দিয়ে দিয়েছি। খুলনার অভিজাত হোটেল ওয়েস্টার্ন ইনে(০৯.০৩.২০১৭ খ্রি.) এক মনোজ্ঞ প্রীতিভোজ ও প্রকাশনা উৎসবের মাধ্যমে অত্যন্ত আবেগময় ব্যঞ্জনায় সিক্ত আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই বিশেষ প্রকাশনার প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। আমার এই প্রকাশনার ব্যাপারে অসাধারণ প্রতিক্রিয়া দেখান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছাত্র শিক্ষক সকলেই। পরবর্তীকালে বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট যাঁরা আমার এই ব্যতিক্রমী বিশেষ প্রকাশনাটি দেখিয়েছেন। তাঁরা এই অভাবনীয় কর্মযজ্ঞের ভূয়ঁসী প্রশংসা করেছেন। ফলে আমি মুগ্ধ আমি অভিভূত। আমার শ্রম সার্থক হয়েছে। আমরা কেউ একদিন এ্ ধরায় থাকবো না ;কিন্তু প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধনের কারণে কল্পিত বিশ্বের বদৌলতে মানব জীবনের অনেক কিছু থেকে যাবে কাল থেকে কালান্তরে। তেমন রয়ে যাবে আমার এই প্রকাশটিও। তাই আমি আমার সকল শুভাকাঙ্খী ও শুভানুধ্যায়ী সহ সবাইকে আমার এ্ বিশেষ প্রকাশনার উপরে একটু বিশেষ দৃষ্টি নিবদ্ধ করার সবিনয় নিবেদন রাখছি। বিশেষভাবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবাইকে এটি বিশেষভাবে দেখার জন্যে আহবান জানাচ্ছি।